আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-এর পবিত্র বাণী- ৩

এক জন পুরুষ যতই সাহসী ও শক্তিশালী হোক না কেন তার জন্য একটি নারীই যথেষ্ট্য।

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-এর পবিত্র বাণী- ৩ * দুনিয়ার কাজ এমনভাবে কর যেন তুমি চিরকালই বেঁচে থাকবে আর পরকালের কাজ এমনভাবে কর যেন আগামীকালই তোমার মৃত্যু হবে। (আল হাদিস) * নিশ্চয় জান্নাতে হুর ও নারীদের সমাবেশ অনুষ্টিত হবে। উক্ত সম্মেলনে তারা এমন মন মাতানো সুরে এবং মধুর কন্ঠে গান গাইবে যা আল্লাহর সৃষ্ঠি জগতের কোন প্রাণীই শ্রবণ করেনি। তারা বলতে থাকবে- আমরা অননতকালের জন্য সৃষ্টি হয়েছি।

আমাদের কোনো ধ্বংস নাই বরং অননতকাল পযর্ন্ত আমরা আপন প্রভুর উপর এবং নিজ নিজ স্বামীর উপর সন্তুষ্ট থাকব। অসন্তুষ্টি কোনো দিনই আমাদেরকে স্পর্শ করবে না। চিরসুখী হউক সেই সব ভাগ্যবান পুরুষরা যারা আমাদের জন্য এবং আমরাও যাদের জন্য সৃষ্ঠি হয়েছি। -(তিরমিযী শরীফ) * মানুষের শরীরে যতগুলো জোড়া আছে, তার প্রতিটির জন্য সদকাহ রয়েছে। ‘সুবহান আল্লাহ’ বলা একটি সদকাহ ; ‘আল হামদুল্লিাহ’ বলা একটি সদকাহ আর ‘আল্লাহু আকবর’ বলাও একটি সদকাহ।

সৎকাজের উপদেশ দেওয়া আর অসৎ কাজে বিরত রাখার চেষ্টাও একটি সদকাহ। আর যদি কোনো লোক চাশতের দুই রাকাত নামায আদায় করে, তবে তার সকল অঙ্গপ্রতঙ্গের সদকাহ আদায় হয়ে যায়। -(মুসলিম শরীফ) * যার কাঁধ ধন-সম্পদের ভারে অবনত, তার পক্ষে বেহেশতের সিঁড়ি ডিঙানো কষ্টসাধ্য হবে। (আল হাদিস) * মৃত্যু হলো অননত যাত্রার প্রথম ষ্টেশন স্বরূপ। (আল হাদিস) * আল্লাহর সৃষ্টজীবের প্রতি যে দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।

(আল হাদিস) * তোমরা তোমাদের সন্তানদের যত্ন নেবে এবং তাদের শিষ্টাচার শিক্ষা দেবে। - (বোখারী শরীফ) * তোমরা গরীবদের সহিত বন্ধুত্ব কর এবং সামর্থ অনুযায়ী তাদের উপকার কর। পরকালের পথে তারা তোমাদের বড় পূঁজি এবং প্রধান অবলম্বন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন ঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ ! তারা আমাদের জন্য কিভাবে ধন হইল ? রাসুলে করীম (দঃ) বললেন ঃ কেয়ামতের দিন গরীবদেরকে নির্দেশ দেওয়া হবে যে, পৃথিবীতে যারা তোমাদেরকে এক লোকমা খাবার, এক ঢোক পানি কিংবা এক খন্ড বসত্র দান করেছে, আজ তোমরা তাদেরকে হাত ধরে টেনে বেহেশতে নিয়ে যাও। (আল হাদিস) * কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ থেকে বহু দূরে, মানব সমাজে ঘৃণিত এবং জাহান্নামের নিকটবর্তী।

(আল হাদিস) * যখন তোমার ভাল কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে এবং মন্দ কাজ তোমাকে পীড়া দেবে তখনই বুঝবে যে তুমি প্রকৃত মু’মিন। (আল হাদিস) * পৃথিবীর সব কিছুই সমপদ আর এর মধ্যে শ্রেষ্ট সমপদ হলো সতী-সাধ্বী সত্রীলোক। (আল হাদিস) * হজ্জের মাসসমুহ হচেছ শাওয়াল, জিলক্বদ এবং জিলহজ্জের প্রথম দশ দিন। - (বোখারী শরীফ) * পৃথিবীতে বাস করবে ভিনদেশী মুসাফিরের ন্যায় আর নিজেকে গণ্য করবে মৃত্যু পথযাত্রী রূপে। (আল হাদিস) * তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় যার চরিত্র সর্বাপেক্ষা উত্তম।

