আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-এর পবিত্র বাণী

এক জন পুরুষ যতই সাহসী ও শক্তিশালী হোক না কেন তার জন্য একটি নারীই যথেষ্ট্য।

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-এর পবিত্র বাণীbr /> * আমার উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক আছে, যারা আল্লাহর কোন নিদর্শন দেখে প্রকাশ্যে হাসে কিন্তু গোপনে কাঁদতে থাকে। এদের দেহ এ জগতে, কিন্তু আত্মা রয়েছে অন্য জগতে। তাদের প্রাণ ইহলোকে কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধি পরলোকে। তারা গাম্ভীরয্য বিজায় রেখে চলে এবং উসিলা অবলম্বনে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে।

(আল হাদিস) * যদি কেউ তার জন্য নির্ধারিত জীবিকা থেকে দূরে থাকার জন্য পলায়নও করে, তবু রিযিক তার পেছনে পেছনে ছুটবে। মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে যেমন পালিয়ে বাঁচতে পারে না, তেমনি রিজিকের হাত থেকেও পালিয়ে বাঁচা সম্ভব নয়। (আল হাদিস) * আমার উম্মতের দুজন লোক নামায পড়তে দাড়ায়, তারা একইভাবে রুকু-সিজদা করে কিন্তু উভয়ের নামাযে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়ে যায়। (আল হাদিস) * পৃথিবীতে এমন একটি সময় আসবে যখন মানুষ অনাচার ও অপকর্মে লিপ্ত হতে দ্বিধা করবে না বরং পাপাচারের জন্য বীরত্ব প্রকাশ ও গৌরববোধ করবে। তখন তোমরা কেয়ামত আসন্ন মনে করবে।

(মুসলিম শরীফ) * আমার উম্মতের কিছু লোক ভাগ্যকে অস্বীকার করবে। আল্লাহ তাদের কিছুকে মাটিতে প্রোথিত করবেন আর কিছুকে বাদরে রূপান্তরিত করে দেবেন। (আল হাদীস) * যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ওপর জোরপূর্বক ক্ষমতাশীন হয় এবং আল্লাহ যাদের সম্মানিত করেছেন তাদের অপমান করে আর আল্লাহ যাদের অপদস্ত করেছেন তাদের সম্মানিত করে, সে অভিশপ্ত। -আল হাদীস * যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিমুলক কোন কাজের শপথ করে, তার সে শপথ পালন করা উচিত। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টিমুলক কোন কাজের শপথ করে, তার সেটি পালন করা উচিত নয়।

(বোখারী শরীফ) * যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ে, নিশ্চয় সে শিরক করে। যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে রোজা রাখে, সেও শিরক করে এবং যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানো উদ্দেশ্যে দান-খয়রাত করে, সেও শিরক করে। -(মুসনাদে আহমদ) * একদিন আমি (উম্মে সালামা) ও মায়মূনা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় (অন্ধ সাহাবী) আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর নিকট আগমণ করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ (দঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা পর্দার আড়ালে চলে যাও।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ) ! উনি কি অন্ধ নন ? তিনি তো আর আমাদেরকে দেখবেন না। রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, তোমরা কি তাকে দেখবে না। -(আল হাদীস) * নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ পাক ধনী মুসলমানদের ধন-সম্পদ হতে এমন পরিমাণ দিয়ে দেওয়াকে ফরজ করেছেন, যা তাদের দরিদ্র-নিঃস্ব প্রতিবেশীদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হতে পারে। বস্তুতঃ দরিদ্র-নিঃস্বরা যে ক্ষুধার্ত ও বস্ত্রহীন থেকে কষ্ট পায়, তার মূলে ধনী লোকদের আচরণ ছাড়া অন্য কোন কারণই থাকতে পারে না। নিশ্চয় জেনে রাখবে আল্লাহ্‌ পাক এসব লোকদের খুব শক্ত হিসাব নেবেন এবং তাদেরকে তীব্র পীড়াদায়ক শাস্তি দিবেন।

