আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট না থাকায় বিড়ম্বনা

ব্লগার পাঠক হিসেবেই বেশী আনন্দে আছি।

হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যেতে ভিসা পাচ্ছে না। ইউএই'র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ঢালাও নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে যেতে হলে বাংলাদেশী শ্রমিকদের এমআরপি লাগবে। ফলে শুধু গমনেচ্ছু শ্রমিকরাই নয়, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। ইউএই কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গমনেচ্ছু শ্রমিকদের কিছু অংশের রয়েছে এমআরপি।

আর সিংহভাগের ম্যানুয়াল পাসপোর্ট। সুতরাং, সৃষ্ট জটিলতা এড়াতে সবার এমআরপি থাকতে হবে। আমরা উদ্ভূত এ পরিস্থিতিকে দুঃখজনক মনে করছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছি। কারণ এমআরপি চালু হয় চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ম্যানুয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে।

সুতরাং, ইউএই গমনেচ্ছু শ্রমিকরা হঠাৎ এ ভোগান্তির শিকার হবে কেন? তাদের ম্যানুয়াল পাসপোর্ট ইস্যুর সময় নিশ্চয়ই এর কার্যকরী মেয়াদকাল উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং এর মাঝখানে ম্যানুয়াল পাসপোর্টের বৈধতা নিয়ে আপত্তি তোলার প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন ইউএই'র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে সময়মতো বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হলো? শুধু শ্রমিকরা কেন, ওই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চাকরি করছে তাদেরও ম্যানুয়াল পাসপোর্ট থাকার কারণে বিপাকে পড়তে হবে। প্রত্যাখ্যাত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেও অস্পষ্টতা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, ভিসা বঞ্চিতদের এমআরপি পাইয়ে দিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে ৮ এপ্রিল এক ঘোষণায় বলা হয়, প্রবাসী শ্রমিকদের সুবিধার্থে ম্যানুয়াল পাসপোর্ট জরুরিভিত্তিতে এমআরপি চালুর পরও দু'বছর কার্যকরী থাকবে। পরে তা বাতিল করে গত ১৮ মে আরেকটি ঘোষণায় বলা হয়, ম্যানুয়াল পাসপোর্টের কার্যকারিতা থাকবে ৩ বছর। যদি তাই সত্য হয়, তাহলে ইউএই'র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাদের দেশে কাজের জন্য গমনেচ্ছু শ্রমিকদের ভিসা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালো কিভাবে? আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেন সময়মতো ইউএই'র সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করল না? ইউএই হচ্ছে আমাদের সর্বোচ্চ জনশক্তি আমদানিকারক দেশ। বছরে আড়াই লাখেরও বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মসংস্থানে সেখানে যায়। এখন পর্যন্ত ৭ লাখ শ্রমিক সেখানে কাজ করছে এবং শুধু গত বছরই দেশে পাঠিয়েছে ৭৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা।

এসব তথ্য তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মহলের না জানার কথা নয়। সুতরাং, নির্বিঘ্নে শ্রমিকদের যেতে পারাটা কি তাদের দায়িত্বে পড়ে না? আমাদের তো আশঙ্কা, শুধু ইউএই গমনেচ্ছু শ্রমিকরাই নয়, যাদের ম্যানুয়াল পাসপোর্ট রয়েছে এবং ইস্যুর সময় বলে দেয়া হয়েছে এর কার্যকারিতার মেয়াদ থাকবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা ও যোগাযোগহীনতার কারণে অন্য কোন দেশে যেতেও তারা বিপাকে পড়তে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে বিশেষ নজর দিতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.