(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি মানুষের নিকট কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ নয়। (আল হাদিস) * যারা দুনিয়া থেকে চলে গেছে তাদের নিন্দা করো না। যে পরনিন্দা শ্রবণ করে সেও নিন্দুকের সমতুল্য। (আল হাদিস) * জ্ঞানীগণ নবীদের উত্তরাধিকারী। অবশ্য নবীগণ পরিত্যক্ত সমপত্তি হিসাবে কোন স্বর্ন-রৌপ্য রেখে যান নি বরং রেখে গেছেন জ্ঞান।

সুতরাং যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করে সেই সৌভাগ্যবান। (আল হাদিস) * কোরআনে পাঁচটি বিষয় অনতর্ভূক্ত রয়েছে ঃ হালাল, হারাম, সুস্পষ্ট নির্দেশসমূহ, রহস্যময় বিষয়সমূহ এবং দৃষ্টানতসমূহ। হালাল বিষয়সমূহকে হালাল বলে জানবে এবং হারাম বিষয়সমূহকে হারাম রূপে মানবে। নির্দেশসমূহ পালন করবে, রহস্যসমূহে বিশ্বাস রাখবে এবং দৃষ্টানত থেকে উপদেশ গ্রহন করে স্তর্কতা অবলম্বন করবে। (আল হাদিস) * তোমাদের প্রত্যেকেই একজন অভিভাবক এবং তোমাদেরকে তোমাদের অধীনস'দের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে ।

শাসককে তার অধীনস'দের সম্পর্কে এবং প্রত্যেক পুরুষ তার সত্রী-পুত্র-কন্যাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। সত্রী তার স্বামী এবং সন্তানদের রক্ষক এবং কেয়ামতের দিন এ সম্পর্কে তাকে আল্লাহর নিকট জওয়াবদিহি করতে হবে। (আল হাদিস) * ঘুষ গ্রহনকারী এবং ঘুষ প্রদানকারী উভয়ের প্রতি আল্লাহর অভিসমপাত। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি মাহে রমযানের একটি রোজা ত্যাগ করল, সে যদি সারা জীবনও রোজা রাখে তবু তার ক্ষতিপূরণ হবে না। (তিরমিযী , আবু দাউদ) * আল্লাহর সৃষ্টিজগতের বিষয়ে এক ঘন্টা চিন্তা-গবেষণা করা সত্তর বছর ইবাদতের চেয়ে উত্তম।

(আল হাদিস) * যারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার দ্বারা পেটভর্তি করে তারা জঘন্য লোক। মানুষের জন্য ততটুকু খাবারই যথেষ্ট যা তাকে সবল ও কর্মক্ষম রাখে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি রোজা রেখেও মিথ্যা কথা ও মন্দ কাজ ত্যাগ করতে পারেনি, তার উপবাসে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। -(আল হাদীস) * একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের সাথে এমন ভাবে সমপর্কিত যেমন কোন দেওয়ালের একটি ইট অপর ইটের সাথে সমপর্কিত। (আল হাদিস) * মাগরিবের নামাযের পর বিশ রাকাত নফল নামায আদায়কারীর জন্যে বেহেশতে অট্টালিকা নির্মাণ করা হবে।

-(তিরমিযী শরীফ) * যাতে সন্দেহের উদয় হয় তা বর্জন করিও এবং যাতে তোমাকে বিবেকের চোখরাঙানি সইতে না হয় তাই করিও। (আল হাদিস) * নবী করীম (দঃ)-এর পুত্র হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) যখন মৃত্যুবরণ করলেন, তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় হতে অশ্রু ঝরছিল। তা দেখে হযরত আবদুর রহমান (রাঃ) বললেন, হুজুর আপনি তো আমাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করেছিলেন ! জবাবে তিনি বললেন, “আমি মাত্র দুটি পাপের আওয়াজ ও দুটি নির্বোধের কাজ করতে নিষেধ করেছি। তা হলো বিলাপের ও গানের সুরে ক্রন্দন করা, পোশাক পরিচছদ ছিন্ন করা আর মাথায় করাঘাত করা কিন্তু অশ্রু বিসর্জনে কোন দোষ নাই। আল্লাহ্‌ পাক রহমত স্বরূপ দয়ালুদের হৃদয়ে সেটি প্রদান করেছেন।