(আল হাদিস) * হিংসা মানুষের সওয়াবগুলোকে এমনভাবে ধ্বংস করে ফেলে, যেমনভাবে আগুন লাকড়িকে ছাইয়ে পরিণত করে। (আবু দাউদ) * আমার পরে এমন একদল শাসক আসবে (নিষ্টুরতার ভয়ে) যাদের অন্যায় কথার প্রতিবাদ করিতে কেহই সাহস পাইবে না। এসব শাসকরা এমনভাবে জাহান্নামে প্রবেশ করবে, যেমন করে বানরের পাল একের পিছনে এক সারিবদ্ধ ভাবে ধাবিত হয়। (আল হাদিস) * আবু হোরায়রা, দুনীতিগ্রস্ত সমাজে একদিন ইনসাফ প্রতিষ্টা করা আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে ষাট বছরের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। (আল হাদিস) * যে ঘরে কুকুর রয়েছে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।

(আল হাদীস) * দশ দিরহামের কমে মোহরানা হতে পারে না। -(আল হাদীস) * কেয়ামতের দিন কোনো কোনো মানুষের সওয়াবের পরিমাণ হবে পাহাড় সমতুল্য। তা দেখে সেই ব্যক্তি অবাক হয়ে বলবে, এত সওয়াব আমি কোথা হইতে পেলাম। তখন তাকে বলা হইবে যে, তোমার সন্তানেরা তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, সেই কারণেই তোমার এত নেকী হয়েছে। -(আল হাদীস) * অহঙ্কারীকে আল্লাহ নীচু করে দেন এবং বিনয়ীকে আল্লাহ উঁচু করে দেন।

-(আল হাদীস) * আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছি। (আল হাদীস) * যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত পাওয়ার পর তাতে ইবাদত-বন্দেগী করবে, মহান আল্লাহ তার প্রতি জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন। -(আল হাদীস) * যখন ঈমানদার ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয় তখন তার নিকট মনে হবে যে সূর্য ডুবিতেছে। তার দেহে রুহ প্রবেশ করানোর পর তিনি চোখ মেলে উঠে বসবেন এবং ফেরেশতাদের বলবেন, আমাকে ছেড়ে দাও; আমি নামাজ পড়ব। -(আল হাদীস) * এই উম্মতের প্রথম কল্যাণ এবং পূণ্যময় গুণ হলো ইয়াকীন (বিশ্বাস) এবং যুহদ (সংসার বিমুখতা) আর প্রথম মহাসংকট ও ধ্বংসাত্মক দোষ হলো কৃপণতা ও দীর্ঘায়ু লাভের বাসনা।

(বায়হাকী) * হে আদম সন্তান, কথা সরল ভাবে বলিও। কেননা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলা শয়তানের কাজ। কোন কোন বক্তৃতায় যাদুকরী প্রভাব থাকে। (আল হাদিস) * নিদ্রা তো মৃত্যুর সহোদর ভাই আর জান্নাতবাসীগণ মরবে না। (বায়হাকী) * যে ব্যক্তি মদীনার সাতটি আজওয়া খেজুর খালি পেটে খাবে, যাদু-মন্ত্র তার ওপর কোনো ক্রিয়া করবে না।

-(বোখারী শরীফ) * যে শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য থাকে, তার দ্বারা দুনিয়াবী সুখ-সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করলে আখেরাতে বেহেশতের গন্ধও পাবে না। (আল হাদীস) * জ্ঞানার্জনের জন্য দরকার হলে সুদূর চীন দেশে যাও। (বায়হাকী) * যে ব্যক্তি কোন জ্ঞানী ব্যক্তির একদিন সেবা করল, সে যেন অন্য লোকের সত্তর বৎসর সেবা করল। (আল হাদিস) * যে ঈমানদার ব্যক্তি মানুষের সহিত মেলামেশা করে এবং তাদের দেওয়া কষ্ট সহ্য করে, সে ঐ ব্যক্তি হইতে উত্তম, যে মানুষের সহিত মেলামেশাও করে না, তাদের দেওয়া কষ্টও সহ্য করে না। (আল হাদিস) * প্রবৃত্তি (অর্থাৎ মনের ইচ্ছা) হলো আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত অনুসরণীয়, যাকে দুনিয়াতে উপাসনা করা হয় ।

