আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরথম আলুর বোলগার গুলান কি পাগল?

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
ভাই, একখান কথা কই, আমি পরথম আলুতে একখান পোস্ট দিছি টাইটেল হইলো "যৌবনের ভগ্নাংশে কিয়দ হাইকু! পুরান দিনের কথা খালি চোখের সামনে ভাসে, মাগার নৌকা নাই! কই যাই!" . পোস্টের ভিতর লেখা ছিলো: "...খাতাখানা খুলতে খুলতে নজরে আইলো কাম আকামের পাশাপাশী দুয়েকটা হাইকুও আমি লিখছি। এইসব লেখনের পিছনে নিশ্চয়ই কিছু পটভূমি আছিলো। সেই পটভূমি মূলক আলোচনা হ হাইকু গুলান শেয়ার করলাম। ১. কি সুন্দর ক্ষেত টয়লেটে ধরছে কিন্তু পাইনা কুনো বদনা কাম কইরা কই যাই, খাইলাম একখান ধরা ইহা ২০০৭ সালে লেখা।

হোয়াওয়েতে ডিজাইন ইন্জ্ঞি হিসাবে কাজ করাতে সেইবার যাইতে হইছিলো জলঢাকা। সারাদিন কাম কইরা যখন ফিরতে আছিলাম রংপুর শহরের হোটেলে, তখন রাস্তার মাঝখানে ড্রাইভার গাড়ি খান থামাইয়া কয়,"স্যার, জোরছে টয়লেট ধরছে, আপনে বসেন আমি একটু দেখি কই করন যায়!" এইডা কইয়া আমার উত্তরের না অপেক্ষা কইরা দিলো দৌড়। আমিও তার পিছে পিছে গেলাম। দেখলাম একখান বাড়িতে নক করতেই সুন্দর একখান মাইয়া দরজা খুললো। তারে কি জানি বইলাই ভিতরে দৌড় দিলো।

আমি ভাবলাম মাইয়ার লগে টান্কি মারি। সামনে গিয়া দেখি মাইয়ার কপালে সিন্দুর। কই যাই! এদিকে ড্রাইভার বাবাজী প্রায় ১ ঘন্টা পর বাইর হইলো। কিছু না জিগাইয়া গাড়িতে উইঠা জিগাইতেই কওন শুরু করলো,"স্যার কিছু মনে কইরেন না, বড়টা ধরছিলো টয়লেটে বইসা সব শেষ কইরা দেখি বদনা নাই ভিতরে। মহা টেনশন, প্যান্টের ভিতর টিস্যুও নাই।

তাই অনেক চিন্তা ভাবনা কইরা আন্ডারওয়্যার দিয়া কাম সারলাম। " আমি দুইটা ঢোক গিল্লা কইলাম,"আইজ আমার মেলা প্রেসার গেছে। আমি পিছে গিয়া ঘুমাইলাম, আপনে সামনে কোথাও সুবিধামতো জায়গায় ফ্রেশ হইয়া নিয়েন!" কইয়া কানে হেডফোন লাগাইয়া এই তিন লাইন লেখা! ২. কি সুন্দর ডাব গাছ মাগার ডাবের জায়গায় গাব কেন হেডস্যার জবাব দেন! ইহা লেখা হইছে ১৯৯২ সালে যখন আমি জিলা স্কুলে হেডমাস্টারের সুন্দরী কন্যারে দেইখা মুগ্ধ হইলাম। সমস্যা হইলো, তখন যারেই দেখতাম তাতেই মুগ্ধ হইতাম। যাই হোউক, হেডমাস্টারের মাইয়া ফরিদপুর গার্লস স্কুলে ডে শিফটে পড়তো।

তাই আমি তারে দেখনের লিগা একখান হাত ঘড়ি কিন্যা প্রতিদিন ক্লাশ শুরু হওনের ৩০ মিনিট আগে স্কুলের গেটের সামনে খাড়াই থাকতাম। তখন আছিলো জুন মাস, মাগার হেই মাইয়ারে অনেকদিন দেখি না। তাই অনেক কস্টে ডাব গাছে উঠা শিখলাম কারন পাশের চার্চের ডাব গাছে উঠলে হেগো বাড়ির ভিতর সরাসরি দেখন যায়। ডাব গাছে উইঠা যখন ৩০ মিনিট উকি ঝুকি মারলাম, তখন মনে হইলো কিছুই দেখলাম না। যখন গাছের থিকা নামলাম তখন পিছন দিয়া ফড়াৎ কইরা শব্দ হইলো।

হাত দিয়া দেখি প্যান্ট ছিড়ছে লাইন ধইরা। নীচে নাইমা জুতা জোড়াও পাই না। বড় সমস্যায় পড়ছিলাম সেই দিন! ৩. কাঠাল পাড়তে তেল লাগাইলাম খাইতে গিয়া কষ হাতাইলাম কিন্তু কোয়া কই? এই হাইকু খান লেখা হইছিলো ২০০০ সালের মে-জুনের দিকে। তখন ক্যাম্পাসে যেইদিকেই তাকাই খালি কাঠাল আর কাঠাল। আমি আর আমার দুই রুম মেট মিলা খালি ঠিক করতাম আইজকা এই কাঠাল পারুম।

