আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আওয়ামীলীগের এতো ভয় কেন?



১.যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আওয়ামীলীগের এতো ভয় কেন? বিএনপি ২৭জুন ডেকেছে,এনিয়ে আওয়ামীলীগ প্রপাকান্ডা চালালো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার জন্য বিএনপি এ হরতাল ডেকেছে হরতাল যেকোন রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর,তারপর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিরোধীদল এটাকে ব্যাবহার করে থাকে। ,এখন প্রশ্ন হচ্ছে একদিনে হরতালেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ হয়ে যাবে? আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় দেখলাম,আওয়ামীলীগ মির্জা আজম বলেছেন-‌যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার জন্যই জামায়াত পল্টনে সমাবেশ ডেকেছে,আওয়ামীলীগের এসব বক্তব্য কিসের ইঙ্গিত বহন করে? তারাকি নিজেই বিচার নিয়ে সন্দিহান? ২. যুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুনাল নিয়ে সরকার যে নাটক সাজিয়েছিলো, সর্বশেষ রাজাকারের দায়ে নিয়ে ট্রাইবুনাল প্রধানকে পদত্যাগ করতে হয়েছে,আবার সেই অভিযোগই ছিলো সরকারের বড় পদের কর্তা ব্যাক্তিদের ৩.সরকার কি আসলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুনালে সরাসরি কোথাও বলা হয়নি,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকয়েকবার বলেছেন,৭১সালে যুদ্ধের সময়সহ সর্বশেষ ২০০১সালে নির্বাচনোত্তর সকল মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার হবে! তার বক্তব্য অনুযায়ী ৭১সালের মুক্তিযুদ্ধ ২০০১ সালে অবস্থা একই রকম?এজন্য দুইটার বিচার একসাথে করা হবে ৩. গত ১৮ই মার্চ আইনমন্ত্রী ব্যরিস্টার শফিক বলেছেন,যুদ্ধাপরাধীদের নয় মানবতাবিরোধীদের বিচার হবে(খবর: আমার দেশ পত্রিকা) আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এতে মূলত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরাই চিহ্নিত হয়েছে। স্বাক্ষরিত ওই দলিল অনুযায়ী বিজয়ী দেশ হচ্ছে ভারত। ,পরাজিত দেশ হচ্ছে পাকিস্তান।

কাজেই বিচার হলে পাকিস্তান আর্মির সদস্যদেরই বিচার করতে হবে। পরবর্তীকালে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমাও করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আইন কমিশনের মাধ্যমে ৩৩ আইন বিশেষজ্ঞের অভিমত চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৩২ জনই কোনো মতামত দেননি। মাত্র একজন বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে তার পক্ষে মতামত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এসব কারণেই সরকারের পক্ষে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন,যুদ্ধের সময় যারা সরাসরি হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও জোর করে কাউকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করার মতো অপরাধ করেছে—তাদেরই শুধু বিচারের আওতায় আনা হবে। এগুলো হচ্ছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে এগুলোর বিচার যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে করা সম্ভব। তদন্তের মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হবে শুধু তাদেরই বিচারের আওতায় আনা হবে।

এর আগে কাউকে যুদ্ধাপরাধী বলে অভিহিত করা যাবে কিনা—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধাপরাধীর বিচার করছি না। আমরা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করছি। কাজেই সবাইকে যুদ্ধাপরাধের পরিবর্তে মানবতাবিরোধী অপরাধ কথাগুলো লিখতে হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণের আগে কাউকে অপরাধী বলা আইনসম্মত নয়। Click This Link অবস্থায় বলা যায় আওয়ামীলীগ তাদের নির্বাচনী ওয়াদার অন্যতম প্রধান এজেন্ডা থেকে সরে যাচ্ছে,তারা নিজেই যুদ্ধাপরীধীদের বিচারকে জনগনের সামনে হাস্যকর হিসেবে উপস্থাপন করছে,তবে আওয়ামীলীগের হুশিয়ার হয়ে যাওয়া উচিত,যুদ্ধাপরীদের বিচার না করতে পারলে আওয়ামীলীগ-বিএনপি কাহকে ছাড়বেনা.


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.