আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রবাসের রান্নাঘরঃ সচিত্র সহজিয়া পদ্ধতিতে খিচুড়ী রান্না

সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে

খিচুড়ি খুবই জনপ্রিয় খাবার হলেও নানা জনের কাছে এর রয়েছে নানা ধরনের রেসিপি। কিন্তু সমস্যা আমরা যারা ছাত্র অবস্থায় একা একা দেশের বাহিরে পড়ে আছি তাদের নিয়ে। প্রফেশনাল রান্নার কায়দা কানুনের বালাই নাই আমাদের কাছে, পেটের পুজাটাই প্রধান। এরপরও যতটুকু সম্ভব রসনাময় করা খাবার যাতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা যায়।

আমি সাধারনত খিচুড়ি-পোলাও-ভাত সবই রাইস কুকারে রান্না করি, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই মাথায় ভুত চাপলো চুলায় রান্না করি। যেইভাবা সেই কাজ। এরপর ভাবলাম দেই না ব্লগে শেয়ার করে, বস্তাপচা রান্না হয়ত আমার মত কারো কাজে লাগবে। আসুন শুরু করি রান্না। যা লাগবেঃ ছবি তে খেয়াল করুন- ১।

পেঁয়াজ (আমি ১টা জাপানীজ বড় পেঁয়াজ ব্যবহার করেছি, দেশী সাইজের ৩টা হলেই হবে) ২। গরম মসলা (গুঁড়া) ৩। লবন ৪। হলুদের গুঁড়া ৫। সোয়াবিন তেল ( রান্নার সময় হালকা সরিষার তেল দিলে স্বাদ বাড়বে) ৬।

আদা পেষ্ট ৭। রসুন পেষ্ট ৮। মসুর কালাই (রান্নার আগে ভিজিয়ে রাখলে ভালো হবে) ৯। চাল ( সাথে হালকা পোলাও এর চাল দিলে স্বাদ আরও বাড়বে) ১০। বিন।

এবার আসুন সব নিয়ে নড়াচড়া করিঃ চুলা চালু করে দিয়ে সসপ্যান/পাতিলে দিন, এরপর সোয়াবিন তেল দিন আর এই ফাঁকে পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিন, তেল গরম হয়ে উঠলে পেঁয়াজকুচি ঢেলে দিন। লালচে ভাব আসলে এবার কাঁচা মরিচ, গরম মসলা, আদা-রসুন পেষ্ট মিশিয়ে নিন ভালো করে নেড়ে। এরপর চাল ধুয়ে নিয়ে ডাল-বিনসহ ঢেলে দিন, ভালো করে নাড়ুন যাতে সবগুলি ভালো করে মিশে যায়। পরিমানমত লবনি দিয়ে, এবার চালের দ্বিগুন পড়িমান পানি দিন (নরম খিচুড়ী পছন্দ করলে, পানি একটু বেশি দিন)। ঢাকনি দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।

হলুদ ব্যবহার করলে, পানি একটু কমিয়ে আসলে হলুদ মিশিয়ে দিন, হলুদ কম ব্যবহার করাই ভালো নতুবা বেশি হলুদের জন্য পিপাসা লাগবে সারাদিন। মাঝে মাঝে ঢাকনি তুলে নাড়িয়ে দিন, নতুবা নিচে লেগে যাবে, সাথে হালকা টেস্টও করতে পারেন, সিদ্ধ হয়েছে কিনা, অথবা সবকিছুর পরিমান ঠিক আছে কিনা। মিনিট দশেক পরে চুলা বন্ধ করে দিন, ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার বানানো :জিনিশ:টি নিচের ছবির মত হবে। (আমি নরম খিচুড়ী পছন্দ করি, এজন্য পানি একটু বেশি দিয়েছি ) এরপর সময়মত প্লেট নিয়ে, সাথে আবার কাঁচা মরিচ-পেয়াজ(পারলে সাথে ডিম ভাজি)- সরিষার তেল নিয়ে বসে পড়ুন, কাউকে না জানিয়ে ডানের হাতের ব্যাপার সেরে ফেলুন।

[ডিম ভাজির ছবিটি নেট থেকে নেয়া] আগের কিছু রান্নাবান্না পোষ্টঃ এগ ফ্রাইড রাইস বানানোর সহজিয়া তরিকা। ব্যাচেলর রান্নাঘরঃ ডালশুটকি

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।