” অতঃপর তিনি বললেন, “হে ইব্রাহীম ! তোমার বিচেছদে আমার হৃদয় ব্যথিত এবং চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছে। ” - (আল হাদীস) * উত্তম চিন্তা ইবাদতের অংশ। চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করা আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং তাড়াহুড়ো করে কাজ করা শয়তানের পক্ষ থেকে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি আখেরাতের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করতে চায়, সে যেন দরিদ্র ঋণগ্রস' ব্যক্তিকে টাকার জন্য পীড়াপীড়ি না করে বরং দীর্ঘকাল অপেক্ষা করে কিংবা আংশিক অথবা সমপূর্ণ পাওনা মাফ করে দেয়। (আল হাদিস) * সত্রীদের উপর অত্যাচারের ব্যাপারে আল্লাহর শাস্তিকে ভয় কর।

নিশ্চয় তোমরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তাদেরকে গ্রহন করেছ এবং তাঁরই পবিত্র বাক্যে তাদের সহিত তোমাদের দামপত্য সমপর্ক প্রতিষ্টিত হয়েছে। নিশ্চয় জেনে রেখো, সত্রীদের ওপর তোমাদের যেমন অধিকার আছে ; তোমাদের ওপরও তাদের তেমন অধিকার রয়েছে। (আল হাদিস) * তোমার কাংখিত বিষয় লাভের জন্য নিজেকে কখনও ছোট করো না ; কেননা আল্লাহর ইচছা মোতাবেকই সবকিছু ঘটে থাকে। -(আল হাদিস) * পানিতে ডুবনত ব্যক্তি যেমন সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ভীষণভাবে, তেমনি মৃত ব্যক্তিও সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তীব্রভাবে। পিতা মাতা ভাই সন্তান কিংবা সত্রীর দোয়ার জন্য সে অধীর অপেক্ষায় থাকে।

উক্ত দোয়া গিয়ে পৌছলে সে সমগ্র পৃথিবী ও তার সমপদরাজী লাভ করার চাইতেও বেশী তৃপ্তি পেয়ে থাকে। নিঃসন্দেহে পৃথিবী বাসীদের দোয়ার বরকতে আল্লাহপাক কবর বাসীদের জন্য পাহাড় পরিমাণ সওয়াব দান করে থাকেন। নিঃসন্দেহে মৃতদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা হলো জীবিতদের পক্ষ থেকে মৃতদের জন্যুুুু উপহার স্বরূপ। -(মেশকাত শরীফ) * যে জমি কারো নয় তার মালিক সেই ব্যক্তি যে স্বীয় পরিশ্রমে তাকে আবাদযোগ্য করে তোলে। (আল হাদিস) * তোমার জীবন একটি বিরাট গ্রন্তু স্বরূপ যার প্রতিটি বর্ণ থেকে গুপ্ত তথ্যসমূহ প্রকাশ পাচেছ।

(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাদ্র-দ্রব্য চল্লিশ দিন পযর্ন্ত গুদামজাত করে রাখে সে আল্লাহর দুশমন। পরবর্তীতে সে যদি সমস্ত খাদ্য-শস্য দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়েও দেয় তথাপি তার পাপ মোচন হবে না। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি শিশুদের স্নেহ এবং বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আল হাদিস) * কুবার মসজিদে নামায পড়ায় ওমরা তুল্য সওয়াব মিলে। -(আল হাদীস) * কুসংসর্গে থাকা অপেক্ষা নিঃসঙ্গ থাকা ভাল এবং নিঃসঙ্গ থাকা অপেক্ষা সৎসঙ্গে থাকা ভাল।

কুকথা বলার চেয়ে নীরব থাকাই ভাল এবং নীরব থাকার চাইতে জ্ঞানীদের সাথে কথা বলা ভাল। (আল হাদিস) * আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সত্যের উপর প্রতিষ্টিত থাকবে। তারা সর্বদা তাদের শত্রুর উপর বিজয়ী হবে। অবশেষে আল্লাহর নির্দেশ এসে যাবে এবং ঈসা ইবনে মরিয়ম (আঃ) অবতরণ করবেন। -(মুসনাদে আহমদ) * যে রমণী সামান্য কারণে তালাক চায়, বেহেশতের গন্ধও সে পাবে না।

