আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাকে জেনারেল করা হয়েছে রাজাকারের পক্ষে সাফাই গাইবার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য!?

"রাজনীতি মানুষের কাজ, ছাগুদের উচিৎ কাঁঠাল পাতা চিবানো, লোকালয় থেকে দূরে গিয়ে!"

গতকাল নষ্ট শয়তান নামক ব্লগার তার সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী কতখানি রাজাকার? ইতিহাস কি বলে? নামক সম্পূর্ণ পক্ষপাত দুষ্ট একটি পোষ্টে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সাকা চৌধুরীর মতো একজন রাজাকারকে নিরপরাধ প্রমানের মতো ঘৃণ্য কাজ করেই ফেললেন! মাঝে মাঝে বিএনপি আর শিবিরের এজেন্ডা আর লক্ষ্য বোঝা বড় কঠিন হয়ে যায়, রাজাকারের পক্ষে কথা বলতে তো এরাই আছে! যাই হোক, প্রথম দুই মন্তব্যে আমি ইতিহাস কি বলে তা তুলে ধরেছি এবং মন্তব্য দুইটি এখানে সরাসরি তুলে দিচ্ছি, মন্তব্য ১ -- দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ক) ১৭ জুলাই ১৯৭১-এ ছাত্রনেতা ফারুককে ধরে এনে পাকবাহিনীর সহায়তায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী হত্যা করেন। ২৬ মার্চ থেকে আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীদের বাসায় পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য মোতায়েন থাকত। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ তাদের পরিবার প্রায় দেড় মণ সোনাসহ পালানোর সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে ১৮ই ডিসেম্বর ’৭১-এ ধরা পড়েন। ’ [সূত্র : দৈনিক বাংলা, ৮ জানুয়ারি ১৯৭২] খ) গুডসহিল (ছালার বাড়ি) স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষের নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত হয়। শোনা যায়, এ কেন্দ্র পরিচালনার সঙ্গে তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষকে এখানে ধরে এনে ঝুলিয়ে পেটানো হতো। উল্লেখ্য যে, এ বাড়িতে প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুককে হত্যা করা হয়েছে। আল-বদর বাহিনীর একটি বিশেষ গ্রুপ এ বাড়ির নির্যাতনের প্রত্যক্ষ সহযোগী ছিল। ’[সূত্র : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহর চট্টগ্রামের নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমি : সাখাওয়াত হোসেন মজনু] গ) নিজামুদ্দীন ১৮ নবেম্বর চট্টগ্রাম জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। সে বলে আমি ধরা পড়ি ৫ জুলাই।

আমাকে ফজলুল কাদেরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পিছমোড়া করে বেঁধে ফজলুল কাদেরের পুত্র সালাউদ্দিন, অনুচর খোকা, খলিল ও ইউসুফ রড, লাঠি, বেত প্রভৃতি হাতে আমাকে পেটাতে থাকে। পাঁচ ঘণ্টা মারের চোটে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। ৬ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় আমাকে স্টেডিয়ামে চালান দেয়া হয়। ’ [সূত্র : বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত : মাহবুব-উল-আনোয়ার; পৃষ্ঠা ৬৯] ঘ) চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় এবং কুণ্ডেশ্বরী বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর বাবু নূতন চন্দ্র সিংহের হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন কাদের বলে কথিত আছে।

২৯ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর প্রায় ৪৭ জন অধ্যাপক সস্ত্রীক আশ্রয় নিয়েছিলেন কুণ্ডেশ্বরী ভবনে। এদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আলী আহসান ড. এ আর মল্লিক, ড. আনিসুজ্জামান প্রমুখ। পাকবাহিনী চট্টগ্রাম দখলের পর এরা সবাই ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। বাবু নূতন সিংহকেও যাওয়ার কথা বলেছিলেন সবাই। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি মরতেই হয় দেশের মাটিতেই মরব।

পরিবারের সবাইকে সরিয়ে দিয়ে নিজে কুণ্ডেশ্বরী মন্দিরে অবস্থান করছিলেন। পাকসেনা আসতে পারে অনুমান করে উঠানে চেয়ার-টেবিলও সাজিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল চারটি ট্যাঙ্কসহ দুটি জিপে করে পাকবাহিনী কুণ্ডেশ্বরী ভবনে আসে। এর একটিতে বসে ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র পাক সেনাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের কাজকর্ম ব্যাখ্যা করেন।

