আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেয়ারের ফেস ভ্যালুপরিবর্তন হচ্ছে

সত্যের চেয়ে অপ্রিয় আর কিছু নেই

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অভিহিত মূল্য পরিবর্তন (স্পিল্গট) সংক্রান্ত ইস্যুতে দীর্ঘ বিতর্ক ও অনিশ্চয়তার অবশেষে অবসান ঘটছে। গতকাল রোববার অভিহিত মূল্য পরিবর্তনের সুযোগটি কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত রাখার একটি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একইসঙ্গে ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানি অভিহিত মূল্য পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কাছে আবেদন করেছে, তাদের আবেদন অনুমোদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে অর্থমন্ত্রী এ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করলেও গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে এসইসির কাছে কোনো নির্দেশনা পাঠানো হয়নি।

কোনো প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়নি। আজ সোমবার এসইসির কাছে মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠাবে বলে জানা গেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অভিহিত মূল্যে যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে। বর্তমানে বাজারে এক টাকা, ১০ টাকা, ১০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার রয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি কোম্পানি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

একই মাসে এ বিষয়ে অনুমতি চেয়ে এসইসির কাছে আবেদন করা হয়। শেয়ারের অভিহিত মূল্য পরিবর্তনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যেতে থাকে। এমন প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অভিহিত মূল্য অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রায় চার মাস পর গত ১ মার্চ এসইসি এক সার্কুলারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে অভিহিত মূল্য পরিবর্তন সংক্রান্ত যে কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরই এসইসি মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠায়।

অভিহিত মূল্য পরিবর্তনের ঘোষণাদানকারী কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রধান রেগুলেটর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ বিষয়ে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র করে সম্ভাব্য জটিলতা এবং আদালতে গড়ানোর আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে এসইসি মন্ত্রণালয়ে ওই প্রস্তাবনা পাঠায় বলে জানা গেছে। এর পর থেকেই ওই প্রস্তাবকে ঘিরে নানামুখী গুজব চলতে থাকে বাজারে। ওই প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী সম্মতি দিচ্ছেন, এমন গুজব যখন বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন বাজারে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়, কমে যায় ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার। এদিকে এসইসির ওই প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় অভিহিত মূল্য পরিবর্তনের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ লঙ্ঘন করে একের পর এক কোম্পানি এমন ঘোষণা দিতে থাকে। গত মাসের মাঝামাঝি সামিট পাওয়ার কর্তৃপক্ষ প্রথম এমন ঘোষণা দেয়।

পরে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, যমুনা ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক একই ঘোষণা দেয়। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা দ্রুত বিষয়টি নিষ্পন্ন করার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। রোববার সংশ্লিষ্ট ফাইলে অর্থমন্ত্রীর স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত বিষয়টির নিষ্পত্তি হলো। জানা গেছে, শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করার অনুমতি দেওয়া হলেও এর কম অভিহিত মূল্য নির্ধারণের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না কোনো কোম্পানিকে। এসইসির ১ মার্চের সার্কুলারের আগ পর্যন্ত প্রাইম ফাইন্যান্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আল আরাফা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ফাইন্যান্স শেয়ারের অভিহিত মূল্য পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিল।

সুত্র: সমকাল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.