আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোরের কাগজ- সাপ্তাহিক বেড়ানো ফিচার পাতা প্রকাশ তারিখ- ০১ জুলাই ২০১০



বর্ষায় নৌকায় সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ জীবনের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য ছুটে বেড়ায় এক স্থান হতে অন্য স্থানে। আজকাল প্যাকেজ ট্যুর কোম্পানির বদৌলতে মানুষ শুধু দেশে নয় বিদেশেও যাচ্ছে। আসলে নাগরিক ব্য¯—ময় জীবনে অবসর কম থাকার কারণে মানুষ শুধু উলে­খযোগ্য স্থানেই যাচ্ছে। মুলতঃ পাহাড়, ঝরণা, সমুদ্র কেন্দ্রিক স্থান হয়ে গেছে মানুষের অবসর বা ছুটি কাটানোর উত্তম জায়গা। তবে কিছু কিছু দুঃসাহসিক পর্যটক আছেন যারা আর্থিক দিকটি বাজি রেখে নতুন জায়গায় নিজের পদচিহ্ন ফেলতে ব্য¯—।

আর তাই এসব পর্যটকদের জন্য রয়েছে নতুন প্র¯—াব। আর সেই প্র¯—াবনাটি হলো “বর্ষায় নৌকা ভ্রমণ”। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশের একটি জেলা হবিগঞ্জ। হবিগঞ্জেরই একটি উপজেলা লাখাই। তবে এই লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাওড়ই হতে পারে আপনার কাক্সিখত ¯^প্ন পূরনের জন্য অনন্য ও অসাধারন স্থান।

যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে সহজেই লাখাই যেতে পারেন। উপজেলার নাম লাখাই হলেও মূল উপজেলা পরিষদ, কালাউক এবং উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কার্যালয় বামৈ নামক স্থানে অবস্থিত। আর এই বামৈই হচ্ছে প্রকৃতপ¶ে লাখাই উপজেলার কেন্দ্রবিন্দু। বামৈ হতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যায়। লাখাই উপজেলায় রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।

এগুলোর মধ্যে দয়ানন্দ আশ্রম, লাখাই শ্যামবাবুর দালান, টাউনশীপ, নোয়াগাঁও জেলে পল­ী, মাদনা নবীবন্দর, ভাদিকারা গ্রামের মাজার, বামৈ হাসপতাল সংলগ্ন মন্দির ইত্যাদি উলে­খযোগ্য। বামৈ হতে চাঁদনী রাতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ছোট নৌকা ভাড়া করে চলে যান আশেপাশের হাওড়ে। নৌকা ভাড়া সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা। রান্না হবে নৌকায়। সারারাত নৌকায় বি¯—ৃর্র্ণ হাওড়ে ঘুরতে পারেন ।

দিনের বেলা হাওড়কে সমুদ্রের মতো মনে হয়। হাওড়ের বৈশিষ্ট্য হলো, শীতকালে এখানে কোনো পানি থাকে না যাকে বলে একেবারে মাঠ কিন্তু বর্ষাকালে আট থেকে দশ হাত পানি থাকে। লাখাই উপজেলার বেশীর ভাগ মানুষ গরীব। তারা ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে শ্রমজীবি হিসাবে কাজ করে। হাঁটতে হাঁটতে যদি কখনো কোন দোকানের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাখরখানি বানাতে দেখেন তাহলে বুঝবেন দোকানি পূর্বে ঢাকায় বাখরখানি দোকানে কর্মচারী ছিল।

হাওড়ে নৌকায় ঘুরতে হলে শরৎকালই একমাত্র উপযুক্ত সময়। কারণ এ সময় বৃষ্টি, ঝড়-তুফান থাকে না বলে হাওড় থাকে শাš—। হাওড়ে সাধারনত জুন মাস হতে অক্টোবর মাস পর্যš— পানি থাকে। তারপর পানি শুকিয়ে যায়। তাই এখনই সৌন্দর্য উপভোগ করার উপযুক্ত সময়।

কিভাবে যাবেন ঢাকার সায়েদাবাদ হতে এসি এবং নন এসি বাসে হবিগঞ্জ আসা যায়। এসি বাস সার্ভিসের নাম হলো দিগš—। ভাড়া ২২৫ টাকা। সময় ৩ ঘন্টা। নন এসি বাস সার্ভিসের মধ্যে দিগš—, অগ্রদূত স্পেশাল, বিস্মিল­াহ স্পেশাল ইত্যাদি উলে­খযোগ্য।

ভাড়া ১৫০ টাকা । সময় ৩ ঘন্টা। এছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ হতে লাকি পরিবহন বাসে সরাসরি বামৈ আসা যায়। ভাড়া ১৩০ টাকা । সময় ৫ ঘন্টা।

