আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোরের কাগজ- সাপ্তাহিক বেড়ানো ফিচার পাতা প্রকাশ তারিখ- ০৮ জুলাই



ভোরের কাগজ- সাপ্তাহিক বেড়ানো ফিচার পাতা প্রকাশ তারিখ- ০৮ জুলাই ২০১০ রথ উৎসবে দীপক চন্দ্র পাল গ্রামবাংলার লোকজ ঐতিহ্যের ধারক ও ইতিহাসের আবর্তে ঘেরা ঢাকার অদূরে ধামরাই উপজেলা এক অতি প্রাচীন ঐতিহ্যময় জনপথ। সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির এক অপূর্ব ঐতিহ্য রয়েছে এই ধামরাইয়ে। ১৬টি ইউনিয়নের ৪০৮টি গ্রাম নিয়ে ধামরাইয়ের পরিধি বি¯—ৃত রয়েছে। হিন্দু স¤প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থস্থান মাধববাড়ী ও রথমেলা উৎসব এবং পাশাপাশি রয়েছে মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন পাঁচ পীরের মাজার, ধামরাই বাজারের অতি পুরাতন জামে মসজিদ। এবার ধামরাইয়ের রথ উৎসব শুর“ হবে আগামী ১৩ জুলাই।

২২ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে উল্টো রথযাত্রা। তবে রথমেলা চলবে জুলাইয়ের শেষ পর্যš—। বর্ণাঢ্য এই আয়োজন ও লাখো লোকের সমাবেশ প্রায় মাসব্যাপী এ রথ উৎসব মেলা উপভোগ্য ও দেখতে ভালো লাগবে। অপরদিকে রয়েছে আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যমÊিত কুটির শিল্প, তামা-কাঁসার তৈজসপত্র। রয়েছে ধামরাইয়ের বিভিন্ন তামা-কাঁসার স্টল ও শোর“ম।

রথ উৎসব ও তার মাসব্যাপী মেলা হিন্দু ধর্মীয় ভাবধারায় প্রায় ৪০০ শত বছর পূর্ব থেকে শুর“ হলেও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির কারণে এই উৎসব ব্যাপকভাবে সার্বজনীনতা লাভ করেছে। এই ধর্মীয় রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে ও ইতিহাস খ্যাত ধামরাইয়ে বেড়ানোর জন্য প্রতিটি বাসগৃহে দূর-দূরাš— থেকে আত্মীয়রা এসে ভিড় করে। অতীতে বাংলাদেশ নয় বিদেশ থেকেও হাজারো ভক্ত রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে ধামরাইয়ে এসে ভিড় জমাতো। পুরো উৎসবটিই কালের বিবর্তনে এখন ধর্মীয় ভাবধারা নয় সার্বজনীন স্রোতধারায় প্রভাবিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মের পাশাপাশি রয়েছে মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর অপূর্ব নিদর্শন সংবলিত ঐতিহ্যময় পুরাতন অট্টালিকা, মাজার, মসজিদ।

এছাড়াও রয়েছে এতিহ্যমÊিত কার“কাজ খচিত দর্শনীয় বেশ কিছু আবাসিক ভবন যা দেখার জন্য দূর-দূরাš— থেকে দর্শনার্থীরা এসে এই ধামরাইয়ে ভিড় করে। এসব ভবনগুলোতে নাটক ও চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাÊে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় ভবনগুলো ¯^ত্বাধিকারীরাই নিজ উদ্যোগে র¶ণাবে¶ণ করে কালের সা¶ী করে রেখেছে। কিভাবে যাবেন এতিহাসিক রথ উৎসবে বেড়াতে : প্রথমে ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের চলাচলকারী যেকোনো লোকাল বা সরাসরি বাসে অথবা অন্য কোনো যানবাহনে করে ধামরাই আসার সুব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকার বাইরের জেলা বা অন্য কোনো স্থান থেকে ঢাকা মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গাবতলী আš—ঃজেলা বাস টার্মিনালে এসে নামতে হবে।

