আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরব ভোট বিপ্লব.....

আমি স্বপ্ন দেখি কিন্তু বাস্তববাদী।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ঘটে গেছে এক নিরব ভোট বিপ্লব। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের কেউ কল্পনাও করতে পারেনি ভোটযুদ্ধে এত বড় একটা ঘটনা ঘটবে। আমরা সবাই ধরেই নিয়েছিলাম তীব্র প্রতিদন্দ্বিতা হবে এই মেয়র নির্বাচনে। যেই জিতুক সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে।

কিন্তু প্রায় ১লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়- তাও আবার বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী, এটা সত্যিই অবাক করেছে চট্টগ্রামবাসীদের। অথচ ভোট কারচুপি হয়েছে -এটাও কেউ বলতে পারছে না। আমি যে ওয়ার্ডে (পাহাড়তলী) থাকি, আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী "হিরন ভাই" এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। গত দু'টার্ম কাউন্সিলর থেকে এলাকার জন্য প্রচুর কাজও করেছেন। উনি এতটাই কনফিডেন্ট ছিলেন যে, এলাকায় খুব বেশী জনসংযোগ করারও প্রয়োজনবোধ করেননি।

এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বললেও ওনার জনপ্রিয়তা টের পাওয়া যাবে। অথচ এই আসনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী "মাহফুজ ভাই" নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু কেন? আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগের গত দেড় বছর শাসনে এতটাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে যে হিরন ভাইর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতেও এতটুকু দ্বিধা করেনি। সাধারণ মানুষ কাউকে বুঝতে দেয়নি তাদের মনে কি আছে। মহিউদ্দীন সাহেবও বুঝতে পারেন নি কি ঘটতে যাচ্ছে।

সরকারও বুঝতে পারেনি প্রকৃত অবস্থা। তারা প্রত্যেকে ছিলেন ওভার কনফিডেন্ট, তাদের বিজয়ের ব্যাপারে। তাই নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী নেমেছে, নির্বাচনপূর্ব কোন বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী হয়নি ভোলা-২ আসনের নির্বাচনের মত। কিন্তু জনগন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের আকাংখা ব্যক্ত করেছে, এই সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। ক্ষমতাশীন সরকার বিষয়টি পূর্বে আঁচ করতে পারলে নির্বাচন কখনোই এতটা সুন্দর হত না, আরেকটি ভোলা-২ আসনের মত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের জন্ম নিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।