হবিগঞ্জ এসে রিকশায় চলে যান কোর্ট স্টেশন দিগš— কাউন্টারে। এই দিগš— অনেকটা রাইডার টাইপের গাড়ি। দিগš— গাড়িতে চলে আসুন বামৈ। দূরত্ব ১৮ কি. মি। ভাড়া ২৮ টাকা ।

সময় ৫৫ মিনিটের মতো। মনে রাখবেন ১. বামৈ-এ থাকার কোনো হোটেল নেই। তাই দুপুরের মধ্যে এসে নৌকা ঠিক করে নিতে হবে। অথবা হবিগঞ্জ শহরের হোটেলে রাত্রি যাপন কর ভোরে রওয়ানা হয়ে বামৈ ঘুরে যেতে হবে। ২. খাওয়ার জন্য খুব ভালো মানের হোটেল না থাকলেও মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে।

৩. স্থানীয় মানুষের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ন ব্যবহার কর“ন । সতর্কতা সাঁতার না জানলে নৌকায় উঠবেন না। প্রয়োজনে লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নিয়ে আসবেন। ---------------- ধারাবাহিক. পর্ব-০১ থাইল্যান্ডের গল্প মুহাম্মদ জহীর“ল ইসলাম সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর আজকাল থাইল্যান্ড অনেকের কাছেই ঘরের কাছের দেশ হয়ে গেছে। ইদানিং অনেকেই ছুটি বা চিকিৎসার কাজে থাইল্যান্ড চলে যাই।

আমিও তেমন গিয়েছিলাম গত বছর আগস্টে আমার শাশুড়ির চিকিৎসার কাজে। দেশটা সম্পর্কে প্রথমেই ভালো অনুভূতি হবে এর এয়ারপোর্ট থেকে ব্যাংকক যাবার উড়াল পথটা দেখলে। মনে হয় আহ! আমাদের দেশে এমন কবে হবে!! ফ্লাইওভারটা প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ জুড়ে বি¯তৃত কিছু উপশাখাসহ। এখানে ইউ টার্ণগুলো সব উপর দিয়ে উঠি দেয়া যা কিনা যানজটকে একদমই পরিহার করতে সাহায্য করেছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে আমাদের ঢাকার চৌরা¯—া, তিন রা¯—াগুলোই যানজটের অন্যতম কারণ।

ব্যাংকক স্কাই ট্রেন যাইহোক, আমরা ব্যাংককে সুকুমভিত সোই (রা¯—া) ৩ এ একটা সার্ভিস এপার্টমেন্টে ছিলাম, যেটা কিনা বামর“নগ্রাদ হাসপাতালের ঠিক উল্টাদিকে। আমার শাশুড়ির এপয়ন্টেমেন্ট ওখানেই করা ছিল, তাই হাসপাতালের কাছে থাকাতে বেশ সুবিধা হয়েছে। পরের দিন সকালে হাসপাতালে গেলাম। বড়ই চমৎকার হাসপাতাল। আজকাল হাসপাতালগুলোকে ভাল হতে হলে একটা ফাইভ স্টার লুক নিতে হয়।

খালি ভাল চিকিৎসা দিলেই চলে না। আসলে এখন মেডিকেল ট্যুরিজম এর ধারনা চালু হয়েছে। এই হাসপাতাল আরব দেশের মানুষের কাছে খুবই প্রিয় বোঝা গেল। তাদের জন্য পুরা আরবী ভাষায় ডিজিটাল বোর্ডসহ আলাদা বিশাল কাউন্টার আছে। সাদা আলখাল­া পরা আরব দেশের পুর“ষ আর কালো বোরখা পরা নারীদের দেখা প্রচুর মিলল।

বলা বাহুল্য, থাইল্যান্ডে চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। ডাক্তারের ভিজিট ছিল বাংলা টাকায় প্রায় ৩হাজার ৫০০ টাকা !! পথে পথে ফলের দোকান রামবুটান, খুব মজার একটা ফল থাইল্যান্ড কিন্তু ফলের জন্য বেশ বিখ্যাত। দেখবেন রা¯—ায় রা¯—ায় ওরা ভ্যানে করে ফল বিক্রি করছে। দেখতে খুব সুন্দর লাগে, হরেক রকম ফল, রংবেরং এর। বিচি ছাড়া পেয়ারা, ড্রাগন ফল, আম, পেপে, কলা, তরমুজ, লংগান, রামবুটান, এরকম অনেক ফল দেখবেন।

তবে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেছি রামবুটান ফলটি। এটা আপনি দ¶িন পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাবেন। ফলটি দেখতে একটু জংলী কিন্তু খেতে খুবই মজা। ভেতরটা অনেকটা লিচুর মত। আমি সাধারনত দুই কেজি কিনতাম ২৫ বাথ দিয়ে, যত¶ন পেট না ভরত খেতে থাকতাম।

বাংলাদেশের আগোরায় এই ফল বিক্রি করে সম্ভবত ৪০০ টাকা কেজি যেটা কিনা, থাইল্যান্ড এর সবচেয়ে স¯—া ফল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।