আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবার অশান্ত বরিশাল পলিটেকনিক

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়......

বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নজরুল ও হিমেল, প্রথম বর্ষের সুবীর ও রিয়াজ এবং তৃতীয় বর্ষের সবুজ।

ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে আবদুর রাজ্জাক তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে ছাত্রলীগ ইনস্টিটিউট শাখার ম্যাগাজিনবিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগী কর্মীরা ধাওয়া করেন। এ সময় রাজ্জাকের পক্ষের নজরুলকে তাঁরা কুপিয়ে আহত করেন। রাজ্জাকসহ অন্যরা কলেজ থেকে বের হয়ে যান। দুপুর দেড়টার দিকে বহিরাগতদের নিয়ে রাজ্জাক ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। এ সময় তাঁরা ইমরান ও তাঁর সমর্থকদের ধাওয়া করেন।

রাজ্জাকের সহযোগীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইমরানের পক্ষের সুবীর, রিয়াজ, সবুজ ও হিমেল আহত হন। ঘটনার ব্যাপারে ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজ্জাক ক্যাম্পাসের নতুন ও পুরোনো ছাত্রাবাসের ছাত্রদের জিম্মি করে রেখেছেন। এ নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে। বেলা ১১টার দিকে রাজ্জাক তাঁর সমর্থকদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে সাধারণ ছাত্ররা তাঁদের বাধা দেন। এতে তাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।

দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ বি এম কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মইন, তুষার, শেখর, জসিমসহ অন্যদের নিয়ে রাজ্জাক ক্যাম্পাসে ফিরে এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমার সমর্থক কর্মীদের আহত করেন। ’ আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার সমর্থক কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে ইমরান, সবুজ, অনু ও মিশুর নেতৃত্বে অন্যরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নজরুলকে তারা কুপিয়ে জখম করে। দুপুরে আমরা ক্যাম্পাসে আবার ঢুকতে গেলে ওরা বাধা দেয়। সেখানে আমার নেতৃত্বে কোনো কোপাকুপির ঘটনা ঘটেনি।

’ ইনস্টিটিউটের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, রাজ্জাকের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেলেও তিনি আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ইমরানও তাঁর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় রয়েছেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছে। ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মীর মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে এ সংঘর্ষ ঘটে। ইমরান সব সময় রাজ্জাককে তাদের নেতা হিসেবে মেনে আসছিল।

হঠাৎ এমন হওয়ার আর কোনো কারণ দেখছি না। সংঘর্ষের বিষয়টি আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানাই। পরে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাধারণ ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার এ এফ এম আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.