আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থমন্ত্রী, আমার আয়ে কর বসান, আমার বাবার পেনসনে নয়।



রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কর প্রয়োজন। তাই বলে নির্বিচারে করারোপ যুক্তিযুক্ত নয়, নয় বিচক্ষণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার লক্ষণ। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে এই অবিচক্ষণতার কিছু প্রকাশ দেখা গেছে। সঞ্চয়পত্রের সব ধরনের মুনাফার ওপর উৎসে কর কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আমার বাবার মত সাধারণ মানুষের সামান্য সঞ্চয়ের প্রকৃত আয়কে কমিয়ে দেবে। আমার বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা।

গ্রাচুইটি এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে তিনি সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। প্রতি ৩ মাস অন্তর যে লাভ পান তা দিয়েই তার অবসর জীবন চলে যাচ্ছে। কিন্তু তা বোধহয় আর চলবে না। এত দিন দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফার ওপর উৎসে কোনো কর কাটা হতো না। তার ওপরে গেলে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হতো।

বাজেটের যে সিদ্ধান্ত, তাতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার পর এখন এক টাকা মুনাফা হলেও তার ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এমনকি অবসরযাপনকারীর জন্য পেনশনারস সেভিংস সার্টিফিকেটের যাবতীয় সুদ এত দিন যে সম্পূর্ণ করমুক্ত ছিল, সে সুবিধাও তুলে নেওয়া হয়েছে। এভাবে করারোপের শিকার হবে সাধারণ মানুষ, যারা সীমিত সঞ্চয়ের মাধ্যমে কিছু আয় করত। এখন দেখা যাচ্ছে, কষ্টার্জিত অর্থ জমা রেখে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তারা যে কয়টি টাকা হাতে পেত, সেখানেও সরকার ভাগ বসাল। শেয়ারবাজার যখন অনেকটা কৃত্রিমভাবে ফুলে উঠছে এবং ফাটকা কারবার উৎসাহিত করছে, তখন ব্যক্তি-শ্রেণীর মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপ করতে সরকার পিছপা হলো, কিন্তু রেহাই পেল না সীমিত আয়ের লোকজনের কিছু সঞ্চয়।

আবার অর্থমন্ত্রী আভাস দিয়েছেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও কমাবেন। এটা সরকারের বৈষম্যমূলক ও অদূরদর্শী চিন্তার প্রতিফলন। মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আপনি কাজটা ঠিক করলেন না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.