(আল হাদিস) * ঋণ হলো পৃথিবীতে আল্লাহর শাস্তি স্বরূপ- যখন তিনি কাউকে অপমান করতে চান তখন তার কাধে ঋণের বোঝা চেপে দেন। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি মাগরিব নামাযের পর ছয় রাকাত নামায আদায় করে এবং নামাযের মধ্যে কোনো কথা না বলে, তবে সে বার বছর ইবাদতের সমতুল্য সওয়াব লাভ করবে। -(ইবনে মাজাহ শরীফ) * জাহা্‌ন্নামে ভেতর উটের ঘাড়ের ন্যায় দেখতে এক জাতের সাপ রয়েছে যা এত বিষাক্ত যে কাউকে একবার দংশন করলে চল্লিশ বৎসর যাবত তার বিষক্রিয়া থাকবে। আর দেখতে খচচরের মতো এক শ্রেণীর বিচছু আছে, যার দংশনেও চল্লিশ বৎসর পযর্ন্ত বিষক্রিয়া চলতে থাকবে। -(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি সংযমী, মিতাচারী সে যেই হোক না কেন এবং যে স্থানেই থাকুক না কেন, সে আমার সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী।

(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি পেটভরে আহার করে আর তারই প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত কাটায় সে প্রকৃত ঈমানদার নয় । -(আল হাদিস) * প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি অত্যাচারীকে ক্ষমা করে দেয়, সে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয়। (আল হাদিস) * খোরমার ন্যায় মস্তিষ্ক বিশিষ্ট কোন নিগ্রো দাসও যদি তোমাদের শাসক নিযুক্ত হয় তথাপি তোমরা তার আনুগত্য করবে এবং তাকে মেনে চলবে। সে যে পযর্ন্ত অবৈধ কাজ করতে না বলে, সে পযর্ন্ত তার হুকুম মান্য করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। (আল হাদিস) * রাসুলুল্লাহ (দঃ) সুদের দাতা, গ্রহীতা, লেখক এবং সাক্ষী সকলকে অভিসমপাত দিয়ে বলেছেন ঃ তারা সবাই সমান পাপী।

(মিশকাত শরীফ) * দয়া হলো ঈমানের চিহ্ন। যার মধ্যে দয়া নেই তার ঈমানও নাই। (আল হাদিস) * যার নিকট একদিনের খোরাকি আছে তার জন্য ভিক্ষা করা হারাম। যে ব্যক্তি নিজের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির দ্বার খুলেছে আল্লাহ তার জন্য অভাব-অনটনের দ্বার খুলবেন। (আল হাদিস) * পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি আর পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।

(আল হাদিস) * কোন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করল, তার কেয়ামত তখনই সংঘঠিত হয়ে গেল। (আল হাদিস) * যে নিজেকে চিনতে পেরেছে সে আল্লাহকে চিনতে পেরেছে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি কথা, কাজ ও চিন্তায় সৎ নয় সে প্রকৃত পক্ষে সত্যনিষ্ট নয়। (আল হাদিস) * প্রভাতে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জাগ্রত হওয়ার চেয়ে রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় নিদ্রা যাওয়া অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। (আল হাদিস) * আল্লাহ নিজে পবিত্র, পবিত্র ব্যতিত তিনি কিছু গ্রহন করেন না।

-(আল হাদীস) * যার হাত ও জিহ্বা থেকে মানুষ নিরাপদ থাকে সেই প্রকৃত মুসলমান। (আল হাদিস) * নিজেকে জয়ের চেষ্টাই হলো সর্বশ্রেষ্ট জিহাদ। (আল হাদিস) * দারিদ্রের পীড়ন থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলবে। কেননা ভয়াবহ দারিদ্র মানুষকে কুফরীর দিকে নিয়ে যায়। (আল হাদিস) * অনতর দিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করা, মুখ দিয়ে তা প্রকাশ করা এবং অঙ্গ-প্রতঙ্গের মাধ্যমে তদনুযায়ী কাজ করার নামই ঈমান।

