আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদপুরে দমকা হাওয়া, মাঝারি বর্ষণ

এছাড়া বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল থেকে তা কিছুটা বেড়েছে।
জেলা হাইমচর উপজেলার ২৩টি চরের অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দা ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে রয়েছে।
এরমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৫,৬৩৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবেলা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, হাইমচরে চার হাজার, সদরে ৮৩০ এবং মতলব উত্তর উপজেলায় ৮০৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।


হাইমচরে ১৭টি, সদরে ২২টি এবং মতলব উত্তরে ২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে বুধবার রাতভর চরাঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালের পর চরাঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেন স্থানীয় জনতিনিধিরা।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাজাহান মিয়া বলেন, ঝড়ের আতঙ্কে রয়েছে চরাঞ্চলবাসী। এই উপজেলার ২৩টি চরে অন্তত ৫০ হাজার লোকের বসবাস।


চরগুলোতে আশ্রায়ন কেন্দ্রের সংখ্যাও কম। যেসব চরে পাকা স্কুল ভবন রয়েছে সেগুলোতে চরাঞ্চলের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।
হাইমচরের চরগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চরকোড়ালিয়া, নিউচর, চরকাশেম, চরদিয়ারা, ঈশানবালা, মাঝিরচর, রায়েরচর, গাজীপুর, কুতুবপুরচর, মনিপুর চর, চরবারেক ও মিয়ারচর।
শাজাহান মিয়া আরো জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মেঘনা নদীর পানির উচ্চতা তেমন একটা বাড়েনি। দুই বা আড়াই ফুটের মতো পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও নিম্নাঞ্চলে তার তেমন প্রভাব পড়েনি।


হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন।
ইউএনও আরো জানান, ঝড়ে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।