(আল হাদিস) * হে মানব জাতি! তোমরা মানুষকে পানাহার করাও, আত্মীয়দের সাথে সুসমপর্ক বজায় রাখ, প্রত্যেক মুসলমানকে সালাম দাও এবং রাতের সেই মুহূর্তে নামায পড় যখন সবাই ঘুমে বেঁহুশ হয়ে থাকে। এভাবে তোমরা নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (আল হাদিস) * শেষ জামানায় দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার আধিক্য দেখা দিবে। যে সেই যুগটি পাইবে, সে যেন ক্ষুধার্তদের প্রতি অবিচার (হৃদয়হীন আচরণ) না করে। (আল হাদীস) * (আল্লাহ বলেন) মহত্ত্ব আমার পায়জামা এবং শ্রেষ্টত্ব আমার চাদরস্বরূপ।

যে আমার এদুটো জিনিসে ভাগ বসাতে চায়, তাকে আমি লন্ডভন্ড করে দেই। (আবু দাউদ , ইবনে মাজাহ) * যে ব্যক্তি স্বভাবের নম্রতা হইতে বঞ্চিত হয়েছে, সে কল্যাণ হইতে বঞ্চিত হয়েছে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি দ্বীনি / ইসলামী জ্ঞান অর্জন করে, তার সর্ব প্রকার চিন্তা-ভাবনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তাকে অকল্পনীয় স্থান থেকে জীবিকা সরবরাহ করা হবে। (খতীব) * যারা শিশুদের কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হন।

(আল হাদীস) * ঈমানদার ব্যক্তি কখনও বিদ্বেষপরায়ণ বা পরশ্রীকাতর হতে পারে না। (আল হাদীস) * ইসলামকে পূনর্জীবিত করার লক্ষে জ্ঞানার্জনেরত অবস্থায় যারা মৃত্যুবরণ করে, বেহেশতে নবীদের সাথে তাদের মাত্র একটি স্তরের ব্যবধান থাকবে। (দারেমী) * সমস্ত সৃষ্টির চাইতে যিনি আমার নিকট অধিক প্রিয় ও সম্মানিত এবং যার পবিত্র নাম আসমান, জমীন, চন্দ্র , সূর্য সৃষ্টি করার বিশ লক্ষ বছর পূর্বে আরশে মোয়াল্লায় আমার নামের পাশে লিখে রেখেছি, তিনি বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি ও তার উম্মতগণ জান্নাতে প্রবেশ না করা পযর্ন্ত অন্যদের জান্নাতে প্রবেশ হারাম। -(আল হাদীস) * (হযরত আনাস (রাঃ) বলেন) আমি সুদীর্ঘ দশ বৎসর রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর খেদমত করেছি।

এই সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে তিনি কখনও বলেননি যে, অমুক কাজটি এভাবে করলে কেন কিংবা অমুক কাজটি করলে না কেন। (আল হাদীস) * সেই ব্যক্তি সুখী যে নিজের দোষ দেখে অন্যের দোষ অনুসন্ধান বন্ধ করে দেয়। উপার্জিত অর্থ হালাল পথে খরচ করে, জ্ঞানীদের সাথে চলাফেরা করে এবং পাপীদের থেকে দূরে সরে থাকে। (আল হাদীস) * সব আলেমের কাছে বসো না বরং এমন আলেমের সান্নিধ্যে বসো, যে পাঁচ বিষয়ের দিক থেকে অন্য পাঁচটি বিষয়ের দিকে আহ্বান করে ; যেমন (১) সন্দেহের দিক থেকে দৃঢ় বিশ্বাসের দিকে, (২) লোক দেখানোর দিক থেকে আন্তরিকতার দিকে , (৩) দুনিয়ার প্রতি মোহ থেকে দুনিয়া বিমুখতার দিকে , (৪) অহমিকার দিক থেকে বিনয়ের দিকে , (৫) শত্রুতার দিক থেকে মিত্রতার দিকে। (আল হাদিস) * কোনো বান্দা যখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে, তখন আল্লাহ তাকে একটি সওয়াব দান করেন, তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাকে একটি সম্মান বৃদ্ধি প্রদান করেন।