সন্তুষ্ট হয়ে পাকসেনারা জিপে চলে আসে, কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের তাদের জানান যে, তার বাবার আদেশ আছে ‘মালাউন নূতন চন্দ্র ও তার ছেলেদের মেরে ফেলার জন্য’, এরপর পাকবাহিনীর মেজর তাকে তিনটি গুলি করেন। একটি গুলি তার চোখের নিচে বিদ্ধ হয়, একটা গুলি তার হাতে লাগে এবং তৃতীয় গুলিটি তার বুক ভেদ করে চলে যায়। তিনি চিৎকার করে মায়ের নাম নিয়ে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান। ’ [সূত্র : একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় : মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র] ঘ) ১৯৭২ সালে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা মামলা হয়েছিল। নূতন চন্দ্রের ছেলে সত্যরঞ্জন সিংহসহ মোট ১২ জন সাক্ষী ছিলেন মামলায়।

মামলার এফআইএর নং ইউ/এস/৩০২/১২০ (১৩)/২৯৮ বিপিসি। ৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি বিচার শুরু হয়। আসামিদের মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ পলাতক ছিল ৫ জন। পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ ৫ জন ছিল কারাগারে। চট্টগ্রামের একজন শহীদের সন্তান শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর গণতদন্ত কমিশনকে জানান, তার পিতা শহীদ শেখ মুজাফফর আহমদ ও ভাই শহীদ শেখ আলমগীরকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার সহযোগীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল হাটহাজারী ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং পরে তাদের মেরে ফেলা হয়।

স্বাধীনতার পর শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংয়ের বিরুদ্ধে। [সূত্র : একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্ট] সদুত্তর না পেয়ে দ্বিতীয় মন্তব্য করি, সেটাও তুলে দিচ্ছি সরাসরি, দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি গণহত্যার ঘটনাগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এমনকি তিনি প্রায় প্রতিটি ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।

সোমবার তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন তিনি। চেয়ারম্যান ‍বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন। দ্বিতীয় দিনে প্রসিকিউশন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টিতে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করেছেন। এর আগে রোববার প্রথম দিনে শেষ হয় প্রথম তিন অভিযোগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। চার, পাঁচ এবং ছয় নম্বর অভিযোগে যুক্তি উপস্থাপনকালে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন এসব অভিযোগ প্রমাণে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষী এবং তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া আরো তিনজন সাক্ষীর বক্তব্য উদ্ধৃত করেন।

এসব সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তিনটি অভিযোগেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রসিকিউটর সীমন। যুক্তি উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত জগৎমল্লপাড়া, সুলতানপুরের বণিকপাড়া এবং ঊনসত্তরপাড়ায় গণহত্যা সংঘটিত করেছেন। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এমনকি তিনি প্রায় প্রতিটি ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। চার, পাঁচ, ছয়নং অভিযোগের সাক্ষীরা হলেন, আশীষ চৌধুরী, অরুণাংশু চৌধুরী, জ্যোৎস্না বালা, সিরু বাঙালি, অনীল বরণ ধর, বাদল বিশ্বাস, জানকি বালা, চপলা রাণী দাস, সুজিৎ মহাজন এবং আব্বাস উদ্দিন।

দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে করা দু’টি আবেদনই শুনানি না করে খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল। আবেদন দু’টি হলো, হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া এবং বিচারপতি শামীম হাসনাইনের সাক্ষ্যগ্রহণ না করা পর্যন্ত সাকা চৌধুরীর মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন। এর আগে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে তার বরাবর আবেদন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন। এ মর্মে একটি চিঠি সম্বলিত আবেদন করেন সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। রোববার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীদের কাছ থেকে পাওয়া বিচারপতি শামীম হাসনাইন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও দেওয়া হয় সাংবাদিকেদের।

এ চিঠির অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন আসামিপক্ষ। সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ পুনর্বিবেচনা করতেও একটি আবেদন করেন তার আইনজীবী। এতে বিচারপতি শামীম হাসনাইনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মূলতবির আবেদন করেন তিনি। সোমবার দু’টি আবেদনই খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং আসামিপক্ষকে ৩১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল ৫ জন নির্ধারণ করে দিলেও সাকা চৌধুরীর পক্ষে তিনি নিজেসহ মোট ৪ জন সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্য তিন সাফাই সাক্ষী হচ্ছেন তার কলেজ জীবনের বন্ধু নিজাম আহমেদ, এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাইয়ুম রেজা চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোমেন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জেরা সম্পন্ন করেছেন। অন্যদিকে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম ঘটনা ও জব্দ তালিকার সাক্ষী মিলিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ৪১ জন সাক্ষী। আর ৪ জন সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রত্যুষে গ্রেফতার করা হয় গাড়ি ভাংচুর ও পোড়ানোর মামলায় সাকা চৌধুরীকে। পরে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। গত বছরের ৪ এপ্রিল সাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এতে তার বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের উল্লেখ করা হয়। কার সাথে কে কোনদিন কি আলাপ করছে সেগুলো নিয়ে ছাগবানী কম হলেই ভালো হয় বরং কার কি অপরাধ সেটাকে, এজ ইন্ডিভিজুয়াল নেয়াই বেস্ট (প্রতিবন্ধীদের সেই ক্ষমতা থাকে না), ছাগুরা ডিফেন্ড করে কোরআনের পাখী, রাজাকার লইট্টা ফিশ সাইদী - গো আজমকে, আর আমাদের ছাগিয়তাবাদী বন্ধুরা কোমর বেঁধে নেমেছে সাকার মতো কাশিমপুরের আতংক সৃষ্টিকারী শিশু ধর্ষক সাকাচৌ এর পক্ষে বয়ান দিতে।

