এই দেশটা আমার, আপনার, আপনাদের সবার, আসুন দেশটাকা ভালবাসি।
এমন একটি সংবাদ, যদি ও কাট-পেস্ট তবু ও শেয়ার না করে পারলাম না।
সংবাদটি নিম্নরুপ:
রাস্তা থেকে জোর করে ধরে আনা হলো শিশুটিকে। তারপর তিন সহোদর সাঁড়াশি ও হাতুড়ি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার ওপর। হাত-পায়ের আঙুলসহ তারা থেতলে দিল শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশ।
গতকাল বুধবার মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতকদের বাড়িতে প্রতিদিনের মতো কাজে না যাওয়াই ছিল শিশুটির অপরাধ।
শরীর ভর্তি জখম নিয়ে টুকটুকি খাতুন (৯) নামের শিশুটি এখন ছটফট করছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের বিছানায়। আতঙ্কে সে স্বাভাবিকভাবে কথাও বলতে পারছে না। টুকটুকি যতারপুর গ্রামের এমদাদুল হকের মেয়ে।
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে সে।
টুকটুকির মা আমিনা খাতুন বলেন, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তিনি। স্বামী শ্রমিকের কাজ করেন। তা দিয়ে সংসার চলে না। টুকটুকিকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর পর পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছিল না।
তাই প্রতিবেশী ভুলেন দফাদারের বাড়িতে কাজে দেন তাকে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে বিদ্যালয়ে যেত। গতকাল সকালে কাজে না গিয়ে সে বিদ্যালয়ের পথে রওনা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভুলেন দফাদারের ছেলে মুরাদ, রশিদ ও আবদুল্লাহ টুকটুকিকে ধরে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর সাঁড়াশি ও হাতুড়ি দিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালায় তারা।
আমিনা বলেন, টুকটুকির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও তিনি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গেলে চিকিৎসাধীন টুকটুকি বিছানায় শুয়ে অস্পষ্ট কণ্ঠে তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। তার চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নির্যাতকেরা সাঁড়াশি দিয়ে চেপে টুকটুকির হাত ও পায়ের সব আঙুল থেতলে দিয়েছে। তাকে ব্যথা কমার ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
যতারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমা খাতুন বলেন, পড়াশোনার প্রতি টুকটুকির প্রচণ্ড আগ্রহ। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে তাকে সহযোগিতাও করেছে। এমন শিশুর ওপর এই নির্যাতনের ঘটনা খুব দুঃখজনক।
ঘটনার পর থেকে ভুলেন দফাদারের তিন ছেলে পলাতক। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, টুকটুকি ঠিকমতো কাজে আসত না।
এতে ঘরদুয়ার নোংরা থাকত। গতকাল বাড়িতে মেহমান এসেছিল। এ সময় কাজ ফাঁকি দিয়ে সে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল বলে তাঁদের রাগ হয়। রাগের বশে তাঁরা এই ঘটনা ঘটান। তাঁর ভাই আবদুল্লাহ দাবি করেন, টুকটুকি ৯০০ টাকা চুরি করায় তাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়।
অমানুষিক নির্যাতন করা হয়নি।
গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক জামাল উদ্দিন আহমেদ ও পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন টুকটুকিকে দেখতে হাসপাতালে যান। তাঁরা জানান, দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) কুবাদ আলী বলেন, ‘কাজে না গিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। শিশুটির পরিবার মামলা করলে তা তালিকাভুক্ত করা হবে।
’
(সংবাদটি আজকের দৈনিক প্রথম আলো থেকে নেওয়া)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।