আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীর মর্যাদা ও বোরকার প্রতিবন্ধকতা (?)

ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড

আমাদের আদালত হঠাৎ হঠাৎ যুগান্তকারী কাজ কারবার করে বসে। প্রায়শই পত্রিকায় আসে আদালতের মামলার জটে নাকি পা ফেলো যায় না। অথচ আমাদের বিচারকগণ বিশেষ করে ধর্মীয় ইস্যুতে কোথা থেকে যেন ঠিক ঠিক সময় বের করে নেন। আজও ঠিক সেরকম একটা রায়ের খবর শুনলাম। এবার বলা হয়েছে কোন প্রতিষ্ঠানে বোরকা পড়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না।

আদেশটা যে বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলোকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারণ, কোন সরকারী অফিস কিংবা অন্য কোন সরকারী বিদ্যালয় কিংবা বেসরকারী স্কুলে এমন বোরকা পড়ার বাধ্যকতা নেই। এই আদেশের ফলে মাদ্রাসার নিয়ম-কানুনে একটা বিশৃঙ্খলা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জোর করে বোরকা পড়ানোর অভিযোগ এনে তাদের হয়রানি করতে পারে। সেটা আলাদা বিষয়।

বোরকা বিষয়টিকে অনেক প্রগতিশীলই নারী নির্যাতনের বিশেষ নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করেন। এই ব্লগেও তেমন মতামত ইতোমধ্যেই অনেকে ব্যক্ত করেছেন। বোরকাকে আমি একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই। আমার অভিমত হচ্ছে বোরকা পড়া না পড়াটা মানুষের নিতান্ত ব্যক্তিগত পছন্দ হওয়া উচিত। যেমন, একজন স্ত্রী বোরকা পড়বেন কি-না সেটা তারই সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়।

তার স্বামীর এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করার কিছু নেই। কিন্তু যদি একজন স্ত্রী সত্যিই চায় তার স্বামী ব্যাতীত অন্য কোন পুরুষের দৃষ্টির মধ্যে সে না পড়ুক, অন্য কোন পুরুষ তাকে দেখে কোন রকম যৌনাকাংখা পোষণ করার সুযোগ না পাক- তাহলে সে নিশ্চয়ই অনেক শালীন পোশাক আশাকই চয়ন করবে। সে নিশ্চয়ই খোলামেলা পোশাকে রাস্তায় বের হবে না, কর্মক্ষেত্রে যাবে না। একইভাবে একজন স্ত্রীপ্রেমিক স্বামীও পারবে না যেকোন নারীকে দেখে তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে। ইসলাম এ বিষয়টার উপরই গুরুত্ব দিয়েছে।

নারী পুরুষ উভয়কেই বলা হয়েছে তাদের দৃষ্টি অবনত রাখতে। যারা মনে করে রাস্তাঘাটে বা কর্মক্ষেত্রে খোলামেলা পোশাকের নারীদের দেখে তাদের মনে কোন রকম প্রতিক্রিয়া হয় না, তারা ঠিক কতটা সত্যি বলেন? এমন পুরুষ কতজন আছেন? সুতরাঙ নারীদেরই উচিত তাদের নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। পুরুষের ওপর নিজের সুরক্ষার ভার না দেয়া। এ জন্যই তারা চাইলে বোরকা পড়তে পারেন। একইসাথে একজন পুরুষকেও নিশ্চয়ই তিনি প্রলুব্ধ করা থেকে বিরত রাখতে পারেন।

এটা যে সব সময় চোখ ঢাকা বোরকা পড়েই করতে হবে এমন কথা নেই। অনেক সময়, ঠিকমত শাড়ী পড়ে মাথায় একটা স্কার্ফ পড়েও এমন অনুভূতি অর্জন করা যায়। বোরকার সুবিধা হচ্ছে, এটা এমনভাবে বানানো যে বাতাসে তা সরে গিয়ে শরীর উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার চান্স নেই। তাই শাড়ী পড়ে যেমন হঠাৎ বেআব্রু হয়ে যাবার ভয় আছে, একটা বোরকা পড়ে নিলে সে দুশ্চিন্তা থাকে না। এটা অনেকটা অনেকগুলো আলগা কাগজকে আলাদা করে না ধরে একটা প্যাকেটে ভরে নিয়ে বহন করার সুবিধার মতো।

বোরকার বিষয়টা ইসলাম বলে নাই, রাসূলের সময় এমন পোশাক ছিলোও না। ইসলামে আছে শরীর ঢেকে রাখার নির্দেশ। সে নির্দেশ পালনের জন্য এই পোশাকটাকে উদ্ভাবন করা হয়েছে। কারণ এর উপরেল্লেখিত সুবিধাদি। ক্লিন


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।