থুঃ! থুঃ! সবাই বলুন একসাথে, বিএনপি আর রাজাকার, মিলে মিশে একাকার! ***এই পর্যন্ত আমি আমার নিজেকে ডিফেন্ড করে গেছি! কিন্তু আলোচনাও থেমে থাকে নি! যেখানে আমার দেয়া রেফারেন্সগুলো তাদের ডিফেন্ড করার কথা সেখানে ব্যবহার দেখুন -- এই পর্যায়ে নষ্ট শয়তান শেখ মুজিব কে অপমান করে, পুরোন ছবি দেখিয়ে শুধুই কথা ঘুরাচ্ছিলেন। আমি চুপ ছিলাম। অতঃপর ভূমিপুত্র নামক চিহ্নিত মুজিব বিদ্বেষী ও নষ্ট শয়তানের ভয়াবহ ব্যক্তি আক্রমন , ট্যাগিং ও গালি গালাজের নমুনা দেখুন, অতঃপর যা হয়, পুতুলের দাদা শ্বশুর কে সেই হিসেবে চলে গেলেন মহাবিজ্ঞ ব্লগাররা, সাকা হয়ে গেলো গৌণ! অপ্রাসঙ্গিক ভাবে মুজিবকে কটাক্ষ করায় আমি তার প্রতিবাদ করি ও নিজের পয়েন্টের পক্ষে ব্যাখ্যা দেই! হ্যাঁ, আমার বিপক্ষে শালীন ভাষা ব্যবহার করা হয় নি বিধায় আমিও সঠিক সম্বোধনের মাঝে ছিলাম না আর, এটি সত্য! কিন্তু আমি তো কারো মা বাপ তুলে গাল দেই নি! এর পরে ইঁদুর নামক মাল্টি থেকে আজেবাজে গালি ও আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হবার পরেও আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়ার পর ও আমার মা বোন তুলে বাজেভাবে গালিগালাজ করার পরেই কেবল আমি তার উত্তর দেই ও প্রতিবাদ করি মাত্র! ফলাফল হিসেবে কি? ইঁদুরের মন্তব্য লেখক নিজে মুছে দিলেন আর আমার মত্নব্য মুছে করে দেয়া হলো জেনারেল! জানা আপা সেখানে লিখেছেন , ওখানে নাকি আলোচনার অনেক সুযোগ রয়েছে। আপু, আলোচনাই তো করতে গিয়েছিলাম, তথ্যই তো লিখছিলাম, তখন যে আক্রমন করে মন্তব্য করা হলো, বাজেভাবে আমাকে গালি দেয়া হলো সেটি আপনার চোখে পড়লো না শুধু চোখে পড়লো আমি কি প্রতিবাদ করেছি সেটুকু? রাজাকারদের পক্ষে কথা বললে প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারবো না? প্রতিবাদ বন্ধই রেখেছিলাম! কিন্তু এ যে নির্লজ্জ নির্জলা মিথ্যাচার, সেটাও সহ্য করতে হবে? সোনা ব্লগে কেমন ব্লগিং হয় আমার অবশ্য জানা নেই, রাজাকারের পক্ষে কথা বলে এপ্রিশিয়েটেড হওয়া আর বিপক্ষে কথা বলে গালি খাওয়া, শাস্তি পাওয়া বুঝি সামু ব্লগের 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এথিকস' বলে? মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে রাজাকার গালি দিলে তাকে জেনারেল করে দেয়া বুঝি আপনাদের মূলনীতি? আমি নিশ্চিত কাল জাতীয়তাবাদি যারা আমাকে ও মুজিবকে গালি দিয়েছে, তারা বহাল তবিয়তে সেইফ ব্লগার হিসেবে ব্লগিং করে যাবে! হাস্যকর, অতি হাস্যকর!! আমার প্রশ্ন সহজ, তাদের মডারেশন স্ট্যাটাস কি যারা আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলল? যারা মুজিবকে গালি দিলো? যারা আমার মা ও বোনকে অপমান করে কথা বলল??? তারা বহাল তবিয়তে থাকাই 'প্রফিটেবল' মনে হচ্ছে, আর আলোচনা, নির্বাচিত এসব করার কি দরকার! বরং ওইটা স্টিকি করে দেখিয়ে দেয়া হোক সামুর লক্ষ্য। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলতে না পারলে সেখানে কথা না বলাই শ্রেয়।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.