- (ইবনে মাজাহ শরীফ) * হে লোক সকল ! তোমরা গোপন শিরক থেকে বেঁচে থাক। মানুষ যখন নামাজে দন্ডায়মান হয় তখন অন্যের চোখে ভাল দেখানোর উদ্দেশ্যে খুব সুন্দর করে নামাজ পড়ে আর এটাই হলো গোপন শিরক। -(ইবনে খোজায়মাহ) * তুমি তোমার ঘরের সবাইকে নামায পড়তে বল, আল্লাহ তোমাকে কল্পনাতীত স্থান থেকে জীবিকা দান করবেন । (আল হাদীস) * মানুষ বলে ‘আমার ধন, আমার সম্পদ’ অথচ তোমার অংশ তো ততটুকুই যতটুকু তুমি খেয়ে শেষ করে ফেল অথবা পরিধান করে পুরনো করে ফেল অথবা দান করে পরপারে পাঠিয়ে দাও। এতদ্ব্যতিত যা কিছু আছে তা তোমার হাত থেকে চলে যাবে অন্যের কব্জায়।

(তিরমিযী) * তোমরা বিয়ের প্রচারণা করবে, বিবাহকার্য মসজিদে সম্পন্ন করবে। - (মেশকাত শরীফ) * বেহেশতে কারও সন্তানের আকাঙখা হলে গর্ভধারণ, প্রসব ও সন্তানের দৈহিক বৃদ্ধি, সবই এক মুহূর্তের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় একশ’ বার করে “সোবহান্নাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী” পাঠ করে, তার গোনাহ্‌ মাফ করা হবে যদিও তা সমুদ্রের ঢেউ অপেক্ষাও বেশী হয়। -(আল হাদিস) * যারা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কিছুর নামে কসম করে তারা অবশ্যই আল্লাহর সাথে শরীক করে। (তিরমিযী শরীফ) * গুনাহ নেই এমন কোন লোক নেই।

কিন্তু যাহার জ্ঞানবুদ্ধি প্রখর এবং বিশ্বাস স্বভাবগত, গুণাহ তার কোন ক্ষতি করতে পারে না। কেননা সে গুণাহ করা মাত্র তার মধ্যে অনুশোচনা আসে, ফলে সে তওবা করে গুনাহর ক্ষতিপুরণ করে নেয়। তাতে তার সওয়াব অবশিষ্ট থাকে বলে সে বেহেশতী হয়। (আল হাদিস) * কাফেরদেরকে পদব্রজে হাঁকিয়ে হাশরের ময়দানে একত্রিত করা হবে আর ঈমানদারদেরকে উৎকৃষ্ট উটের পিঠে চড়িয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। রোজ কেয়ামতে আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের নির্দেশ দিবেন, “হে ফেরেশতাগণ ! আমার প্রিয় বান্দাদেরকে পায়ে হাঁটিয়ে আমার নিকট উপস্থিত করো না, বরং উৎকৃষ্ট উটের পিঠে চড়িয়ে তাদেরকে আমার নিকট হাজির করো।

কেননা পৃথিবীতে আরোহণ করা তাদের সহজাত স্বভাব ছিল। সর্বপ্রথম পিতার ঔরসে, অতঃপর মাতৃজঠরে অনততপক্ষে ছয়মাস তারা আরোহণ করেছে। জন্মের পর স্তন্যপানের সময় দু’বছর মায়ের কোলে ও পিতার কাঁধে চড়ে কাটিয়েছে। তারপর পৃথিবীতে জলে-স'লে নৌকা, গাধা, ঘোড়া ও খচচরে চড়ে ভ্রমণ করেছে। তাছাড়া মৃত্যুর পরও স্বীয় ভ্রাতার কাঁধে চড়ে কবরে পৌঁছেছিল।

