আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেলুনের ভেতরে যুবতীর ক্ষতবিক্ষত লাশ

সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।

রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে ধর্ষণ শেষে এক যুবতীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবতীর পরিচয় মেলেনি। গতকাল সকালে শহীদ ফারুক সরণির একটি সেলুন থেকে পুলিশ তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।

এরপর তা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারণা করছে, হতভাগা ওই যুবতীকে দোকানের কর্মচারী মিলন ও সুশীল ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে। ধর্ষণের একাধিক আলামত পেয়েছে পুলিশ। তবে অজ্ঞাত ওই যুবতীর পরিচয় নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুর হেয়ার কাটিং নামের ওই সেলুনের মালিক ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সকাল ৮টার দিকে সিঙ্গাপুর হেয়ার কাটিং সেলুনের মধ্য থেকে রক্তের স্রোত রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখে পথচারীরা। তারা পুলিশকে খবর দিলে শাটার খোলা সেলুন থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার করা হয়। যুবতীর বয়স আনুমানিক ২৮ বছর। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) মর্গে রাখা হয়েছে। পলাতক রয়েছে সেলুন দোকানের মালিকসহ ২ কর্মচারী।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, এ দোকানের মালিক লিটন। সে তার ভাই সুশীল (২৪) ও কর্মচারী মিলন (২৩)-কে নিয়ে সেলুনের কাজ করে। লিটন পাশের একটি মেসে থাকে। মিলন ও সুশীল প্রতিদিন রাতে ওই দোকানেই ঘুমায়। দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকার সেলুনে শনিবার দুপুর ২টার পর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।

তবে রাতে ঘুমাতে গিয়েছিল মিলন ও সুশীল। তারাই ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে খুন করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এসআই সাইফুল বলেন, যুবতীর পরনের লাল সালোয়ার পাশে পড়ে ছিল। গায়ের কামিজ গলা পর্যন্ত ওঠানো ছিল। তার বাম হাতে কামড়ের দাগ রয়েছে।

ঘটনার পর সুশীল, মিলন ও লিটন পালিয়ে গেছে। পাশের বিবিধ পণ্য ভাণ্ডারের মালিক নিজাম উদ্দিন বলেন, কাল (শনিবার) সেলুনের দোকান দুপুরের পর থেকে বন্ধ ছিল। আমার দোকান রাত পৌনে ১২টায় বন্ধ করেছি। আমি তখন ওই দোকানের সামনে কাউকে দেখিনি। তবে জানি, দু’জন কর্মচারী দোকানে রাতে ঘুমায়।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সন্ধ্যা হলেই ওই সেলুনের দোকানে আড্ডা বসে। গভীর রাত পর্যন্ত ওখানে বসে আড্ডা দেয় স্থানীয়রা। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ওই যুবতীকে হয়তো জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দোকানের মধ্যে। তারপর ধর্ষণ শেষে তাকে খুন করা হয়েছে। মিলন ও সুশীলকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। সুত্রঃ মানবজমিন। আর কত যুবতীর ভাগ্য ঘটবে এ রকম ঘটনা। দেশে নাকি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভাল। একি তারই নমুনা? হায় মাননীয় স্ব-রাষ্ট মন্ত্রী আর কত বানাতুল ব্যাখা দিবেন আপনার স্ব-রাষ্ট মন্ত্রনালয় সর্ম্পকে।

এবার একটু থামুন। যে নারী ইজ্জত হারিয়ে ফেলে তার ইজ্জত কি আপনি সারা জীবন স্ব-রাষ্ট মন্ত্রী থেকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? আপনি হয়ত এ সব বিষয়ে কোন কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন নতুবা পদত্যাগ করুন। আমরা আর কোন নারীর ইজ্জত হারাতে দেখতে চাই না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.