আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদে উঁকি দিয়ে চলে যাবেন না: হাসিনা

“আমি বলবো, পার্লামেন্টে আসেন, আলোচনা করেন। উঁকি দিয়ে চলে যাবেন না,” বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন অধিবেশন বর্জন করে আসা বিরোধী দল আগামী বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবে বলে শুক্রবার ইঙ্গিত দেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।
তার একদিন পর শনিবার গণভবনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তাদের সংসদে থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বিরোধীদলীয় নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন, “উনার একটা স্টাইল আছে, সংসদে এক দিনের জন্য আসেন, বিরাট বক্তৃতা দিয়ে চলে যান।


“পত্রিকায় দেখলাম, ৭ দিন যদি পার্লামেন্টে না যায়, তাহলে উনাদের সদস্য পদ চলে যাবে। ৯০ দিনের মধ্যে ৮২ চলে গেছে। ”
আইন অনুযায়ী, সংসদে একটানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। বিএনপির সংসদ সদস্যরা আগামী অধিবেশনে যোগ না দিলে তাদের সদস্যপদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে দাবি করে আসা বিএনপিকে সংসদেই তাদের প্রস্তাব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।


তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি এখনো বলছি, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই এখানে নির্বাচন হবে।
“সেখানে (সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পদ্ধতি) কিছু বলার থাকলে বলুন। ”
বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার চাইলেও অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে নারাজ আওয়ামী লীগ সভাপতি সর্বদলীয় একটি সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
নিদর্লীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলকে হুঁশিয়ারও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
“গণতান্ত্রিক ধারা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমরা কাউকে দেবো না।

খুন, হত্যা,  ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। না হলে এগুলো কীভাবে কঠোরভাবে দমন করা যায়, তা আমরা জানি। ”
তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা দমন করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মহাজোট সরকার বদ্ধপরিকর।  
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়ার নিন্দাও জানান শেখ হাসিনা।
’৭৫ পরবর্তী সামরিক সরকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তখন ভোটারদের ভোট দিতে দেয়া হতো না।

প্রচার মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে ফলাফল পাল্টে দেয়া হতো। ”
দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি বলে আবারো বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
“২০০১ এর নির্বাচনের নামে কী হলো? আর্মি ডেপ্লয় করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অকথ্য নির্যাতন করা হলো। আওয়ামী লীগের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। ”
ওই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এবার আমরা ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নিতে যাইনি।

তার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। ”
দলকে শক্তিশালী করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের মধ্যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, সতীশ চন্দ্র রায়, নূহ-উল-আলম লেনিন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.