আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমজানের ভোজন/ভোগবিলাস এবং বাস্তবতা।

* আমি খুজে বেড়াই নিজেকে *

আমাদের সংযম, আমাদের ভোজন/ভোগ বিলাস সাধারনত খাবারের তালিকা নিম্নরুপ ১) সকালের খাবারঃ রুটি/পরাটা/ভাত , সবজি, ডাল, ডিম, হালুয়া (যেকোন একটা বা দুইটা), চা। ২) দুপুরের খাবারঃ ভাত, সবজি, ডাল, মাছ/মাংস-চা ৩) বিস্কুট/মুড়ি- চানাচুর/বুট/পুরি-চা ৪) রাতের খাবার: ভাত, সবজি, ডাল, মাছ/মাংস বিড়ি খানেওয়ালারা ৩/৭ টা সিগারেট রোজার মাসঃ রোজাদার গনের খাবার ১) ইফতারঃ ছোলা,মুড়ি,শসা, পিয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি, নিমকি, ফলাদি, চিনিসরবত সাথে ট্যাং, খেজুর, চা। ২) রাতের খাবারঃ ভাত, সবজি, ডাল, মাছ/মাংস, চা ৩) সেহরীঃ ভাত, সবজি, ডাল, মাছ,মাংস, দুধ। বিড়ি খানেওয়ালারা ৪/৭ টা সিগারেট যারা রোজাদার নন তাদের খাবার ১) সকালের খাবারঃ রুটি/পরাটা/ভাত , সবজি, ডাল, ডিম, হালুয়া (যেকোন একটা বা দুইটা), চা। ২) দুপুরের খাবারঃ ভাত, সবজি, ডাল, মাছ/মাংস-চা ৩) ইফতারঃ ছোলা,মুড়ি,শসা, পিয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি, নিমকি, ফলাদি, চিনিসরবত সাথে ট্যাং, খেজুর, চা।

পরিমানে একটু বেশী্ই। ৪) রাতের খাবারঃ ভাত, সবজি, ডাল, মাছ/মাংস, চা ৫) প্রায়ই সেহরী খেয়ে থাকেন। ভাত, সবজি, ডাল, মাছ,মাংস, দুধ। বিড়ি খানেওয়ালারা ৩/৭ টা সিগারেট এখন দেখা যায় যে রোজার মাসে এহেন ভোজন রসিকতার জন্য ভোজ্য তেলের বিপুল ব্যবহার, সেই সাথে চিনি, ডাল, পেয়াজ, বেগুন, শসা সহ যাবতীয় দ্রব্যের বিপুল ব্যবহার থাকে। আগে হয়ত সবাই দিনে ১বেলা মাছ বা মাংস না খেলে কোন অভোযোগ থাকছেনা কিন্তু রোজায় ২ প্রকারের মাছ ও মাংস খাবার চেষ্টা সবাই করে থাকেন।

সেই সাথে বাড়তি শক্তি পাবার জন্য দুধের আশা সবাই করেন। এছাড়া রোজাদারদের বাসায় যার রোজা থাকেন যেমন শিশু কিশোর, এবং বে-রোজদার দের জন্য আলাদা রান্নার জন্য আলাদা খরচ যা পরিমানে কম বলে এক্সপেনসিভই হয়। আলাদাভাবে রোজারমাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি লেগেই থাকে। প্রা্য এর ওর বাসায় খাবার পাঠানো হয়। মেয়ের শশুর বাড়িতে ইফতার সামগ্রী না পাঠালে আর চলেনা।

মিলাদ মাহফিলে হুজুর/মোল্লাদের খাওয়ানো, তারাবীহর নামজের জন্য ইমাম/মুয়াজ্জিনকে এক্সট্রা হাদিয়া প্রদান, একে সত্তর হিসাবে দান খয়রাত বেড়ে যাওয়া, কবর জিয়ারতের জন্য মোল্লাদের পয়সা দেওয়া ইত্যাদি বাড়তি খরচাপাতি তো আছেই। তাহলে জিনিস পত্রের দাম তো রোজার মাসে বাড়তেই হবে। তারচেয়ে আসুন আমরা আক্ষরিক অর্থেই সংযমের মাসে সংযম করি। ধর্মকে সঠিক ভাবে পালন করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।