(আল হাদিস) * নিশ্চয় কবর হলো আখেরাতের মঞ্জিলসমূহের মধ্যে প্রথম মঞ্জিল। যদি এই মঞ্জিলে নাজাত পাওয়া যায় তবে পরের মঞ্জিলসমূহ সহজে পাড়ি দেওয়া যাবে। - (আল হাদিস) * দোলনা হইতে কবর পযর্ন্ত জ্ঞান অর্জন কর। জ্ঞানচর্চায় যিনি নিজেকে উৎসর্গ করেন তার মৃত্যু নেই। জ্ঞানীকে সম্মান করলে আমাকেই সম্মান করা হয়।

(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি নিজের সমালোচনা করতে জানে সেই সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান। (আল হাদিস) * ধন-সমপদ থাকলেই ধনী হওয়া যায় না বরং সেই প্রকৃত ধনী যার হৃদয় বড়। (আল হাদিস) * (জ্ঞানীদের) সদুপদেশ ভিন্ন কোন কঠিন কাজে লিপ্ত হয়ো না। তোমার জন্য নিষপ্রয়োজন এমন কাজে কখনো ঝাঁপিয়ে পড়ো না। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি কখনও বিপদাপন্ন হয়নি সে প্রকৃত ধীরসি'র হতে পারে না যেরূপ বহুদর্শিতা এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া কেহ সুচিকিৎসক হতে পারে না।

(আল হাদিস) * পিতার প্রতি পুত্রের যেরূপ কর্তব্য বড় ভাইয়ের প্রতি ছোট ভাইয়ের কর্তব্যও তদ্রুপ। (আল হাদিস) * তোমরা রোজা রাখিও তাহলে সুস্বাস'্য লাভ করবে। (আল হাদিস) * রোজাদার অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কাজে এবং ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত না হয়। কেউ যদি তাকে গালি দেয় কিংবা বিবাদে লিপ্ত হয় তবে সে যেন বলে, আমি রোজাদার। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি সালাম দিতে অনীহা বোধ করে, সে কৃপণদের অনতর্ভূক্ত।

যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম দেয় সে অহঙ্কার থেকে মুক্ত। (আল হাদিস) * যে মহিলা অল্পতে সন্তুষ্ট থাকে, সে মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম । (আল হাদিস) * কোনো ব্যক্তি যখন তার হালাল অর্থ নিয়ে হজ্জে বের হয়, বাহনে চড়ে, উচচস্বরে তালবিয়া পড়ে আল্লাহর দরবাবে হাজিরা দেয়। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’-হাজির প্রভু তোমার দরবারে হাজির, তখন আল্লাহ পাক তার জবাবে বলেন ঃ ‘লাব্বাইক ওয়া সা’দায়িক’-আমিও হাজির, তোমার পক্ষে আছি, তুমি সৌভাগ্যের অধিকারী। কেননা তোমার যাতায়াত খরচ, তোমার বাহন সবকিছু হালাল উপায়ে অর্জিত।

পক্ষান্তরে যে হারাম অর্থ নিয়ে হজ্জে বের হয়, তার লাব্বাইক উচচারণের জবাবে আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন ঃ ‘লাব্বাইক ওয়া লা সা’দায়িক’-আমি তোমার জন্যে হাজির নই, তোমার পক্ষেও নই, তোমার সৌভাগ্যও নেই। কেননা তোমার হজ্জে ব্যয়িত অর্থ হালাল পন্থায় উপার্জিত নয়। - (তিবরানী) * মাত্রাতিরিক্ত ইবাদতের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত জ্ঞানই শ্রেয়। (আল হাদিস) * উপহাস করো না, তাতে সম্মান নষ্ট হবে। মিথ্যা বলো না, তাতে ঈমানের জ্যোতি নষ্ট হবে।

নিরাশ হয়ো না, অন্যথায় সত্যের উপর প্রতিষ্টিত থাকতে পারবে না। অলসতা করো না, তাতে কর্তব্যে ত্রুটি আসবে। (আল হাদিস) * মূর্খের ইবাদত অপেক্ষা জ্ঞানীর নিদ্রা উত্তম। (আল হাদিস) * দুর্ভাগ্য আরবদের জন্য যে, এক বিরাট বিপর্যয় তাদের সন্নিকটবর্তী। সেই ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে নিজের হাত গুটিয়ে রাখবে।