অতএব হাশরের মাঠেও তাদেরকে পায়ে হাঁটিয়ে চালিও না। কেননা তারা হাঁটতে অভ্যস্থ ছিল না। এই কাজে তাদের জন্যে উট অথবা কোরবাণীর পশুর ব্যবস্থা কর। - (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি ফরজ নামায ব্যতিত দিবা-রাত্রের মধ্যে অতিরিক্ত বার রাকাত নামায আদায় করবে, তার জন্য বেহেশতে একটি গৃহ নির্মিত হবে। -(মুসলিম শরীফ) * মেরাজের রাত্রে আমি এমন লোকদের নিকট দিয়ে যাচিছলাম, যাদের ঠোঁট আগুনের কাঁচি দিয়ে কাটা হচিছল ।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তোমরা কারা ? তারা বলল, আমরা অন্যদের সৎকাজ করতে বলতাম, অথচ নিজেরা তা করতাম না। অন্যদের অসৎ কাজ করতে নিষেধ করতাম কিন্তু নিজেরা তাতে লিপ্ত হতাম। (আল হাদিস) * হে লোক সকল ! আমি তোমাদের জন্য দু’টি জিনিস রেখে যাচিছ, যতদিন তোমরা এই দুটোকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না, আর তা হলো আল্লাহর কোরআন এবং আমার সুন্নাহ। (আল হাদীস) * আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় আমল সেটাই যা নিয়মিত আদায় করা হয়, যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়ে থাকে। (আল হাদিস) * এমন গুনাহ থেকেও বিরত থাকতে সচেষ্ট হও যাকে ছোট ও নগণ্য মনে করা হয়ে থাকে।

কেননা, ইহার জন্যও আল্লাহর তরফ থেকে পাকড়াও করা হবে। (নাসায়ী , ইবনে মাজাহ) * বেহেশতে আল্লাহ এমন সব নেয়ামত রেখেছেন যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শ্রবণ করেনি এবং মস্তিষ্ক তা কল্পনাও করেনি। তন্মধ্যে একটি নেয়ামত হলো আল্লাহর দর্শন লাভ। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, যদিও তা একটি ক্ষুদ্র পাখির বাসার মত হয়, আল্লাহ বেহেশতে একটি মহল তৈরী করবেন। (আল হাদিস) * শয়তান কখনও কখনও জ্ঞানের মাধ্যমেই তোমাদের ওপর আধিপত্য বিসতার করবে।

জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ) ! তা কেমন করে ? তিনি বললেন, শয়তান বলবে, জ্ঞান অর্জন করো এবং জ্ঞানার্জন সমাপ্ত না হওয়া পযর্ন্ত আমল করো না। ফলে মানুষ এলেম নিয়ে ব্যস্ত থাকবে কিন্তু আমলে বাহানা করবে। শেষ পযর্ন্ত আমলশূণ্য অবস্থায়ই তার মৃত্যু এসে যাবে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময়ে পবিত্র অনতঃকরণে (আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই) বলবে সে জান্নাতে যাবে। -(আল হাদীস) * তোমরা সেই মৎস আহার কর যা সাগর থেকে নিক্ষিপ্ত হয় কিংবা সাগরের পানি নেমে গেলে ধরা পড়ে।

আর সেই মৎস আহার করোনা যা সাগরের পানিতে মরে ভেসে ওঠে। (আল হাদিস) * মৃত্যুর ফেরেশতা যখন আল্লাহর কোনো প্রিয় বান্দার নিকট আসেন তখন প্রথমে তাকে সালাম করেন এবং বলেন---হে আল্লাহর বন্ধু ! তোমাকে সালাম। সেই ঘর থেকে বেরিয়ে এসো যাকে তুমি ধ্বংস করেছ এবং সেই ঘরের দিকে চল যাকে তুমি যত্নের সাথে গড়েছ। -(আল হাদীস) * কেয়ামতের দিন মানুষ তিনটি দলে বিভক্ত হবে। একদল উদরপূর্তি এবং পোষাক পরিহিত অবস্থায় বাহনে আরোহণ করে হাশরের ময়দানে আসবে।

