আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোরের আগে রাত-২

অনেকদিন আগে ব্লগটা খুলেছিলাম...অনেক কথা লেখার ছিল...কিন্তু লেখা হয়নি। এখন ভাবছি লিখব...আগেই লেখা উচিত ছিল!

মাঝরাতে জয়া... ১ম অংশ কতদিন গেছে এই পাঁচতারা হোটেলের পাশ দিয়ে কিন্তু কোনদিন ভেতরটা দেখা হয়নি! দেখা বলতে ওই বিশালাকার মিলনায়তন, যেখানে প্রায়ই বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়। আজ সন্ধ্যায় কাজী অফিস থেকে বেরিয়ে যখন জয়া, মির্জা আর দুজন বন্ধু এখানে খেতে এলো...জয়ার মনটাই জুড়িয়ে গেল! ডোর ম্যানের অভ্যর্থনা, সুন্দর, শান্ত, ঝকঝকে লবি...ঠিক যেন ছবিতে দেখা বিদেশের মতো! রেস্টুরেন্টের হোস্টেস দেখতে আমাদের অনেক দেশী মডেলদের চাইতে ভালো। কিন্তু খাবারের কি দাম বাবা! একেকজনের বুফ্যে ডিনার দু’হাজার টাকা! নাহ আজ আর জয়া মির্জাকে বাধা দেয়নি। করুক না একটু খরচা...টাকা নেই তো কি!...আজ যে ওদের বিয়ের দিন! না হয় ঘটা করে কিছু হয়নি, কিন্তু দিনটা তো আর স্মৃতি থেকে মুছে যাবে না! চিরকাল মনে থাকবে... হাসি, ঠাট্টা, গল্পে সময় যে কখন ১০টার কাটা ছুই ছুই করছে বোঝা যায়নি।

উঠে গেল ওদের বন্ধু দুজন। মা’র বাসায় বাচ্চা রেখে এসছিল, তাই রাত করেনি ওরা। ওরা যেতেই ফোন বেজে উঠলো মির্জার। উঠে গিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে কি বলছে মির্জা? কার সাথে কথা বলছে! বুঝতে চেষ্টা করলো জয়া...নাহ...বোঝা যাচ্ছে না! জয়া ডেজার্টে মন দিল। কি দারুণ এদের আইসক্রিম! ঠিক যেন প্রথম প্রেমের অনুভূতি! আচ্ছা বাইরে এমন পাওয়া যায় না কেন? নাকি যায় কোথাও...জয়ারই যাওয়া হয়নি... তাড়াহুড়ো করে বিল মিটিয়ে মির্জা খানিকটা ছুটে এলো।

“জয়া আমার এক্ষুণি যেতে হবে...খুব সমস্যা হয়ে গেছে...” শেষ করতে দেয় না জয়া... “কি, হয়েছে কি! আহা...বল না এমন হাপাঁচ্ছো কেন?” মির্জাঃ “অত কথা বলার সময় নেই, আমি এক্ষুনি ফিরে আসছি...তুমি প্লীজ লবিতে বা কোথাও বসো। প্লীজ রাগ করোনা...আমি যাবো আর আসবো” মির্জা ছুটতে লাগলো...জয়া ডাকছে পেছন থেকে... “মির্জা...মির্জা...” রেস্তোরার বাকীরা ঘুরে তাকাচ্ছে জয়ার দিকে! জয়া সামলে নেয়। ওই রকম অবস্থাতেও জয়ার অবচেতন মন বুঝতে পারে এখানে যারা আসে তারা জোরে কথা বলায় বা শোনায় অভ্যস্ত নয়। লবিতে বসে অনেক কথা ভাবে জয়া। শঙ্কা-আশঙ্কায় ভরে উঠে মন।

রাত বারোটা বাজতে চলল...সেই যে গেল...কিন্তু ফিরছে না কেন? ফোন বেজে চলেছে ওপাশে, ফোনও ধরছে না! দৌড়ে ছুটতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেনিতো মোবাইলটা! জানানো হয়েছে ওই দুজন বন্ধুকেও, ওরাও চেষ্টা করছে। কিন্তু কই মির্জা...মির্জাতো নেই কোথাও! (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।