মাগার রাইতে গেলে দেখতাম সেই কাঠাল খান নাই। আমি সোজা রুম মেটগো জিগাইতাম,"তুমরা কি এইসব কাঠাল আমারে দিয়া সিলেক্ট করাইয়া নিজেরাই গলধঃকরন করতাছো?" কুনো সদুত্তর না পাইয়া, একদিন রাইতে আমরা তিনজনই বাইর হইলাম যাহা চোখের সামনে পাইবো তাহাই পাড়িবো। খুজতে খুজতে পাইয়া গেলাম এক্সটেনশনের কাছের দুইটা গাছে। সবুজরে পশ্চাদ্দেশ ঠেলিয়া কোনো মতে দুইজন গাছে উঠাইয়া কইলাম,"তুমি কাঠালের বোটা খসাও, আমরা নীচে ক্যাচ ধরিবো!" ক্যাচ ধরিতে গিয়া মুনিম বাবাজী ভুলে নিজের লুঙ্গিখানা পাতিয়াছিলো। বড়ই বেলাজের বিষয় পরথম কাঠালোর পতনের বেগের কারনে তাহার লুঙ্গীখানা সম্মুখে ফুটা হইয়া যায়।

কুনো মতে আমরা তিনজনে চাইর খানা কাঠাল আনিয়া হলের মুখে প্রবেশ করিলাম। রুমে আসিয়া টিপিয়া দেখি কাঠাল গুলান কাচা সব। কি আর করা, মুনিম হলের রান্নাঘর থিকা গরম রড আনিয়া দিলো কাঠালের পশ্চাদে ঢুকাইয়া। তাহার পরদিন সকাল বেলা কাঠালের ঘ্রানে আমার দম বন্ধ হইয়া যাইবার উপক্রম। রুমের দরজা খুলিতেই দেখি হলের সব পুলাপান আগের রাইতে মুনিমের গনদাওয়াতে হাজির।

কেউ ব্রেক ফাস্ট করে নাই, আমি মুনিমকে বলিলাম,"মুনিম কাঠাল ভাঙ্গো, আর সবুজ মিয়া অবুঝের মতো ভাগ করো, আমি আসিতেছি!" দুই কদম যাইতে পারি নাই, দেখি মুনিম আর অবুঝ দৌড়াইতেছে, আমিও দৌড়াইলাম, ক্যান্টিনে যাইয়া লুকাইলাম। পরে শুনিলাম কাচা কাঠাল খাইয়া সবার তৃপ্তি চরমে পৌছাইবার কারনে তাহারা উল্টা আমাদেরকে কিয়দ গদাম খাওয়াইতে চাহিয়া আছিলো। যাই হোউক, এই হাইকু খানা তখনই লেখা! ৪. চোখ বুঝিলে দেখি না কিছু খুলিলে ঘুম আসে না পিছু মন চায় যাইতে মাচু পিচু! ইহা লিখিত হইয়াছিলো ১৯৯২ সালে বার্ষিক পরীক্ষার সময় সপ্তম ক্লাশে মনে হয় আছিলাম। বাংলা পরীক্ষা দিতে গিয়া দেখি নজরুলের কবিতা আইছে, মাগার ক্লাশে পলাশ কইছিলো ওর বাংলা টিচার নাকি কইছে জসীম চাচার কবিতা খান নাকি আইবোই, মিস নাই। মাগার প্রশ্ন পত্রে কেমনে জসীম চাচা নজরুল হইয়া গেলো বুঝতে পারতেছিলাম না।

পরীক্ষার দুই দিন আগে ভবেশ রায়ের একখান বইতে মাচুপিচুর ইনকা সভ্যতা নিয়া একখান গান্জ্ঞা লেখা মান্জ্ঞা মাইরা পড়ছিলাম। সেইটা ইয়াদে রাইখা লেইখা দিলাম উপ্রের তিনটা লাইন। ভাবছিলাম সেইবার ফেল ঠেকায় কে, মাগার কেমনে জানি ৩৩ পাইয়া কানের কাছ দিয়া গুলি যায়। যদিও এই মার্কশীট আম্মাজানের হাতে যেইদিন পড়লো সেইদিন গুল্লী মনে হয় পুরা বডির ভিতর দিয়াই যায়, মাইর একখানও মাটিত পড়ে নাই! আইজকা এই কয়টাই লিখলাম, পরে আরেক দিন বাকিগুলান !..." যাই হোউক, পরশু দিন লেখা দিয়া ঘুমাইতে গেলাম, সকালে উইঠা দেখি নির্বাচিত পোস্ট হইয়া সবার উপরে। আমি তো খুশী, মাগার সমস্যা হইলো সেইখানকার সবচেয়ে জ্ঞানীগুনী বোলগার আমার পিছনে লাগলো এই পোস্ট শিরোনামে "নির্বাচিত পোস্ট নির্বাচিত চোখে নির্বাচিত করুন" . আর ওমনি সক্কলে আমার উপর ঝাপাই পড়লো।

আমি না জানি কি খারাপ কথা লিখছি! তাই কিছু পয়েন্ট আউট: ১) এই পোস্টে অশ্লীলতা কই? ২) এইটা নির্বাচিত হইছে, এইখানে আমার দোষ কই? ৩) এই ব্লগে লিখতে হইলে কি সুশীল হওন দরকার? কিছু কিছু বোলগার আমার পিছে উইঠা পইড়া লাগলো। একজন তো তার পোস্ট মুইছাই দিলো! এই ব্লগ যে সুশীলগো দখলে এইটা জানতাম না। হ্যাপী বোলগানী!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।