- (আবু দাউদ) * ভাল ব্যবহারের বদলে ভাল ব্যবহার- ইহার নাম উত্তম আচরণ নয়। বরং মন্দ ব্যবহারের বদলে ভাল ব্যবহার- ইহার নামই উত্তম আচরণ। (আল হাদিস) * নিশ্চয়ই এই পার্থিব জীবন অতীব চিত্তাকর্ষক আর মনোরম এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে এখানে তাঁর প্রতিনিধিত্বের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। অতঃপর তিনি দেখছেন, তোমরা কিরূপ কর্ম কর। - (মুসলিম শরীফ) * কেয়ামত হবে না যে পযর্ন্ত না তোমরা পশমের জুতা পরিধানকারী এক জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং যতক্ষণ না তোমরা তুর্কীদের সাথে যুদ্ধ করবে যাদের চক্ষু ছোট, মুখ লাল, নাক চেপ্টা ; তাদের মুখমন্ডলের পরতে পরতে ভাঁজ, চামড়ার ঢালের ন্যায়।

- (মেশকাত শরীফ) * এক সময় আমার উম্মতের কিছু লোক এক নীচু ভূমিতে অবতরণ করবে। উক্ত স্থানটিকে তারা ‘বসরা’ নামে অভিহিত করবে এবং স্থানটি দজলা নামক এক নদীর নিকট। নদীর উপর একটি সেতু হবে। উক্ত স্থানে অধিবাসীর সংখ্যা হবে বিপুল। শেষ পযর্ন্ত তা মুসলিম নগরসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম নগরীতে পরিণত হবে।

অতঃপর শেষ জমানায় চওড়া মুখমন্ডল, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চক্ষুবিশিষ্ট কানতুরার বংশধরগণ উক্ত শহরবাসীদের বিরুদ্ধে আসবে এবং তারা উক্ত নদীর পার্শ্বে আসতানা গাড়বে। তাদের দেখে শহরবাসী তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। একভাগ গবাদিপশুর পেছনে মাঠে-ময়দানে আশ্রয় নিবে। ফলে তারা সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আরেক ভাগ কানতুরার বংশধরদের নিকট আশ্রয় চাইবে, তারাও ধ্বংস হবে।

অবশিষ্ট আরেক ভাগ নিজেদের সন্তান-সনততি ও পরিবার-পরিজনকে পেছনে রেখে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, তাদের সবাই শহীদ রূপে গণ্য হবে। -(মেশকাত শরীফ) * তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে তার সত্রীর নিকট উত্তম। (আল হাদিস) * যে জ্ঞান অর্জন করে তার মৃত্যু নেই। (আল হাদিস) * যখন তোমাদের কন্যারা নিঃস্ব হয়ে তোমাদের নিকট ফিরে আসে, তখন তাদের জন্য তোমরা যা ব্যয় করবে তাই তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট দান স্বরূপ। (আল হাদিস) * পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পূর্বে এমন একটি সময় আসবে যখন লোকেরা কবরের পার্শ্ব দিয়ে যাওয়ার কালে তার ওপর লুটিয়ে পড়ে আফসোস করবে, “হায় ! এ কবরে যিনি শায়িত আছেন, তার স'লে যদি আমি থাকতাম, তবে কতই না ভাল হত !’’ (মুসলিম) * পুণ্যবান সত্রী হলো মানুষের সর্বাপেক্ষা মুল্যবান সমপদ।

(আল হাদিস) * সত্য সকলের নিকট অপ্রিয় হলেও তা প্রচার কর। (আল হাদিস) * পরিচছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি অন্যায় ভাবে চড়ুই পাখির ন্যায় ছোট্র প্রাণীকেও হত্যা করবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সেই হত্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন। (আল হাদিস) * অদূর ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ দুর্বিপাক দেখা দিবে, যা গোটা আরবভূমিকে গ্রাস করে ফেলবে। এতে যারা নিহত হবে তারা জাহান্নামী।

