আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগারদের নামে গীবত গাইলাম আর সেই সাথে শায়মা আপিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

কাক শেয়ালের উদ্যান

ব্লগে তো একটা বছর পার হয়ে গেল। ব্লগারদের স্মরণ করি আর গীবত গাই। যারা ব্লগটাকে অস্থির করে তুলেছিল এবং তুলছে। অবশ্য এদের ছাড়া ব্লগটাও বেমানান। হাজার হোক ভালমন্দ মিলিয়েই তো মানুষ।

আর এই মানুষদের নিয়েই তো ব্লগ। তবে এমন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্লগ ছাড়া আমরা সবাই অচল। মুখে যতই বলিনা কেন। ব্লগকে ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলানো ঠিক্না। তারপরও দেখা যায় মিলে যায়।

দৈনিক চব্বিশ ঘন্টার বিশাল একটা সময় ব্লগ কামড়ে পড়ে থাকি। তার একটা প্রতিক্রিয়া তো ব্যক্তিগত লাইফে স্বাভাবিক ভাবে পড়ার কথা। সবার ক্ষেত্রে এই কথাটা হয়ত প্রযোজ্য না। বাসায় অনেকের গুতাগাতা খেয়েও ব্লগায় যাই। এই এক বছরে সামু ব্লগের দু একজনের সাথে দেখা হয়েছে।

বাকীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মনে হয় আন্ডার ওয়ার্ল্ডের লোক। এই লোকগুলোর সাথে দৈনিক কথাবার্তার মাধ্যমে যেন অনেক ঘনিষ্ট আত্মীয় হয়ে গেছি। তাদের দুঃখে দুঃখিত হই আবার তাদের খুশীতে আনন্দিত হই আর অদ্ভুত ভাললাগা কাজ করে। এখানে সবার সাথে একটা মিথস্ক্রিয়ায় দিনগুলো ভালই কেটে যাচ্ছে।

সামুতে না আসলে হয়ত সখের বশেও কখনো লেখা হতো না। অনেক গুরুগম্ভীর কথা বলে ফেললাম। এবার আসল কথায় আসি। আসল কথা হলো গীবত গাইতে চেয়েছিলাম উল্টা প্রশংসা করা শুরু করলাম। গীবত কারে দিয়া শুরু করি---- আচ্ছা আমাদের প্রিয় ব্লগার জাতিস্মর শায়মা আপিকে দিয়েই শুরু করি।

তিনি নাকি জাতিস্মর। নিজেই স্বীকার করেছেন। আগের জনমে তিনি নাকি পরী ছিলেন। কোন এক অলৌকিক কারণে ধূপ করে পড়ে গেছেন এই পৃথিবীতে। পরে যাওয়ার পর মন্ত্র পাঠ ভুলে গেছেন।

যার দরুণ আর ঐ জগতে ফিরে যাওয়া হয়নি। ঐ জগতে আমাদের নিয়ে বেশ হাসিখুশীতে ছিলেন। নিয়মিত পরীয় খাওয়া-দাওয়া করাতেন। আবার ঈদ-উৎসবে জামা কাপড় উপহারও দিতেন। এই জগতে এসে সেগুলো আর করেন না।

গল্প কবিতার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বেশ। সুন্দর সুন্দর গল্প লিখতেছেন। মোট কথা সাহিত্যের দিকে টার্ন করেছেন। তিনি রবীন্দ্রপ্রেমী মানুষ। তিনি সুন্দর কবিতা আবৃত্তি ও জানেন।

এছাড়াও নতুন নতুন পোষ্টের ব্যাপারে তার মাথায় আইডিয়ার অভাব নাই। ইশ আমার যদি এরকম আইডিয়া থাকতো। এরপর আসি হাসান মাহবুব ভাইয়ের কাছে। তাকে পরাবাস্তব গল্প রাইটার বলা চলে। তার গল্পগুলো যথেষ্ট থিম্যাটিক আর পড়ার সময় মনে হবে কোন জগতে প্রবেশ করলাম।

