আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাগনভূঞায় নিহতের লাশ পিতার বাড়ীতে দাফন

আমি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত

দাগনভূঞায় নিহতের লাশ পিতার বাড়ীতে দাফন দাগনভূঞা প্রতিনিধি দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের দরাপপুর গ্রামের আজগর আলী ভূঞা বাড়ীর নূর নাহার (৩৫) এর লাশ তার পিতার বাড়ী কেরোনিয়ায় ময়না তদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়েছে। দাফনের সময় নিহতের ছেলে রুদন, বাপ্পি ও রাব্বিসহ আত্মীয়স্বজনের আহাজারীতে এক করুন বেদনার পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। উল্লেখ্য যে, ৩ সন্তানের জননী নূর নাহারকে ভাসুর ও সদ্য বিয়ে করা স্বামী আবদুল গফুর, সতীন বকুলের নেছা, মেয়ে রুনা ও রীনা এবং রুনার স্বামী ছায়েদুল হক পরস্পর পরস্পরের যোগসাজসে গত সোমবার ভোরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে বলে থানায় মামলার সূত্রে জানা যায়। প্রধান আসামী আবদুল গফুর গ্রেফতার হলেও অপরাপর আসামীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ময়নাতদন্তে আঘাত ও শ্বাসরোধের আলামত রয়েছে।

স্থানীয় ও বাদীর এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দরাপপুর গ্রামের আজগর আলী ভূঞা বাড়ীর মšু‘ মিয়ার ছেলে আবদুল হকের সাথে একই উপজেলার কেরোনিয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে নূর নাহারের সাথে ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়। ৬ বছর আগে নূর নাহারের স্বামী আবদুল হক মারা যায়। নূর নাহার স্বামীর মৃত্যুর পর ভাসুর আবদুল গফুর নূর নাহারকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নূর নাহার অভিযোগ করে বলে তার মামা তাজু মেম্বার অভিযোগ করে। গত শনিবার ভাসুর আবদূর গফুর নূর নাহারকে জোর পূর্বক শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে গত শুক্রবার রাতে নূর নাহারের সাথে ভাসুর আবদুল গফুরের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেয়।

বিয়ের ২ দিনের মাথায় মেহেদী রং মছতে না মুছতেই আসামীরা নূর নাহারকে হত্যা করে। নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ওসি শেখ লুৎফুর রহমান জানান ঘটনাটি নির্মম ও বেদনাদায়ক। অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। এলাকায় এমৃত্যুকে নিয়ে আলোচনা সমালেচনার ঝড় বইছে।

মোঃ আবু তাহের দাগনভূঞা-ফেনী, ০১৭১৫-০৯১১৮৪, ৭ জুলাই/২০১০

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.