আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমানবিক এবং পেছনের গল্প



কাল সারাদিন খুব ব্যস্ত ছিলাম। এজন্য ব্লগে বসতে পারিনি। আজ অফ ডে! (যদিও বেলা ১-৩০ মিনিটে অফিসে মিটিংয়ে যেতে হবে)। ভাবছিলাম অমানবিক শিরোনামের সংবাদটা নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। কিন্তু আমার হারকিউলিস ভাই আমার পুরো সংবাদটাই তুলে দিয়েছেন।

ধন্যবাদ উনাকে। গতকাল অফিসে গিয়েই শুনি আমার এই নিউজটা হিট লিস্টে দুই নম্বর। সর্বাধিক পঠিতদের মধ্যে সবার উপরে, মন্তব্য আসছে প্রচুর। ফোনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অথচ কি আশ্চর্য জানেন! এই নিউজটা হয়তো করাই হতো না আমার।

দৈনন্দিন অ্যাসাইনমেন্টের অংশ হিসেবে গত ৬ মে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গেলাম ওয়ালটন ৩৫তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস কাভার করতে। নিউজের খোজে হন্যে হয়ে ঘুরছি এদিক সেদিক। অফিস থেকে নির্দেশ ছিল এখান থেকে একটা অল্প স্বল্প (আমাদের পাতায় যে মিনি ইন্টারভিউ যায় আর কি) করতে হবে। ভাবলাম ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রেকর্ড টেকর্ড হলে দ্রুততম মানব-মানবীদের কাউকে করব। কিন্তু ওই ইভেন্ট শুরু হতে তখনো অনেক বাকি ছিল।

ভাবলাম ফেডারেশন অফিসে একটু ঢুঁ মেরে আসি। সেখানে খানিকক্ষণ কাটিয়ে এলাম বারান্দায়। ওখানে দেখি এক ভদ্রলোক আমাদের পত্রিকা পড়ছেন। কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। একেবারে তার কোলঘেঁষে।

দেখি আমার লেখা অ্যাথলেটিকসের নিউজটাই পড়ছে। যদিও এসব নিয়মিত রিপোর্টিংয়ে নাম লেখা থাকে না। ক্রীড়া প্রতিবেদক লেখা থাকে। তবুও সরাসরি পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানার অদম্য কৌতুহল মেটাতে পারছিলাম না বলে কাছে দাঁড়ালাম। দেখি দুইজন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা কথা বলছেন সাংবাদিকরা যা লিখেছে সব সত্যি।

বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ অনিয়মের কথা বলছে আর কি। শুনে নিজের পরিচয় দিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে আরো অন্যান্য বিষয় জানার চেষ্টা করছি। তখনই হঠাৎ চোখ পড়ল এক মা অ্যাথলেট তার দুধের বাচ্চাকে আমাদের পত্রিকা দিয়ে পাখা বানিয়ে বাতাস করছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে উনার সঙ্গে কথা বললাম। ছবি না তুললে রিপোর্টটার গুরুত্ব বোঝানো যাবেনা ভেবে আমাদের ফটোসাংবাদিক টেংকু ভাইকে(শামসুল হক টেংকু) ডাকলাম ছবি তোলার জন্য।

অফিসে এলাম। এসে ঘটনাটা জানালাম। ছবি যাবে বলে সিদ্ধান্ত হল। কিন্তু একটু পর আমাদের এক সহকর্মী ডামি মেকাপ পাতা দেখে বলল এই ছবিটা দেওয়া যাবে না। এটা নাকি নেতিবাচক ছবি।

দেখতে ভাল লাগে না। তখন কেউ বলছে যাবে, কেউ বলছে যাবে না ছবিটা। আমি নিউজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। কারণ আমার মনে হচ্ছিল এটার ছবি না গেলে নিউজ করে লাভ নেই। চুপচাপ অন্য নিউজ লিখছি।

অন্য সহকর্মী বললেন বক্স আইটেম করে সিঙ্গেল কলামে ছবি ও নিউজ যাক। অবশেষে নিউজটি আলোর মুখ দেখল। এবং অফিসে প্রচুর ফোন এল এই নিউজ নিয়ে.... । আজ সামুতে লিখতে যাব এটা নিয়ে , হঠাৎ দেখি এটা তুলে দিয়েছেন হারকিউলিস ভাই। ধন্যবাদ উনাকে।

... তারপরও পোস্টটা অ্যাড করলাম এখানে Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।