আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথমবারের মতো স্পেন বিশ্বকাপের সেমিতে

হয়ত কোন একদিন পাবো এদেশের বুকে পরিপূর্ণ শান্তি, কলুষ অমানুষদের হাত থেকে দেশ পাবে স্নিগ্ধতার পরশ--- সেই দিনটির অপেক্ষায়...

প্যারাগুয়েকে শনিবার ১-০ গোলে হারিয়ে স্পেন চতুর্থ দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে। খেলার ৮২ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ডেভিড ভিয়া। ফলে পাচ গোল করে তিনি এখন বিশ্বকাপে গোলদাতাদের তালিকায় সবার ওপরে উঠে গেলেন। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছায় স্পেন। ম্যাচে দু'দলই একটি করে পেনাল্টি পায়।

কিন্তু গোল করতে পারেননি কোনো দলই। সেমিফাইনালে স্পেন মুখোমুখি হবে জার্মানির। অপর সেমিতে উরুগুয়ে খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ডারবানের মোসেস মাভিদা স্টেডিয়ামে দু'দলই খেলা শুরু করে দ্রুতলয়ে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন কয়েকটি আক্রমণ ছাড়া কোনো দলের খেলায় পরিকল্পনার ছাপ ছিল না।

প্রথম আক্রমণ চালিয়েছিল প্যারাগুয়ে। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে শট নেন জোনাথন সান্তানা। বল অবশ্য জমা পড়ে স্পেনের গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসের হাতে। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে কর্নার পেয়েছিল স্পেন। কিন্তু বলে মাথা লাগাতে পারেননি সার্জিও র‌্যামোস।

ছোট ছোট পাসে খেলে গোল করার চেষ্টা করে স্পেন। কিন্তু প্যারাগুয়ের রক্ষণভাগে এসে থেমে যায় সেসব আক্রমণ। প্যারাগুয়ের কোচ বলেছিলেন, তিনি আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলবেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি দলকে খেলালেন রক্ষনাত্মক অর্থাৎ ৪-১-৩-২ পদ্ধতিতে। ফলে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে স্পেন।

কিন্তু ইনিয়েস্তা, জাভি, ভিয়া, তোরেসরা বল পায়ে রেখেছেন ঠিকই, তবে গোলের সুযোগই তৈরি করতে পারেননি। ২৮ মিনিটে অবশ্য দূর থেকে প্যারাগুয়ের গোলপোস্টে শট নিয়েছিলেন জাভি। বল চলে যায় ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে। আন্দ্রে ইনিয়েস্তা ৩৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে প্যারাগুয়ের গোলমুখে চমৎকার ক্রস করেছিলেন। কিন্তু সেই বলে পা কিংবা মাথা কোনোটাই ছোঁয়াতে পারেননি তোরেস।

খেলার ধারার বিপরীতে ৩৯ মিনিটে হঠাৎ গোল করে বসেছিল প্যারাগুয়ে। স্পেনের বক্সে বল পেয়ে ডান পায়ে শট নেন নেলসন ভালদেজ। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর বিরতির আগে পর্যন্ত সেই একই ছবি। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্যভাবে।

দ্বিতীয়ার্ধে স্পেন কৌশল বদলে ফেলে। ভিয়া এবং তোরেস চলে যান দুই প্রান্তে। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না দেখে কোচ দেল বস্কে তোরেসকে উঠিয়ে মাঠে নামান ফ্যাব্রেগাসকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ব্যবধানে ঘটে যায় অভাবনীয় নাটক। ৫৬ মিনিটে কর্নার পায় প্যারাগুয়ে।

কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে প্যারাগুয়ের অস্কার কার্ডোজোকে বক্সের ভেতর হাত ধরে টেনে ফেলে দেন জেরার্ড পিকে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু কার্ডোজোর শট ধরে ফেলেন ক্যাসিয়াস। পরের মিনিটেই পাল্টা-আক্রমণ চালায় স্পেন। সে সময় ভিয়াকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন প্যারাগুয়ের আলকারেজ।

এবার রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান স্পেনের পক্ষে। জাভি আলোন্সো পেনাল্টি থেকে গোল করলেও রেফারি তা বাতিল করে দেন। কারণ স্পেনের খেলোয়াড়রা আলোন্সোর শট নেয়ার আগেই বক্সে ঢুকে গিয়েছিল। ফলে আবারো পেনাল্টি শট নিতে হয় আলোন্সোকে। তবে তার শট ঠেকিয়ে দেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক জুসতো ভিলার।

শেষ পর্যন্ত ৮২ মিনিটে কাক্সিক্ষত গোলের পায় স্পেন। ইনিয়েস্তা বল দিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় পেদ্রোকে। তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে মাটি কামড়ানো শট নেন ভিয়া। বল পোস্টে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.