সেই গোলযোগের সময় মুখের ভাষা হবে তরবারির আঘাতের চাইতে বেশী ক্ষতিকর। -(ইবনে মাজাহ শরীফ) * যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আল হাদিস) * আল্লাহ রমযানের সিয়াম পালনকে ফরজ এবং রাতে তারাবিহ্‌ পড়াকে সুন্নাত সাব্যস' করেছেন। কেউ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য রমযানে একটি নফল আমল করলে অন্যমাসে একটি ফরজ আদায়ের সমান সওয়াব লাভ করবে এবং রমযানে একটি ফরজ আদায় করলে অন্য সময়ে সত্তরটি ফরজ আদায়ের সমান সওয়াব লাভ করবে। বস্তুত রমযান হলো ধৈর্যের মাস এবং এই ধৈর্যের পুরস্কার হলো জান্নাত।

আর এই মাস হলো মানুষের প্রতি সমবেনা ও সহানুভুতি প্রকাশের মাস। - (আল হাদীস) * তিন ব্যক্তির দোয়া নিঃসন্দেহে কবুল হয়ে থাকে ঃ পিতার দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং অত্যাচারিতের দোয়া । (আল হাদিস) * রোগীর সেবা-শশ্রুষাকারী নিজ গৃহে না ফেরা পযর্ন্ত জান্নাতের পথে চলতে থাকে। (আল হাদিস) * পুরনো কাপড় পরিধান করা এবং আধাপেট পানাহার করা পয়গম্বর সুলভ স্বভাবের অনতর্ভূক্ত। (আল হাদিস) * নবী করীম (দঃ) কবর পাকা করতে, তাতে সৌধ নির্মাণ করতে এবং তার সামনে বসে ধ্যান করতে নিষেধ করেছেন।

(আল হাদিস) * গৃহকর্তার অসুবিধা সৃষ্টি করে অতিথির পক্ষে বেশীদিন অবস্থান করা সমীচিন নয়। (আল হাদিস) * কারো পক্ষে মিথ্যাবাদী গণ্য হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে (যাচাই না করে) তাই বলে বেড়ায়। (আল হাদিস) * পিতামাতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উত্তম পন্থা হলো মৃত্যুর পর তাদের বন্ধুদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা । (আল হাদিস) * পিতামাতাকে গালি দেওয়া কবিরা গুণাহ। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি নিজের বা অন্যের জন্য পরিশ্রম করতে অনিচছুক, সে আল্লাহর পুরস্কার থেকে বঞ্চিত।

(আল হাদিস) * মায়ের পায়ের নীচে সনতানের বেহেশত। (আল হাদিস) * যত ইচছা খেতে ও পড়তে পারো যদি না তোমাকে অপব্যয় ও অহঙ্কার স্পর্শ করে। (আল হাদিস) * যখন কেউ অনুপসি'ত কারো জন্য দোয়া করে তা দ্রুত কবুল করা হয়ে থাকে। (আল হাদিস) * জুলুম-অত্যাচার কেয়ামতের দিন ঘোর অন্ধকারের রূপ লাভ করবে। (আল হাদিস) * কারো ওপর অত্যাচার হলে সে যদি ধৈর্য ধারন করে, আল্লাহ তার সম্মান বৃদ্ধি করে দেন।

(আল হাদিস) * না চেয়েও যদি কিছু পাওয়া যায় তবে তা গ্রহন করো এবং প্রতিদান দিতে চেষ্টা করো। (আল হাদিস) * আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত ঐ ব্যক্তি যে বিরোধ অব্যাহত রাখতে একগুঁয়েমি করে। (আল হাদিস) * একদা রাসুলুল্লাহ (দঃ) এই আয়াত পাঠ করলেন যে, “ হে মানব জাতি ! তোমাদের প্রভুকে ভয় কর, নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকমপন হবে অতীব ভয়ানক। ’’ তারপর তিনি সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করলেন, “এই অবস্থা কখন হবে বলতে পার ?’’ সাহাবীগণ বললেন, “আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভাল জানেন। ’’ তিনি বললেন, “এই অবস্থা সেদিন হবে যেদিন আল্লাহ পাক আদমকে ডেকে বলবেন- ‘হে আদম উঠ এবং তোমার গোনাহ্‌গার সন্তানদেরকে দোযখে প্রেরণ কর।