কেমনে বাহির হবো। শেষে বাহির হতে হয় অনেক কষ্টে। তিনি সুন্দর কবিতা লিখতেও জানেন। গানের লিরিকও লিখেছেন বেশ কিছু। যা আবার গাতকগন গেয়েছে আবার সিডিও বাহির হয়েছে।

ব্লগে তার মত সময় কেউ দেয় কিনা সন্দেহ। মনে হয় ছারপোকার ন্যায় কামড়ে আছেন, সহজে ছারবেন্না। তার কথা লিখে শ্যাষ হবে না তাই আপাতত শ্যাষ করলাম। রাজসোহান: সবাই তারে রাজহাঁস নামেই চিনে। প্রথমে যখন ব্লগে আসে দেখি খালি পুত্তম পিলাচ বইলা বিভিন্ন পোষ্টে কমেন্ট দিয়া বেড়ায়।

ভাবলাম এই আবার কোন হাঁস পারলে গোস্ত খাইতাম। কিন্তু হাঁসের গোস্ত খাইনা বলে সে বাইচ্চা গেছে। পরে দেখি হেয় আবার সুন্দর সুন্দর পোষ্ট দ্যায়। কবিতা ল্যাখে আবার গল্পও ল্যাখে। আর সারাদিন সামুটারে সাগর বানায় হের মধ্যে সাঁতার কাটে।

ফিইশন ফাইভঃ ইনি তো একেবারে সামুর জীবন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া। তার পোষ্টগুলা বেশ তথ্য ও রেফারেন্স সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। তিনি ব্যঙ্গ লেখাতেও যথেষ্ট পারদর্শী। বেশ কিছুদিন থেকে তাকে সামুতে দেখা যাচ্ছে না। তার পোষ্ট যথেষ্ট মিস করছি।

ফিরে আসার আহবান রইল। ইমন জুবায়েরঃ এই ভাই তো আর একজন এনসাইক্লোপিডিয়া। তার রূপকথা, উপকথা জাতীয় পোষ্ট গুলা সামুর একেকটা রত্ন। গল্প লেখাতেও তিনি যথেষ্ট পারদর্শী। তিনি প্রচুর গানও লিখেছেন।

ভাঙ্গনঃ তিনি বেশ করে ভাঙ্গেন। যেন ঝনাত ঝনাত শব্দ করেই ভাঙ্গেন। তার মানে তার গল্প ও কবিতা গুলোতে যথেষ্ট ভাললাগা রয়ে যায়। যেমন প্রিয় একটা জিনিস ভেঙ্গে গেলে মন খুঁতখুঁত করে। তেমন তার গল্প ও কবিতা পড়লে মনে একটা ভাল লাগানিয়া রেশ রয়ে যায়।

তিনি সুন্দর হাস্য রসাত্মক গল্পও লিখেন। আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীনঃ কেন যে সৎকারবিহীন উঠে আসছে আমি জানিনা। সেই কিছু কইতে পারলে পারবে। সময়কে বিভিন্ন ধাঁচে ফেলে এরপর এইটারে নিয়া গল্প কবিতা ল্যাখেন। যথেষ্ট ধার আছে তার ল্যাখা গল্প কবিতায়।

ইদানীং সে আবার ক্যাচাল শুরু করছে। তার পোপাইলের পাখি কাউয়া না দোয়েল এইটা সবাইরে মাইন্না নিতে কয়। আইরিন সুলতানাঃ ইনি অনেক ভাল ভাল কবিতা লিখেছেন। এখনো লেখেন। তবে ইদানীং কবিতা বা অন্য পোষ্টের চাইতে জ্ঞান, তথ্য সমৃদ্ধ বিশালকার পোষ্ট দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

