আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের দ্রুত সমাধান

আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।

কিছু মধ্যম ও ক্ষুদ্র আকারের উদ্যোগ গ্রহণ করলেই গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের দ্রুত সমাধান সম্ভব। কয়েকটি পদক্ষেপ নিলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের আশু সমাধান সম্ভব। তিতাস ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি করা; নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য জাতীয় সংস্থাগুলোকে কর্তৃত্ব ও প্রয়োজনীয় সমর্থন দান; পেট্রোবাংলার কর্তৃত্বাধীন ১২টি বন্ধ কূপ চালু করার জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করা; বিদেশি কোম্পানির হাতে আটকে থাকা গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে অনুসন্ধান ও উত্তোলন কাজ জোরদার করতে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা; গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিবহন লাইন মেরামত এবং নবায়ন করা। বড়পুকুরিয়ায় ইতিপূর্বে স্থাপিত ২x১২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট ভালোভাবে মেরামত করে চালু করা ও নতুন প্রস্তাবিত পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর জন্য জরুরি উদ্যোগ নেওয়া; গ্যাসে রূপান্তরসহ পরিবেশ অনুকূল পদ্ধতিতে কয়লার সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

এ কাজগুলো তেমন ব্যয়বহুলও নয়। এগুলোর জন্য প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার অপতৎপরতা থেকে সরে এসে অবিলম্বে উপরোক্ত উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার পিএসসি ২০০৮ ও ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প বাতিল করে জ্বালানি সম্পদের ওপর শতভাগ মালিকানা বজায় রাখবে, খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধ করে আইন পাস করবে এবং জাতীয় সক্ষমতা বিকাশকে কেন্দ্রে রেখে সমন্বিত জ্বালানি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে মানুষের জীবন-জীবিকা পরিবেশের বিরাট সর্বনাশ হবে, শুধু তাই নয়, কয়লা রফতানি বাধ্যতামূলক হবে, আবার উৎপাদিত কয়লার পরিমাণে বাংলাদেশের হিস্যা সুড়ঙ্গ পদ্ধতির উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায়ও অর্ধেক হবে।

বহুজাতিক কোম্পানির এজেন্ডা বাস্তবায়নে জনগণকে জিম্মি করার তৎপরতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.