আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তি পাবো কবে?



আজ সকালে অফিসে যাবার জন্য গুলিস্তানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একটু দেরি হওয়াতে ৬নং বাসটায় উঠতে পারিনি। কি আর করা, আরেকটি বাসের জন্য অপেক্ষা। দাঁড়িয়ে ছিলাম টিকেট কাউন্টর থেকে একটু সামনে। হঠাৎ একটি লোককে সামনে এগিয়ে আসতে দেখে একটু দূরে সড়ে গেলাম।

কিন্তু তার নোংরা দৃষ্টি থেকে মুক্তি পেলাম না। মনের খুশিতে লোকটা আমাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যাচ্ছিল। মুহূর্তে যেন মাথায় রক্ত উঠে গেলো। লোকটার সার্টের কলার ধরে টেনে তাকে সামনে ঘুরালাম। আমাকে কেন ধাক্কা দিলো জিজ্ঞাস করাতে বললো আমি আপনাকে কেন ধাক্কা দিবো? আমি তার কথার প্রতিবাদ করলাম।

আরেক ভদ্রলোক এসে সে লোকটাকে সরি বলতে বললো। লোকটা আস্তে করে কেটে পরলো। ইতিমধ্যে কিছু উৎসুক দৃষ্টি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো। মনে হচ্ছিল আমি যেন চিড়িয়াখানা থেকে ছুটে আশা কোন প্রাণ! এরকম ঘটনার শিকার হতে হয় প্রায়ই। কখনো প্রতিবাদ করতে পারিনা।

একটু ভিড় হলেই একশ্রেনীর মানুষ ঝাঁপিয়ে পরে মেয়েদের ওপর। বাসে উঠতে গেলে কিছু অসভ্য অদৃশ্য হাত মেয়েদের শরীরে স্পর্শ করতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করে। আর বাসের হেলপারগুলোতো মেয়েদের উঠাতে-নামাতে সাহায্যের কোনো কমতি রাখেনা। রাস্তাঘাটে চলতি পথে শুনতে হয় নানা অসভ্য আর বাজে মন্তব্য। মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়ে খুব বড় পাপ করেছি, এখন সেই পাপের শাস্তি ভোগ করছি।

আমরাওতো মানুষ। আমাদেরওতো রাস্তাঘাটে চলাচলের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে কেন আমরা এতো লাঞ্ছনার শিকার হই। আমাদের কে কি কোনোদিনও শোভনদৃষ্টিতে দেখা হবে না? দেয়া হবে না একজন মানুষের মর্যাদা? কবে মুক্তি পাবো এসব কুৎসিত কুরুচিপূর্ণ মানুষগুলোর কবল থেকে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.