ব্লগে তাকে কম দেখা যাচ্ছে। সুলতানা শিরিন সাজিঃ তার যেন কবিতার মাঝেই বসবাস। কবিতা অন্তঃপ্রাণ ব্লগার। তার কবিতা পাঠে যেন বেশ সুখ-প্রশান্তি অনুভূত হয়। প্রকৃতির মাঝে যেন হারিয়ে যাওয়া হয়।

অমিত চক্রবর্তীঃ দুর্দান্ত সব গদ্য কবিতা লেখেন। তার অনেক কবিতায় বেশ কিছু ইংরেজী শব্দ আসে। শব্দের মানে না জানায় মাঝে মাঝে কবিতা পড়তে বিপদে পড়ি। কবিতাতে তিনি অনেক দূর এগোবেন এটা নিশ্চিত। শিরীষঃ শিরীষ নিকটার মতই শিরীষের সব কবিতা চমৎকার।

শিরীষ মানেই যেন কবিতায় নতুন প্রাণ। তার চোখের ভেতর বৃষ্টি পুষি চোখের ভেতর রোদ কবিতাটার লাইনটা যেন মনে গেঁথে গেছে। নস্টালজিকঃ নস্টালজিক নামের এই ব্লগার অনেক সুন্দর সুন্দর গানের লিরিক ল্যাখেন। দলছুট ব্যান্ডের পরী শিরোনামের গানটি তার লেখা। দলছুট ব্যান্ডের আরও অনেক গান লিখেছেন তিনি।

নৈশচারীঃ যার ল্যাখাগুলা মাথার উর্পে দিয়া যাইতে ধরে। টেনে টামাতে হয়। সুন্দর গল্প লেখেন। তিনি মুক্তগদ্য লেখায় যথেষ্ট পারঙ্গম। মতিউর রহমান সাগরঃ যার কবিতা মানে কোন এক স্বর্গীয় জগতে প্রবেশ এবং বিচরণ করা।

ফাহাদ চৌধুরীঃ তার কবিতায় যথেষ্ট প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়। উদ্যম, দূরন্ত আর গতিময় কবিতা যাকে বলে, তার কাছ থেকেই পাওয়া যায়। তিনি মাঝে মাঝে গান থেকেও চমৎকার কবিতা লিখে ফেলেন। চিটি (হামিদা আখতার): অসাধারণ সব কবিতা লিখেন। বিশেষ করে গদ্য কবিতায় তার আগ্রহ বেশী দেখা যায়।

রেজোওয়ানাঃ তিনি সংখ্যাতত্ত্ব দেখে বয়স বের করে দিতে পারেন। আবার দেশের বেশ নামকরা স্থাপনা/ জায়গাগুলোর ইতিহাস সহ ছবিপোষ্ট দ্যান। তবে বেশ কিছুদিন থেকে দেখছি তার মূল্যবান পোষ্ট গুলো লুকিয়ে রেখেছেন। যেগুলো তিনি একা একাই দেখেন। আমাদেরকে দ্যাখান্না কেন? জবাব চাই।

আর নতুন পোষ্টও চাই। আব্দুল্লাহ আল মনসুরঃ তিনি আমাদের জ্যাডা। খুব ভালা লোক। আড্ডাতে তার না নাই। দুর্জনেরা বলে পোষ্ট না পইড়া পিলাচ দেওনের অভ্যাস আছে তার।

আগে হারাদিন খালি পোষ্টাইতো । অহন পোষ্টানো কমায় দিছে। জ্যাডা সুন্দর কবিতা ল্যাখে। পাপতাড়ুয়াঃ অসাধারণ সব পাপগল্প ল্যাখেন। গল্প দিয়া মনে হয় পাপ তাড়ান।