এরপর বাসে গুলি¯—ান, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও গাবতলী থেকে ধামরাই আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রয়েছে। গুলি¯—ান থেকে যেকোনো বাসে ধামরাইয়ের ভাড়া হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। গাবতলী থেকে ধামরাইয়ের ভাড়া ২০-২৫ টাকা। অপরদিকে যদি আরিচা থেকে ধামরাই আসা হয় সে ¶েত্রে বাসে ভাড়া নিবে ৩৫-৪০ টাকা। ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডে চন্দ্রা মোড় থেকে নবীনগর ভাড়া ১৫-২০ টাকা, নবীনগর থেকে ধামরাইয়ের ভাড়া ৫-১০ টাকা।

তবে রথ উপল¶ে ভাড়া বেশি আদায় করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ধামরাই আসার পথে নজরে পড়বে ’৭১-এর ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ¯^াধীনতার ধারক জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধামরাই আসার পথে সরাসরি ধামরাইয়ের বাস থাকলে ও দূরপাল­ার গাড়িগুলোর যাত্রী নামবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড, থানা বাসস্ট্যান্ড ও ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে। এসব বাসস্ট্যান্ড থেকে ধামরাই রথ মেলাঙ্গন যেতে রিকশা ভাড়া নিবে ৫-১৫ টাকা পর্যš—। ধামরাই এসে কোথায় থাকবেন, কি খাবেন : ধামরাইয়ের ঐতিহাসিক মাধব মন্দিরে হিন্দু স¤প্রদায়ের ভক্তরা এসে দলবদ্ধ হয়ে রাত্রিযাপন করেন।

কেউ কেউ পরিচিতজনদের বাসায় চলে যায়। অপরদিকে যারা অপরিচিত তাদের জন্য এখানে কোনো আবাসিক হোটেল নেই, তবে ধামরাই থেকে সাভার ও ঢাকার দূরত্ব কম থাকার কারণে আবাসিক হোটেলে গিয়ে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া মেলায় সময় কাটানোর মতো যথেষ্ট উপভোগ্য জিনিস ও সার্কাসসহ অন্যান্য প্রদর্শনী রয়েছে। অপরদিকে ভিআইপিদের জন্য সরকারি ডাকবাংলো, বিভিন্ন গেস্ট হাউস ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে তা সংশি­ষ্ট প্রশাসনের অনুমতি সাপে¶ে। স্থানীয় হোটেলগুলোতে যেকোনো ধরনের খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।

তবে খাদ্য গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ক্রেতাদের দামদস্তুর করে নিতে হবে, যাতে কেউ ঠকাতে না পারে। আত্মীয়¯^জন বন্ধুবান্ধব থাকলে অবশ্যই তাদের মোবাইর ন¤^র সংগ্রহ করে নেবেন। তাছাড়া জিনিসপত্র নিজের তত্ত¡াবধানে রাখবেন। আগত দর্শনার্থীদের নিরপত্তা প্রসঙ্গে : আগত রথ উৎসব সকল দর্শনার্থীদের খেয়াল রাখতে হবে যে, ব্যাপক জনসমাগম ও ভিড়ের কারণে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হলে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বরত পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, মেলা কর্তৃপ¶ের ¯ে^চ্ছাসেবক দল, চৌকিদারের সাহায্য চাইতে হবে। মেলায় দায়িত্বরত পুলিশসহ সকলেই যে কোনো ধরনের অভিযোগ সতর্কতার সঙ্গে তদারকি করবেন।

এ কারণে বেড়াতে এসে মেলাঙ্গন অনুসন্ধান কেন্দ্রে থেকে সম্ভাব্য যোগাযোগ ন¤^রগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে নিবেন। প্রয়োজনে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের ফোন ন¤^র সংগ্রহ করে সহযোগিতা পেতে পারবেন। সংগ্রহ করে নিতে হবে। মেলা না থাকলেও কখনো কেউ ধামরাই বেড়াতে এলে এ সংক্রাš— বিষয়ের ব্যতিরেকে অন্যান্য তথ্যাবলী অনুসরণ করতে হবে। এ রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে আগত দর্শনার্থীদের ধামরাইয়ের তামা-কাঁসা শিল্পের কারখানা, শোর“ম, স্টল পরিদর্শনের সুযোগ রয়েছে।

