আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মঘটীদের প্রতি নৌমন্ত্রীর হুমকি



ধর্মঘটী নৌযান শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে এক দিন সময় দিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি হুমকি দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে যারা কাজে যোগ না দেবে তাদের কাজের সনদ বাতিল করা হবে। ধর্মঘটী শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে নৌমন্ত্রী বুধবার তার কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, "আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টার মধ্যে যে সব শ্রমিক কাজে যোগ দেব না, তারা কাজের সুযোগ হারাবে। তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। " নৌযানের মাস্টার, সারেং, সুকানিদের সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর থেকে সনদ নিতে হয়।

মন্ত্রী সে সনদ বাতিলের হুমকিই দিয়েছেন। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ ধর্মঘটকে অযৌক্তিক বলে আসছেন শাজাহান খান। বুধবার এ ধর্মঘট পঞ্চম দিনের মতো চলছে। এতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করলেও মালবাহী কার্গোগুলো চলাচল না করায় সমুদ্র বন্দরে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে বিমানবন্দরেও।

সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোনো উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মঙ্গলবার রাতে বন্দর ব্যবহারকারী এয়ারলাইন্সগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে হজরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রী লঞ্চ মালিকদের ভয়-ভীতির উর্ধ্বে থেকে লঞ্চ চালানোর আহ্বান জানান এবং এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন। পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান বলেন, "নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন গত ১৭ মাসে চারবার ধর্মঘট ডেকেছে। শ্রমিকদের স্বার্থ নয়, ফেডারেশন নেতাদের ব্যক্তি স্বার্থই এ ধর্মঘটের কারণ। " ধর্মঘটের কারণে দুই সমুদ্রবন্দরে কাজ ব্যাহত হলেও মন্ত্রী দাবি করেছেন, বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে মালামাল খালাস হতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, লঞ্চ চলাচল করছে এবং যাত্রীদের সংখ্যাও বাড়ছে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ঘোষিত বেতন কাঠামো মনঃপুত না হলে পুনরায় আলোচনায় বসার সুযোগ আছে। নতুন মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে নৌশ্রমিকদের জন্য গ্রহণযোগ্য মজুরি কাঠামোসহ ২২ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। তবে নৌমন্ত্রী বলছেন, এ ধর্মঘট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ধর্মঘট আহ্বানকারী ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার নৌ শ্রমিক-মালিক-সরকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নৌযান শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো চূড়ান্ত হয়। বৈঠকে শ্রমিকদের দুটি সংগঠন থাকলেও ছিলো না সবচেয়ে বড় সংগঠন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। নতুন কাঠামোয় মজুরি ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ বাড়লেও ফেডারেশন কমপক্ষে ৩০০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে। -----------------বিডিনিউজ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.