আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বন্ধুর ছ্যাঁকা কাহিনী



অলস লোকের যেমন আলসেমি করা ছাড়া অন্য কিছু করার থাকে না, তেমনি আমারও আপাতত আলসেমি করা ছাড়া অন্য কোন কাজ নেই। এমন অলস দুপুরে গতকাল প্লাবনের ফোন। জলদি কলাবাগান যেতে হবে। আমি ভেবেছিলাম হয়ত আড্ডা দেওয়ার জন্য ফোন দিয়েছে। রোদের কথা ভেবে আড্ডা দেয়ার মত লোভনীয় প্রস্তাবে যাব কিনা ভাবছিলাম।

কিন্তু ও যা বলল তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমার জনৈক বন্ধু ( নাম বলা যাবে না ) ছ্যাঁকা খেয়ে কান্না কাটি করছে । ইতিমধ্যে নাকি এক বক্স টিস্যু শেষ করে ফেলেছে, সেকেন্ড বক্স রানিং। বন্ধুর বিপদে তো আর রোদের ভয়ে ঘরে বসে থাকা যায়না, তাই বন্ধুকে বিপদ হতে উদ্ধার (খোঁচাখুঁচি করে যন্ত্রণা আরও বাড়াতে ) করতে বাসা হতে বের হলাম। প্রয়োজনের সময় খালি রিকশা পাওয়া যায় না , আমিও পেলাম না।

বাধ্য হয়ে হেঁটেই বাস স্ট্যান্ড এ যেতে হল। কপাল ভালো লাইনে দাড়াতে হল না সহজেই বাস পেয়ে গেলাম । ঘটনাস্থলে পৌছে দেখি প্লাবন, মিহির আর আমার বন্ধুটি বসে আছে। পরিবেশ গম্ভীর। যা ভেবেছি ঘটনা তার চেয়েও সিরিয়াস দেখছি।

প্লাবন আর মিহির যা বলল তা এরকম... মাস দুয়েক আগের ঘটনা। আমার বন্ধুটি নিউমার্কেট হতে বাসে করে আব্দুল্লাহপুর যাচ্ছিল। বাসের পিছনের দিকে একটি মেয়ে একা বসে থাকায় বন্ধুটি তার অনুমতি নিয়ে তার পাশে বসে পরে। এরপর যেতে যেতে দুজনের ভেতর অনেক কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে বন্ধুটি মেয়েটির কাছে তার সেল নাম্বার চায়।

মেয়েটি প্রথমে দিতে চায়নি। পরে বন্ধুটির হাত হতে সেল ফোন নিয়ে মেয়েটি নিজেই তার নাম্বার সেভ করে দেয়। ঐ দিনের ঘটনা ঐ পর্যন্তই। পরদিন মেয়েটি ফোন দিয়ে পাঁচ মিনিট কথা বলে। এরপর বন্ধুটি ফোন করে দু ঘন্টা ধরে কথা বলে।

সেই শুরু। এরপর প্রতিদিন তাদের ভিতর ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হতে থাকে। নিয়মিত কথা হলেও তাদের আর দেখা হয়নি। গত কাল কে এফ সি তে তারা দেখা করবে বলে ঠিক করে। আমার বন্ধুটি আধ ঘন্টা আগেই কে এফ সি তে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে।

একসময় মেয়েটি আসে সাথে আর একটি ছেলেকে নিয়ে। ছেলেটিকে মেয়েটি তার হাজব্যান্ড হিসেবে আমার বন্ধুটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়........................... এরপর কি হল আমার বন্ধুটি আর বলতে রাজি হয়নি। বন্ধুর করুন অবস্থা দেখে আমরাও আর বেশি খোঁচাখুঁচি করিনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।