----- ধারাবাহিক. পর্ব-০২ থাইল্যান্ডের গল্প মুহাম্মদ জহীরুল ইসলাম বাসের টিকিট কাটার সময়ই জানতে পেরেছিলাম ফুকেট সৈকতের টপলেস ললনাদের কথা। তাই সহযাত্রী শ্বশুড় শ্বাশুড়িকে নিয়ে ফুকেট যাত্রাতে অ¯^¯ি—¡তেই পরতে হলো। ফুকেট পৌছে হোটেলে উঠে প্রথমেই আমি একা বিচ বরাবর একটা হাঁটা দিলাম এবং মনে মনে ¯^¯ি—¡র নিঃশ্বাস ফেললাম। আমরা ফুকেটের মেইন বিচ “পাতং” এই ছিলাম। সম্ভবত তখন অফ পিক সিজন বলে ভিড় একটু কম, আর বিচে একটাও টপ লেস খুঁজে পেলাম না! এর আগে একটা মজার ঘটনা হয়েছে।

ফুকেটে পৌঁছার একটু আগে গাড়ি একটা এজেন্সির সামনে থামল। ড্রাইভার বলল আপনারা যারা চান এখান থেকে হোটেলের বুকিং দিতে পারেন। আমি আর আমার শ্বশুড় নামলাম। একজন লেডি বয় (হিজড়া) কাউন্টারে বসে আছে। একটা হোটেল বুকিং দিলাম।

বুকিং এর সময় এক পর্যায়ে এজেন্ট বলল, ঘড় ষধফু পযধৎমব থাই ইংলিশ আবার এক জটিল ইংলিশ। আমি প্রথমে বুঝতে পারলাম না। ও দ্বিতীয়বার বলার পর আমি বুঝে গেলাম, আর চেপে গেলাম সাথে সাথে। জানি না আমার শ্বশুড় বুঝতে পেরেছিল কিনা। হোটেলে এসে দেখি রিসেপ্সনের দেয়ালে বড় বড় করে লেখা খধফু পযধৎমব = ৩০০ ইধঃয।

মানে আপনি যদি বাইরে থেকে কোন মেয়ে নিয়ে আসেন, তাহলে ৩০০ বাথ চার্জ দিতে হবে, কিন্তু এখন অফ পিক বলে ঘড় ষধফু পযধৎমব। যাইহোক পাতং বিচ কিন্তু খুব ছোট। আপনি দেখে হতাশ হবেন। ভাববেন, এত পয়সা খরচ করে এখানে এসে কি লাভ। হোটেলগুলো সব বিচের ধারে গড়ে উঠেছে।

ফুকেটের আসল মজা হল, এখান থেকে আপনি অনেকগুলো আইল্যান্ড হপিং ট্যুর নিতে পারবেন যেগুলো অসাধারণ ! আমার হাতে একদিন সময় ছিল। আমাকে বলল আপনি “ফি ফি আইল্যান্ড” ট্যুরটা নেন। এই প্যাকেজে আমরা মায়া বে, মাংকি বিচ, ফি ফি আইল্যান্ড, খাই নক আইল্যান্ড, পিলেহ লেগুন দেখব। আর দুই জায়গায় আমরা স্নরকেলিং (ংহড়ৎশবষরহম) করব। স্নরকেলিং যে এতো বীরঃরহম সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না।

এটা হচ্ছে চোখে গগলস পরে, মুখে একটা পাইপ লাগিয়ে, পানির উপর দিয়ে ভেসে পানির নিচে দেখা। পানির নিচের জগৎকে এক অন্য জগৎ মনে হয়। রংবেরং এর প্রবাল আর মাছ সব আপনার গা ঘেষে চলে যাচ্ছে, ভেবে দেখুনতো একবার! আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটা অভিজ্ঞতা। পুরো দিনটাই আমি এনজয় করেছি। পানি, সমুদ্র, সৈকত, আকাশ সবই অদ্ভুত সুন্দর।

আর ট্যুর অপারেটরদের সার্ভিসও খুব ভাল, একটু পর পর ঠান্ডা পানি, কোক, ভরদুপুরে সু¯^াদু এবং ঠান্ডা তরমুজ আর আনারস খাওয়ালো, কি যে শাšি— লেগেছিল সেই তপ্ত আবহাওয়ায়। বলা বাহুল্য, থাইল্যান্ড মোটামুটি গরম এলাকা, কিন্তু আর্দ্রতা একটু কম হওয়াতে মোটামুটি সহ্য করা যায়। (চলবে )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।