আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপারেশন শাপলা

পৃথিবীতে এখনো ভাল মানুষের সংখ্যাই বেশি অপারেশন শাপলা শেষ হবার প্রায় এক ঘণ্টা পরে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে দাবি করেছিলাম, একজনও মারা যায়নি। এর পরে বাঁশের কেল্লা থেকে বেশ কনফিডেন্সের সাথে আমারে মিথ্যুক ডাইকা একটা পোস্ট নাজেল হয়, এবং সেইখান থেকেই সর্বপ্রথম এই""২৫০০ নিহত"""গুজবটার উৎপত্তি। তবে বেশ ভাল রকমের একটা মানশিক অশান্তি শুরু হয়েছিল, যখন শুনলাম সেই মঞ্চের পাশ থেকে ৪ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাই হউক, গত তিন দিন ঢাকাতে ছিলাম । আতিপাঁতি করে, নিজের সাধ্য এর প্রায় সব সোর্স গুলি দিয়েই খোঁজ লাগিয়েছিলাম যে নিহত আসলে কত জন, সেটা বের করার জন্য।

এবং আবারও নিশ্চিত হয়েছি, সাকুল্যে ১৫ মিনিট (মুল অভিযান ১০ মিনিটের) সেই সমাবেশে একদম কেউই নিহত হননি- একজন মানুষও না। যে চারটি লাশ পাওয়া গেছে, তারা এর পূর্বে সকাল থেকে চলা সহিংসতায় নিহত হন। এবং ঘটনার দিন সারা দিনে নিহত প্রায় ৫১ জন ( অ্যামনেস্টি ইন্তারন্যশনাল, এবং আলজাজিরার এর হিসাবে) সবাই সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনাস্থলে এবং ভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন। অভিযান চলাকালীন টোটাল ৩১ জন আহত (বলতে হবে অজ্ঞান) হয়ে গেছিলেন। এবং এদের সবার ছবিই নেটে এসেছে।

অভিযানের স্থানের প্রচুর তাৎক্ষনিক ছবি নেটে ছাড়া হয়েছিল, কেউ কি দেখাতে পারবেন, সেই ছবি গুলির মধ্যে, এমন কি একটাতেও একটা সিঙ্গেল গুলির খোসা ছিল? উত্তর-পারবেন না। আর যারা এই"""গণহত্যার"""ধুয়া তুলে মামলা করার দুরসপ্ন দেখতেছেন, তাঁদের বলি, স্বপ্ন, স্বপ্ন দোষ হয়ে যাবে, যদি এই রকম করেন। কারন যতদূর জানি, ৪ টা ক্যমেরা দিয়ে পুরা অভিযানের ভিডিও করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে একটা মজার খেলা শিখিয়ে দিয়ে যাই, গুগলে"শাপলা চত্বরের অভিযানে নিহত নয়া দিগন্ত"লিখে সার্চ দিন। প্রচুর প্রতিবেদন পাবেন।

এবং একেক প্রতিবেদনে তারা নিহতের সংখ্যা একেক রকম দাবি করেছে, এবং একই দিনের প্রতিবেদনেই। আশা করি আর বেশি কিছু বুঝিয়ে বলতে হবেনা। প্রাসঙ্গিক কোন প্রাথমিক তথ্যের দিকে গেলাম না। সমকাল এবং প্রথম আলোর গত তিন দিনের এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি সর্বতোভাবে সঠিক। সব থেকে বড় বিসয় হল, এবং দুঃখ জনক বিসয় হল এটাই, যে ঠিক যা বলেছিলাম সফি হুজুরের ব্যপারে, প্রতিটা কথা সত্যি প্রমানিত হয়েছে ( আন্দোলনের গ্রিপ উনার হাত থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে)।

উনি যদি কন্ট্রোলটা রাখতে পারতেন, তাহলে কিছুই হতনা এবং প্রাণহানি ঘটতো না। প্রতিবারের মতই এবারকার ঘটনার দায়ও একক এবং সম্পূর্ণ ভাবে জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্র শিবিরের উপরেই বর্তায়। আর একটা কথা, অথেন্টিসিটিতে এবং চ্যলেঞ্জে আমি আইজ পর্যন্ত হারিনাই, শাহ আব্দুল মান্নানের মত লোক আমাকে নিয়ে লেখা তার কলাম বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারেনাই, এবং চ্যলেঞ্জের মুখে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হইছিল। তো সেই ধারাতে বাঁশেরকেল্লাও আমারে নিয়ে যে পোস্টটা দিছিল, সেইটা তারা প্রত্যাহার করে নিছে। তাদের মিথ্যা প্রত্যাহার করার জন্য ধন্যবাদ , এবং গুজব ছড়ানোর জন্য তিরস্কার।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। - নির্ঝর মজুমদার মূল লেখা ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।