আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘন্টায় ৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের সম্মেলন



কানাডা তো বটেই, সম্ভবত বিশ্বজুড়েও সবচেয়ে ব্যয়বহুল ২৪ ঘন্টার ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে টরন্টোতে। আগামী ২৫ থেকে ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় জি-৮ এবং জি-২০ সম্মেলনকে ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় টরন্টোজুড়ে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ধনীকগোষ্ঠীর নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভের ঘোষনা, আর রাষ্ট্রনেতাদের নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন সরকারের মাত্রাতিরিক্ত তৎপরতায় টরন্টোর মূল ডাউন টাউন এলাকা হয়ে পড়েছে জনশুণ্য, ভূতুরে। সিংহভাগ কানাডীয়ানদের জন্যে তৈরি হয়েছে নতুন অভিজ্ঞতার । বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং তা থেকে উত্তরনের চলমান প্রক্রিয়া, পরিবেশ, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি ধনীদেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারন ইত্যাদি নানা বিষয় এই সম্মেলনের এজেন্ডায় রয়েছে।

২৫ জুন টরন্টো থেকে খানিকটা দূরে কটেজপল্লী হিসেবে পরিচিত মাসকোকাতে শুরু হবে জি-৮ সম্মেলন। আর ২৬ জুন থেকে শুরু হবে জি-২০ সম্মেলন। এটি হবে ডাউন টাইন টরন্টেয় মেট্টো হনভেনশন সেন্টারে। আন্তর্জাতিক এই দুটি সম্মেলনকে ঘিরে কত কয়েক মাস ধরেই কানাডার মিডিয়া সরগরম। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর হয়ে কাজ করে এমন কিছু এনজিওর ব্যবস্থাপনায় প্রতিবাদ কর্মসূচী গোষনা করার পর কানাডা সরকার অস্থির হয়ে পড়ে।

নিরাপত্তার জন্যে এমনসব পদক্ষেপ নিতে থাকে যা রীতিমতো নাগরিকদের কৌতূহলী করে তুলে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংবাদব্রিফিং এ দেওয়া কিছু তথ্য নাগরিকদের কৌতূহলের মাত্রাতো বাড়ায়ই ,তাদের চোখও ছানাবড়া হয়ে যায়। সম্মেলনপূর্ববর্তী এই ব্রিফিংএ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, তিন দিনের সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের ‘সিটিং টাইম’ হচ্ছে মাত্র ২৪ ঘন্টা । অর্থ্যাৎ তিনদিনের সম্মেলনের বৈঠক আলাপ আলোচনা তথা কার্যক্রম পরিচালিত হবে মাত্র ২৪ ঘন্টা। সঙ্গে সঙ্গে ক্যালকুলেটারে হাত সাংবাদিকদের।

নিরাপত্তার জন্যে বরাদ্দকরা ১.২ বিলিয়ন ডলারকে ২৪ দিয়ে ভাগ করে সামনে তুলে আনেন নতুন তথ্য। প্রতি ঘন্টার ব্যয় প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার? মিনিটে ৮ লাখ ৩৩ হাজার ডলার? সেটাও মিলিয়নের কাছাকাছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র অবশ্য অবাক হননি মোটেও। যেন এটাই স্বাভাবিক এমন ভাব করে উত্তর দেন, রাষ্ট্রপ্রধানরা একসঙ্গে বসবেন, বিশ্বের চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যূ নিয়ে সামনাসামনি কথা বলবেন। সেই বিবেচনায় এই খরচটা যথার্থই।

খরচাটা যে মোটেও যথার্থ নয় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মিডিয়াগুলো। বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে জনকল্যানমুলক কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতো তার ফিরিস্তি ছেপেছে পত্রিকাগুলো। সারাদেশ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে টরন্টোরে নিরাপত্তার জন্যে। কটেজপল্লী মাসকোকার পথে পথে মোতায়েন করা হয়েছে ভারী সমরাস্ত্র। আকাশপথেও রয়েছে তীক্ষ্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সম্মেলনকেন্দ্রের চারপাশে তারের বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দূর্গ। সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে অনেকটা পাল্টাপাল্টি করেই প্রস্তুতি নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যে ডাউন টাউনে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে তারা। বিষ্ফোরকসহ পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। টানটান উত্তেজনায় শহর টরন্টো হয়ে উঠেছে যেন রনাঙ্গন।

http://www.notundesh.com/shirshokhobor.html

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.