দ্বিতীয় দল আসবে পায়ে হেঁটে এবং তৃতীয় দলকে উপুড় অবস্থায় পা ধরে টেনে-হিঁচড়ে ময়দানে আনা হবে। (আল হাদিস) * ফজরের দু’রাকাত সুন্নাত নামায দুনিয়া ও তার মধ্যকার যা কিছূ আছে, তা হতে উত্তম। - (মুসলিম শরীফ) * মদীনা মানুষের পঙ্কিলতাকে দূর করে দেয় যেভাবে কামারের ফাপর দূর করে লোহার মরিচাকে। -(বোখারী শরীফ) * একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে শাস্তি দেওয়া যায় না। এখন থেকে পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে আর পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা যাবে না।

(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি স্বেচছায় নামায ছেড়ে দিল সে কাফের হয়ে গেল। (আল হাদিস) * সর্বনিকৃষ্ট আলেম হলো সে যে শাসকদের কাছে আসা-যাওয়া করে আর সর্বোৎকৃষ্ট শাসক সে যে আলেমদের নিকট আসা-যাওয়া করে । (আল হাদিস) * মকবুল হজ্জের পুরস্কার জান্নাত ভিন্ন কিছুই নয়। -(আল হাদীস) * তুমি তোমার নিজ বিবেক থেকে ফতোয়া গ্রহন কর যদিও মানুষ তোমাকে ফতোয়া দিক না কেন ? (আল হাদিস) * মানুষ কখনও কখনও কোন ভাল কথা বলে যাতে আল্লাহ তা’আলা খুবই সন্তুষ্ট হন। অথচ সে হাল্কা বিষয় মনে করেই কথাটি বলে এবং জানতেও পারে না যে, ইহার সওয়াব এত সুদূর প্রসারী যে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য কেয়ামত পযর্ন্ত স্থায়ী সন্তুষ্টি লিখে দেন।

তেমনিভাবে আল্লাহর অসন্তুষ্টিমুলক কথাও অনেক সময় মানুষ হালকা মনে করে বলে থাকে। অথচ সে ধারণাও করতে পারে না যে, ইহার পরিণাম এত ভয়ঙ্কর হতে পারে যে আল্লাহ তা’আলা কেয়ামত পযর্ন্ত স্থায়ী অসন্তুষ্টি লিখে দেন । (মুুসনাদে আহমদ) * একজন নিন্মশ্রেনীর জান্নাতবাসীকেও আশি হাজার খাদেম এবং বাহাত্তর জন সত্রী দেওয়া হবে। তার জন্যে গম্বুজ আকৃতির ছাউনি স্থাপন করা হবে যা মনি-মুক্তা হীরা ও ইয়াকুত দ্বারা নির্মিত। সেই ছাউনির প্রশস'তা হবে জাবিয়া হতে শান্‌আর মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান।

জান্নাতবাসীদের মস্তকে এমন মুকুট পরানো হবে যার সামান্য একটা মুক্তা দুনিয়ার পূর্ব প্রানত হতে পশ্চিম প্রানত পযর্ন্ত আলোকিত করে ফেলবে। -(আল হাদীস) * তোমরা খ্রীস্টান এবং ইহুদীদেরকে সালাম দিও কিন্তু আমারা উম্মতের ইহুদীদেরকে সালাম দিও না। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আপনার উম্মতের ইহুদী কারা ?’’ জবাবে নবী করীম (দঃ) বললেন, “যারা আজান শুনেও জামায়াতে উপস্থিত হলো না, তারা আমার উম্মতের ইহুদী। যে ব্যক্তি জামায়াত ত্যাগকারীকে সামান্য খাদ্য দিয়ে সাহায্য করল, সে যেন নবীদের হত্যাকান্ডে সহায়তা করল। সে মৃত্যুবরণ করলে তাকে গোসল , জানাযা এবং মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো না।

