আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিহারের বিধায়কদেরকে চ্যাংদোলা করে বহিষ্কার! বাংলাদেশেও করা হোক!

ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।

(ইত্তেফাক ২২ জুলাই ২০১০) উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী আচরণের কারণে ভারতের বিহার রাজ্যের বিধানসভার ৬৭ বিধায়ককে গতকাল বুধবার সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রাদেশিক পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে বহিষ্কৃতরা ব্যাপক ভাংচুর করেন। তারা স্পিকারের দিকে পাদুকা ছুঁড়ে মারেন এবং কয়েকজন নারী বিধায়ক পার্লামেন্টের বাইরে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাখা বেশ কিছুসংখ্যক ফুলের টব আছড়ে ভেঙ্গে ফেলেন।

পরিস্থিতি এমন জটিল আকার ধারণ করে যে, ওই বিধায়কদের পার্লামেন্ট থেকে বের করতে নিরাপত্তা বাহিনী ছুটে আসে। মারমুখী বিধায়কদেরকে চ্যাংদোলা করে তারা পার্লামেন্টের বাইরে রেখে আসে। বহিষ্কৃতরা সবাই বিরোধী দলীয়। খবর পিটিআই ও সিএনএন আইবিএনের। ঘটনার শুরু আগেরদিন মঙ্গলবার বিরোধী দলের বিধায়করা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করেন।

ক্ষমতাসীন দলের বিধায়ক-দের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা মাইক্রোফোন এবং বেশ কিছু আসবাব ভাংচুর করেন। নীতিশ কুমার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা বিধানসভা প্রাঙ্গণে অবস্থান করার ঘোষণা দেন। ৮০ জন সারারাত না খেয়ে সেখানেই কাটান। গতকাল পার্লামেন্টে গিয়ে রাজ্য বিধানসভা স্পিকার উদয় নারায়ণ চৌধুরী তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে তাদের ৬৭ জনকে চলতি মৌসুমের সব অধিবেশ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।

এরপরই স্পিকারের দিকে পাদুকা ছুঁড়ে মারেন দুই বিধায়ক। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিরাপত্তা সদস্যরা শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের কাঁধে করে কিংবা চ্যাংদোলা করে বাইরে রেখে আসে। কিন্তু মিডিয়াসহ উপস্থিত সবার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় কংগ্রেসের বহিষ্কৃত হওয়া মহিলা বিধায়ক জ্যোতি কুমারীর কাণ্ড দেখে। তিনি ডব্লিউডব্লিউএফ ফাইটারের স্টাইলে একের পর এক ফুলগাছসহ বড় বড় টব মাথার উপর তুলে আছড়ে ভাঙতে থাকেন। টিভি ক্যামেরাগুলো ব্যস্ত ছিল তার এই কাণ্ড রেকর্ড করার কাজে।

কিছুক্ষণ পর তিনি ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়লেও টব ভাঙার মহড়া অব্যাহত রাখেন। শেষে তিনজন মহিলা নিরাপত্তা সদস্য এসে তাকে টানতে টানতে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে পার্লামেন্টের জন্য অপ্রত্যাশিত এবং দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।