’’ তখন আদম (আঃ) জিজ্ঞাসা করবেন, “হে আল্লাহ ! প্রতি হাজারে কতজনকে প্রেরণ করব ?’’ আল্লাহ বলবেন, “প্রতি হাজারে একজনকে বেহেশতের জন্য রেখে অবশিষ্ট নয়শ নিরানব্বই জনকে দোযখে প্রেরণ করো। ’’ এই কথা সাহাবীদের নিকট খুবই কঠিন মনে হলো এবং তারা ভয়ে কাঁদতে লাগলেন। তারপর নবী করীম (দঃ) আল্লাহর নিকট দোয়া করে সাহাবীদেরকে বলবেন, ‘‘আমি আশা করি অবশ্যই তোমাদের এক-চতুর্থাংশ বেহেশতী হবে। ’’ রাসুলুল্লাহ (দঃ) পুণরায় বললেন, “ আমি আশা করি তোমাদের অর্ধেক নিশ্চয় বেহেশ্‌তী হবে। ’’ এতদ্‌ শ্রবণে সাহাবীগণ সন্তুষ্ট হলেন।

মহানবী (দঃ) আরও বললেন, “সুসংবাদ গ্রহন করো যে, তোমরা অন্যান্য উম্মতের তুলনায় একপাল উটের ভেতর একটি বকরী তুল্য হবে এবং তোমরা হাজারের মধ্যে একজন হবে। ’’ - (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি আমার মসজিদে একাধারে চল্লিশ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে তার জন্য দুইটি মুক্তি রয়েছে ঃ- একটি জাহান্নাম থেকে মুক্তি আর অন্যটি মুনাফেকী থেকে মুক্তি। (মুসনাদে আহমদ) * যদি জাহান্নামীদের মধ্য হইতে কোনো ব্যক্তিকে পৃথিবীতে পাঠানো হয় তবে তার ভীতিপ্রদ চেহারা এবং দুর্গন্ধে পৃথিবীর সব জীবজন্তু মারা যেত। -(আল হাদীস) * তোমরা বিজ্ঞান শিক্ষা কর ; যার কাছ থেকেই পাও আর যেখান থেকেই পাও। এতে তোমাদের কোন দোষ নেই।

(আল হাদিস) * নিশ্চয় নামাযের মধ্যে রোগনাশক শক্তি রয়েছে। -(আল হাদিস) * দনত মাজন মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের প্রতিষেধক। (আল হাদিস) * নিশ্চয় প্রত্যেক জিনিসের ক্ষেত্রেই যাকাত রয়েছে। আর শরীরের যাকাত হলো রোজা। (আল হাদিস) * রোজা রাখ ; তাহলে সুস্থ থাকতে পারবে।

(আল হাদিস) * অতিরিক্ত ভোজন দূর্ভাগ্যসূচক। (আল হাদিস) * আল্লাহর পথে নিহত শহীদগণ মৃত্যুর কষ্ট ঠিক সেরূপ অনুভব করে পিঁপড়ার কামড়ের কষ্ট তোমরা যেরূপ অনুভব করে থাক। - (আল হাদিস) * [জনৈক ভুঁড়িওয়ালা ব্যক্তিকে দেখে মহানবী (দঃ) বললেন] যা কিছু তুমি উদরে ভর্তি করেছো তা অন্যত্র ব্যয় করলে উত্তম হতো। (আল হাদিস) * তোমরা এমনভাবে পানাহার করবে যাতে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য দ্বারা, এক-তৃতীয়াংশ পানি দ্বারা আর এক-তৃতীয়াংশ বায়ু দ্বারা পূর্ণ থাকে। (আল হাদিস) * কখনও মদ্যপান করো না ; কেননা উহা সমস্ত কুকর্মের চাবিকাঠি স্বরূপ।

(আল হাদিস) * আমার উম্মতের মধ্যে যারা মিহি আটা ভক্ষন করে তারা নিকৃষ্ট। (আল হাদিস) * রোজা হলো ঢাল স্বরূপ। অতএব রোজা অবস্থায় যেন অশ্লীল ও মূর্খতাসুলভ কাজ থেকে বিরত থাকে। ঐ সত্তার কসম যার কব্জায় আমার প্রাণ, অবশ্যই রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট। -(বোখারী শরীফ) * যে ব্যক্তি গোঁফ ছেটে রাখে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

-(নাসাঈ শরীফ) * যে মাংস খন্ড হারাম খাবারে পরিপুষ্ট হয়েছে, তা জান্নাতে যাবে না। (মুসনাদে আহমদ)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.