আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের মালিক ও তার অর্থমন্ত্রী

যা দেখি,শুনি,অনুভব করি, আমি স্বপ্নি। তাই গল্পে রুপ দিতে চাই...............

খবরঃ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কক্ষ। সময় রোববার বেলা ১২টা। বিদেশি অতিথির সঙ্গে আলোচনা করছিলেন মন্ত্রী। আচমকাই কক্ষে আবির্ভাব এক ব্যক্তির।

নিজেকে পরিচয় দিলেন ‘দেশের মালিক’ হিসাবে। পরিচয় পেয়ে বিব্রত অর্থমন্ত্রী, হকচকিত অতিথিরাও। বিরক্ত অর্থমন্ত্রী ‘স্টুপিড’ বলে ধমকে কক্ষ থেকে বের করে দেন তাকে। সংবাদকর্মীরা নামপরিচয় জানতে চাইলে শ্মশ্রুমণ্ডিত ওই ব্যক্তি নিজের নাম ‘শাকিল’ বলে দাবি করেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি দেশের মালিক।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি’, অর্থমন্ত্রী বাইরে এসে যদি বলে আমি দেশের মালিক না, তাহলে আমি চলে যাবো। ” পরে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার স্বভাবসুলভ বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “ওকে আমি চিনি না। ও একটা ইতর। সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মশিউর রহমান টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লোকটা আসলেই পাগল। তাকে আমরা শ্যামলির মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।


বাংলা অভিধানঃ
ইতর [ itara ] বিণ.
১. (মূল অর্থে) অন্য, অপর, ভিন্ন (বামেতর);
২. নীচ, অধম (ইতর লোক);
৩. নিম্নশ্রেণীভুক্ত (ইতর প্রাণী)।


জ্বি! আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেব আপনি ঠিকই ধরেছেন, এ দেশের আপামর জনগন যাদের সামনে আপনারা কথায় কথায় 'জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস’, ‘জনগনই দেশের মালিক’ জাতীয় মূলাগুলা ঝুলান, তারা আসলেই স্টুপিড। আর স্টুপিড না হলে কি, নিজেকে এত্ত জোড়ালো ভাবে দেশের মালিক দাবী করতে পারে? আসলেই এরা আপনাদের থেকে ‘ভিন্নতর’, এক কথায় বলতে গেলে ছোটলোক, নীচ, অধম, নিম্নশ্রেনী ভূক্ত; দেখেন নাই, নিজেকে দেশের মালিক দাবীকারী ‘শাকিলের’ চেহারা, বেশভূশা, নোংরা জামা কাপড়, গায়ের দূর্গন্ধ, মুখ ভর্তি দাড়ি। ছিঃ তার গায়ে কি দূর্গন্ধ, টেকাই দায়, ওয়াক থু! পাগলের বাচ্চাটাকে বের করে দিয়ে, একদম সঠিক কাজটিই করেছেন মাননীয় মন্ত্রী।
কিন্তু…………মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আপনি জানেন কি, এইসব ইতর, ছোট লোকেরাই আপনাদেরকে বারবার ক্ষমতার ঐ জায়গাটাতে পাঠায়, আর নিজের মাথাটা পেতে দেয়, শোষন করার জন্য।

আপনারা শোষন করেন, আমরা শাসিত হই। আমরা আসলে এমনই, এমনই হওয়া উচিত আমাদের। সব থেকে মজার বিষয় কি জানেন, এত্তসব জানার এবং বোঝার পরও আমরা এটা করি। কারন, আপনারা দেশের নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে, সাম্যতার নামে, ধর্মের নামে, মানবতার নামে এমন সব সিস্টেম তৈরি করে রেখেছেন যা থেকে আসলে এসব অভদ্র-ইতর দের বের হওয়ার কোন সুযোগ নাই। নেশায়, পেশায়, রক্তে, অনুভবে, জাতে-পাতে এইসব ইতর, ছোট লোকদের কেউ আওয়ামীলীগ, কেউ বি এন পি, কেউ জামাত, কেউ বাম ও অন্যান্য।

ধর্ম, জাত-পাত, দেশ, জাতীয়তা, সাম্যতা, মানবতা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা বিভক্ত হয়ে যাই। আমরা মিটিং করি, মিছিল করি, হরতাল করি, প্রতিরোধ-অবরোধ করি, কাটাকাটি করি, মারামারি করি এবং তারপর মরি, শেয়াল-কুকুরের মত মরি। আর, আপনারা এসে আমাদের গায়েবানা জানাজা দেন, লাশের রাজনীতি করেন। ইদানিং এই সকল কম্পোন্যান্ট গুলোকে আবার আপনারা ককটেল বানিয়েও খাওয়ানো শুরু করেছেন, বিভিন্ন ধরনের জোট গঠনের মাধ্যমে। এই দলীয় জোট, সেই দলীয় জোট।

সব থেকে মজার বিষয় হল, এখন তো আপনারা আবার, আমাদেরকে ভোট দিতে যাওয়ার কষ্ট থেকেও রেহাই দিয়ে দিয়েছেন। আমাদের নিয়ে কত চিন্তা আপনাদের। যাই হোক সেটা অন্য প্রসঙ্গ। আচ্ছা ‘শাকিল’ যাকে কিনা আপনার প্রশাসন পাগল সাব্যাস্ত করে ‘থেরাপির’ নামে কই যেন পাঠিয়ে দিয়েছে, সে আপনার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন কেন, জানা হয় নাই, আপনি শুনেন নাই, আপনি তাকে চেনেন না। শাকিলদেরকে, আপনাদের চেনার দরকার হয় না মাননীয় অর্থমন্ত্রী, কিন্তু আমরা চিনি আপনাকে, আপনি আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রী, বলতে গেলে গোটা দেশের অর্থনীতির ‘চালক’, ‘ধারক’, ‘বাহক’, ‘রক্ষক’ এবং ‘অন্য অনেক কিছু’।


আমাদের মত ইতরদের কথা শোনার সময় আপনার কেন হবে? আপনি ঠিক কাজটিই করেছেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী……………….



 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.