আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাপলা চত্বর অভিযান নিয়ে সরকারের তথ্য ভুল :আল জাজিরা। অভিযান নিয়ে বিতর্ক নেই :দীপু মনি

কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল-জাজিরা বলেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে ৫ মে মধ্যরাতে হেফাজতবিরোধী অভিযানে মৃত্যুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভুল তথ্য দিয়েছে। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকার। আল-জাজিরার তদন্তে এবং প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে নিউজ চ্যানেলটি। ভিডিও ফুটেজে দেখা য়ায়, হত্যার পর গাড়িতে টেনে টেনে লাশ তোলা হচ্ছে। ভিডিও লিংক Click This Link আল-জাজিরা এ খবর এমন সময় প্রকাশ করলো যখন ঢাকার মতিঝিলে গত ৫ মে মধ্যরাতে ঘুমন্ত হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে ঠিক কত মানুষ হতাহত হয়েছেন তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে।

নিবাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে । নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কতজন মারা গেছে তার সঠিক সংখ্যা পরিষ্কার নয়। স্বতন্ত্র সংবাদ সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত অনেকেই পরে মারা গেছে বলে গত শনিবার দেয়া বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে। আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু ম সরকারের দেয়া নিহতের সংখ্যা সঠিক নয় বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে গুরুত্ব দেননি।

দীপু মনি বলেছেন, যে কোন সময় তদন্ত বা অনুসন্ধান হতেই পারে। তবে বাংলাদেশের সরকার ও বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, এ বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই। ঢাকার জুরাইনের আব্দুল জলিল নামে মূক ও বধির এক কবর খননকারী ইশারা-ইঙ্গিতের ভাষায় আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে অভিযানের পর তিনি এক রাতে ১৪টি লাশ দাফন করেছেন। এ সব লাশের দাড়ি ছিল এবং এদের দেহে বন্দুকের গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এদিকে, ৫ মে রাতে ঠিক কী ঘটেছিলো তা জানার জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে।

ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসিসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য হেফাজতে ইসলাম গত ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে। সরকারের দেয়া অনুমতির ভিত্তিতে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে হেফাজতের লাখ লাখ কর্মী এবং তারা রাতে ওই এলাকায় থেকে যায়। হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শাপলা চত্বর ত্যাগ করবেন না। এ ঘটনার তিন মাস আগে ঢাকার আরেকটি ব্যস্ত চত্বর শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে একদল তরুণ অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছিল। তারাও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ত্যাগ করবে না বলে ঘোষণা দেয়।

বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, তখন সেখানে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ব্যস্ত চৌরাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। অবস্থান ধর্মঘটকারী তরুণদের জন্য তিন বেলা উন্নতমানের খাবার ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শাপলা চত্বরের বেলায় তা হয়নি। সরকার হেফাজত কর্মীদের ২৪ ঘন্টাও সহ্য করেনি এবং 'ফ্লাশ আউট' সাঙ্কেতিক নামে অপারেশন চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী দাবি করেছেন, গত ৫ মে গভীর রাতে বাতি নিভিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা স্মরণকালের নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, ঘুমন্ত ও প্রার্থনারত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালিয়ে কমপক্ষে তিন হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নিহতের সংখ্যা ২৫০০-এর বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে। এদিকে, মধ্যরাতে শাপলা চত্বরে অভিযান শুরুর পর পরই ঢাকা থেকে প্রচারিত দু'টি টেলিভিশন চ্যানেল 'দিগন্ত' ও 'ইসলামিক টিভি' বন্ধ করে দেয় সরকার। সূত্র: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।