আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্বিধার রিপন বাজতেছে মৃত্যুর নৈঃশব্দে!



আমাদের আধখেচরা চৈতণ্যে রিপন কি আঘাত করতে চায়? নাকি তার ছলনাটি সরিয়ে আসল চেহারাটির মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়? -এনিয়ে একটা দ্বিধা তৈরি হয়ে আছে। অবশেষে যে সে শিল্প করতে চায়, এটা শিওর!! এই শিল্প বস্তুটি কিন্তু যাপনরোহিত না। জীবন্ত। তাই সে হাড়, মাংস এবং সঞ্চালনময়। ফলত, রিপন আঘাত করে এটা যেমন সত্য আবার সে ছলনার পূঁজ খুঁচে খুঁচে বের করে আনে বিষ; বিকশিত করে তোলে ব্যক্তিমানস- এটাও সত্য।

রে রাবন, সত্য কয়রূপে বিভাজিত!!! রিপন কবিতায় যেভাবে এক্সপ্রেশন দেয় তাতে করে মনে হতে পারে- সে যেন উনিশ শতকের ইউরোপকে আত্মসাৎ করে বসে আছে। কিন্তু এই উত্তরউপনিবেশিক বাস্তবতায় যোগাযোগের দুনিয়ায় সেটা কতটা সম্ভব!! এটা প্রশ্ন না, মনোলগ। নীতি অথবা মূল্যবোধের কাছে মাথা নত করে বসে থাকা মানুষ আজ প্রতিনিয়ত প্রতারক এবং প্রতারিত, নিজের সাথেই। এখানে সময়চেতনা আর বাস্তবতা আর তার রিফ্লেকশান দুমড়ানো। সারা দুনিয়ায় ব্যক্তি মানুষকে গনতন্ত্রের ক্লাশে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

যেমন আধুনিকতার নামে করা হয়েছিল বেত্রাঘাত। প্রেম, ঘৃণা পাপ, ক্রনিক ষড়যন্ত্র আর মনস্তাপ সব অভিন্ন আত্মায় জড়িয়ে তৃতীয় বিশ্বের চোদাচুদির মধ্যে হাসফাঁসরত ব্যক্তিমানস উদাসীন সঙ্গমের মত মৃত্যুকালীন নৈঃশব্দে চিৎকার করে ওঠে রিপনের কবিতায়। ক্ষমতার সত্যকে অনুসরণ করে চলে রাষ্ট্র, সমাজ। আর সমাজের সত্য চেপে বসে ব্যক্তির উপর। এদিকে সমাজ আর রাষ্ট্রও ক্ষেত্রবিশেষে সংঘাতময়।

আর সে সংঘাতের জেরও টানতে হয় ব্যক্তিকেই। এতসব চাপের ঠাপে ব্যক্তির নিজস্ব সত্য অবদমিত হতে হতে হয়ে পরে বিকৃত। বিকৃত একারণে যে, ব্যক্তিমানস স্বীয় আকাঙ্খার দ্বারা ধর্ষিত হতে থাকে। আর তার হারিয়ে যাওয়া সত্য এবং নিজের বিদ্ধস্ত দশা ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠতে থাকে নৈঃশব্দের মৃত্যুতে। এ যেন তার আয়না মহল।

রিপনরে পড়তে পড়তেই মনে হইল এইসব বর্তমান কবিতা শুরু হইছে জীবনানন্দ দাশ হইতে। ওঁর আগের কবিতা না পড়লেও চলে/চলব। দাশের হাতে নিয়ত আর আমল রাইখা আমরা বাংলা কবিতার গুয়া মারতেছি, হাত মারতেছি, রেইপ করতেছি, পরকিয়া করতেছি আর সবশেষে সঙ্গমের চুড়ান্ত বিন্দুতে আরোহন করে জানতেছি- স্খলনের অধিক আর কোন উড়াল নাই। আমাদের কথিত আবহমান বাংলা কবিতা হাংরি'র ড্রেনেজ সিস্টেমে ভেসে গেছে কবে!!! (প্রবর রিপনের "নৈঃশব্দের মৃত্যু" কাব্যগ্রস্থের নিজস্ব অভিজ্ঞতা)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।