কবিতাতেও কম যান না। অন্ধ আগন্তুকঃ এই আগন্তুক যে কোথা থেকে আসছে! তার গদ্যগুলো বেশ ভাবনার খোরাক জোগায়। আকাশ অম্বরঃ আকাশ অম্বরের গদ্য আর শব্দখেলা অসাধারণ ও মুগ্ধকর। পাহাড়ের কাঁন্নাঃ নামটা বিয়ার জন্য কাঁন্না হইলে পার্ফেক্ট হইতো। কারণ অনেক কোবতেতে তাকে বউয়ের জন্য কাঁদতে দেখা গেছে।

তার প্যারোডি কোবতে গুলা দুর্দান্ত হয়। হুটহাট সুন্দর কবিতাও লিখে ফ্যালেন। মেঘ বলেছে যাবো যাবোঃ মাঝে মাঝে চমৎকার গল্প লিখেন। আবার রহস্যময় জগতে ভ্রমণ করান। আবার মাথার রক্ত পায়ে নামার মত গানের লিষ্টো দ্যান।

জুনঃ তার নাকি বার মাসই জুন। তিনি ভ্রমণ ভালবাসেন। তার কিছু সুন্দর বর্ননা সমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য আমরা অনেকেই ফ্রি বৈদেশ ভ্রমণ করতে পেরেছি। শূণ্য উপত্যকাঃ উপত্যাকা তো শূন্যই হয়। তবুও কেন যে এই নিক নিছে।

তিনি সুন্দর গল্প ল্যাখেন। বুক রিভিউও চমৎকার দ্যান। হানিফ রাশেদীন: সুন্দর সব কবিতা ও গল্প লিখেন। সুরঞ্জনাঃ তিনি খাই দাই পোষ্ট সহ অনেক সুন্দর সুন্দর পোষ্ট দ্যান। তার মা মেয়ের সম্পর্ক ক্যামন হওয়া উচিত নামের সুন্দর শিক্ষনীয় পোষ্ট আছে।

তার শৈশবকালীন স্মৃতিচারণ থেকে আমরা পুরনো আমলের অনেক কিছুই জানতে পারি। ১২৩৪ : সারাদিন নামতা পরে আর ব্লগে ঘুরে বেড়ায়। সে তার ল্যাখায় প্রকৃতি নিয়া সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। সমুদ্রকন্যা ও প্রতীক্ষাঃ এই দুইজন গভীরতার মেয়ে। তাদের থিঙ্কিং বেশ গভীর এজন্য শায়মা আপি এই নাম দিছে।

আমিও দিলাম এই নাম। প্রথম জন বিয়ে করছে কয়েকদিন আগে। এই জন্য নতুন সংসার নিয়া ব্যস্ত। ব্লগে সময় দিতে পারছে না মানে কম সময় দিতেছে। দ্বিতীয় জন কেন জানি ব্লগকে বিষন্ন বিদায় জানিয়েছে।

সে মনে হয় আর ফিরে আসবেনা। ফিরে আসার আহবান জানানো হলো। এই পোষ্ট এ লিংক দেয়ার সময় দেখি তার একটা পোষ্ট ফিরায় নিয়া আসছে। যাদেরকে মোটামুটি ব্লগ সূত্রে চিনি তাদের গীবত গাইলাম। আরও গীবত গাইতে চাইছিলাম কিন্তু নাম মনে আসছেনা।

নাম মনে আসলে কমেন্টের মাধ্যমে গীবত গাবো। আরও যাদের সঙ্গে পরিচয় হবে ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্কেও গীবত গাওয়ার ইচ্ছে পোষন করে শেষ করছি। পোষ্টের আইডিয়া শায়মা আপির কাছ থেকে ধার করা। তাই তার নামেই এই পোষ্ট উৎসর্গ করা হলো। আর আজকে তার জন্মদিন।

তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি তাকে। শুভ জন্মদিন শায়মা আপি। আজকের দিন এবং আগামী যে দিন গুলি আসবে সেই দিন গুলিতেও হাসি আর আনন্দে থেকো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.