আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তরুন সঙ্গীত শিল্পী তপুর সাথে একান্তে আলাপ চারিতা


বর্তমান তরুন প্রজন্মের েক্রজ, তরুন সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা, এক পায়ে নুপুর আমার বা মেয়ে এখনো আমায় বন্ধু ভাবো কি- খ্যাত তপু, অনির্বান সিডনীর আয়োজনে এখন সিডনীতে। তপুর সাথে একান্তে আলাপ চারিতায় মেতে উঠেছিলেন প্রবাসে বাংলাদেশের সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন সুমন। তাদের আলাপচারিতার বিশেষ অংশ নিয়ে এই বিশেষ প্রতিবেদন। কিভাবে আসলেন সঙ্গীত জগতে? ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি আমার ভীষন আগ্রহ। কিন্তু আমাদের পরিবারের কেউই সংগীত জগতের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না।

ফলে পরিবার থেকে আমি তেমন কোন সাহায্য পাইনি। আমার বড় বোন আমাকে সবসময় সাহায্য করেছে। গানের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ থাকার কারনে যেটা হয়েছে, আমি যখন ম্যাট্রিকে স্টান্ড করলাম বাবা খুশী হয়ে বল্লেন কি চাই। আমিও সুযোগটা কাজে লাগিয়ে গিটার কিনে ফেল্লাম। ওই থেকেই আমার গানের চর্চা শুরু, গিটারে কর্ড তোলা, গান তোলা তখন থেকেই আমি রপ্ত করতে শুর করি।

পড়াশোনা কোথায় করেছেন? আমি ম্যাট্রিক, ইন্টার পড়েছি বরিশাল ক্যাডেট কলেজে। এরপর নর্থ সাউত ইউনিভার্সিটিতে। এখনো নর্থ সাউট ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ করছি। কোন ধরনের গান আপনার ভালো লাগে? আমি আসলে সবধরনের গানই শুনি। তবে সুন্দও সুর আর সুন্দর কথার গান আমাকে মুগ্ধ করে।

সেটা যে কারো গান হতে পারে। কোন বিশেষ শিল্পীর গানে কি আপনি অনুপ্রেরনা পেয়েছেন এই ভুবনে কাজ করার জন্য। আমার সঙ্গীত জগতের অনুপ্রেরনা হচেছন ৪ জন শিল্পী। অন্জন দত্ত, ব্রায়ান অ্যাডামস, মাইকেল জ্যাকসন ও লাকী আকন্দ। এদের গান শুনেই সঙ্গীত জগতের প্রতি আমার আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশে নকল গানের একটা প্রবনতা দেখা যাচেছ। এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? আসলে যাদের ক্রিয়েটিভিটির অভাব আছে তারাই এই কাজ করছে। অনেকেই অন্যের সুর নকল কওে সহজে খ্যাতি পেতে চাচেছ, এজন্য এই কাজ করছে। তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি এরা আমাদের সঙ্গীত জগতের জন্য মারাত্বক হুমকি। আস্তে আস্তে মানুষ যদি ঐ ধরনের সঙ্গীতে সাবলীল হয়ে যায় তবে আমাদের নিজের বলে আর কিছু থাকবেনা।

আমার মতে এটা এখনই থামানো উচিত। বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতি অঙ্গনে কতটুকু অবদান রাখছে? আমার এ ব্যাপারে খুব একটা ধারনা নেই। তবে যা আছে আরো সাহায্যের প্রয়োজন আছে। কারন বাংলাদেশের সঙ্গীত গত ৪/৫ বছওে প্রায় আন্তর্জাতি পর্যায়ে পৌছে গেছে। এক্ষেত্রে সরকারের আরো বেশী কিছু করা দরকার, যেমন সঙ্গীত বিদ্যালয়, থিয়েটার এসব দিকে সরকারের মনোযোগ দেয়া উচিত।

বাংলাদেশে যে অপসংস্কৃতি বলে একটা কথা চালু হয়েছে। যেমন ডিস এ্যান্টেনা। এটাকে কিভাবে বন্ধ করা যায়? এাঁকে বন্ধ করার কোন উপায় নাই। এখন যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেকনোলজি যে অবস্থান দখল করেছে, এখান থেকে বেরিয়ে আসার কোন উপায় নেই। উপায় একটাই আমাদের বিবেক কে সচেতন করতে হবে।

কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ এটা বুঝতে হবে। আমি মনে করিনা কোন কিছু বন্ধ করে এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা যাবে। আপনি হয়তো ডিশের লাইন বন্ধ করতে পারবেন কিন্তু ইন্টারনেটের লাইন তো বন্ধ করতে পারবেননা। তাই পথ একটাই। মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।

অবসর সময়ে কার গান শোনেন? আসলে এভাবে বসে কারো গান শোনার সময় পাইনা। মাঝে মাঝে রেডিওতে বা গাড়ীতে বসে গান শুনি। সব ধরনের গানই শুনি। হিন্দি গানও শুনি, ইংরেজী গানও শুনি। কেমন লাগছে অষ্ট্রেলিয়া? খুবই ভালো লাগছে।

এখানকার পরিবেশ, পরিচছন্নতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে এখানে শো করার পর আরো ভালো লাগছে। এখানকার শ্রোতারা যে এতো ভালো। তারা সবার গানই মুগ্ধ হয়ে শুনেছে, আমাদের উৎসাহিতও করেছে। এখানকার শ্রোতারা আসলেই শিল্পীকে মুল্যায়ন করতে জানে।

আর শিল্পী যখন দেখে শ্রোতারা তাকে মূল্যায়ন করছে সেও কাজের প্রতি উদ্যাম খুঁজে পায়। নতুন নতুন সুর শ্রোতাদের দেয়ার চেষ্টা করে। সিডনীর মানুষ শিল্পের স্যোন্দর্য বোঝে। আমার এতো ভালো লেগেছে যে আবার কখনো কেউ যদি আমাকে আমন্ত্রন জানায় তবে আমি অবশ্যই তাদের আমন্ত্রন গ্রহন করবো। এখনকার যুব সমাজের উদ্দেশ্যে কিছু বলেন।

যুব সমাজের উদ্দেম্যে একটা কথাই বলতে চাই যে, আমাদের জীবন একটাই। এই জীবনের সময়টাকে যতদূর সম্ভব ভালো বাজে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ অলস সময় কাটাতে পছন্দ করে। এটাকে পরিহার করতে হবে ও ভালো কাজে নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে। আপনার এই ব্যাস্ততার মাঝে প্রবাসে বাংলাদেশকে সময় দেয়ার জন্য গ্রবাসে বাংলাদেশের পক্ষথেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনাদেরও অনেক ধন্যবাদ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।