এমনকি জামায়াত বর্জনকারী একাই যদি সমস্ত উম্মতের সমতুল্য নামায পড়ে, সকল আসমানী কিতাব পাঠ করে, সারা বছর রোজা রাখে এবং সমস্ত উম্মতের সমতুল্য দান-খয়রাত করে, তবু সে জান্নাতের গন্ধ থেকেও বঞ্চিত হবে। আল্লাহ পাক জীবিত কিংবা মৃত কোন অবস্থায়ই তার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্রে চার রাকাত নামায আদায় করবে এবং তার প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একুশ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর ন্যায় নিষপাপ করে দেবেন। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি রোজাদার অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে ঐ দিন থেকে কেয়ামত পযর্ন্ত রোজার সওয়াব দান করবেন। -(আল হাদীস) * একদা নবী করীম (দঃ) ভাষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিম্বরে ওঠে দেখতে পেলেন যে, হাসান ও হোসাইন (রাঃ) ছুটাছুটি করছেন এবং ক্ষণে ক্ষণে আছাড় খেয়ে পড়ে যাচেছন।

তিনি ভাষণ দেওয়া স'গিত রেখে মিম্বর থেকে নেমে শিশু দু’টির দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তাদেরকে দু’হাতে উঠিয়ে নিলেন। তারপর মিম্বরে আরোহণ করে বললেন - হে লোক সকল, তোমাদের ধন-সমপদ এক পরীক্ষার বস্তু, আল্লাহর এ বাণী অতীব সত্য। আল্লাহর কসম , আমি আমার এই দুই নাতিকে দৌড়াদৌড়ি আর আছাড় খেয়ে পড়ে যেতে দেখে নিজেকে সংবরণ করতে পারলাম না, তাই দৌড়ে গিয়ে এদের তুলে আনলাম। -(মুসলিম শরীফ) * যে ব্যক্তি বিনা দাওয়াতে ভোজ অনুষ্টানে যোগ দেয়, সে চোররূপে প্রবেশ করে এবং ডাকাতরূপে প্রত্যাবর্তন করে। -(আবু দাউদ শরীফ) * পরনিন্দা ব্যভিচার অপেক্ষাও মারাত্মক গোনাহ।

সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কিভাবে হতে পারে ? রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, ব্যভিচার করার পর তওবা করলে তার গোনাহ মাফ হয়ে যায় অথচ গীবত করার পর যার গীবত করা হয়েছে, সে মাফ না করা পযর্ন্ত তার গোনাহ মাফ হয় না। (আল হাদিস) * মৃত্যু বিনা মূল্যে পাওয়া বস্তু আর পাপাচার হলো বিপদ। দরিদ্রতা হলো শানিত আর ধনী হওয়া হলো শাস্তি। জ্ঞান হলো উপহার এবং মূর্খতা হলো অন্ধকার। অত্যাচার লজ্জাদানকারী আর ইবাদত চোখের প্রশানিত।

আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি আর অত্যধিক হাসি হলো শরীরের জন্য পীড়া। পাপের অনুশোচনাকারী হলো ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে পাপই করেনি। -(আল হাদীস) * যদি কোন মুসলমানের মৃত্যু হয় এবং তার জানাযায় এমন চল্লিশ জন লোক অংশ নেয় যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না, তবে আল্লাহ পাক মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে তাদের সুপারিশ কবুল করেন। (আল হাদিস) * একজন বয়োজেষ্ট-প্রবীন লোক তার সমপ্রদায়ের মধ্যে এমন, স্বয়ং নবী তার উম্মতের জন্য যেমন। (আল হাদিস) * রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর সাথে আমরা কথা বলতাম এবং তিনি আমাদের সাথে কথা বলতেন, কিন্তু নামাযের সময় উপস্থিত হলে তিনি যেন আমাদেরকে চিনতেন না এবং আমরাও তাঁকে চিন্তাম না।

(আল হাদিস) * মুসলমান অবস্থায় যার চুল সাদা হয়েছে, কেয়ামতের দিন সেই চুল তার জন্য নূর হবে। (আল হাদিস) * যে কেউ জুমআর দিনে আশিবার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ তার আশি বছরের গুলাহ মাফ করে দেবেন। (আল হাদিস) * বিবেকহীন মানুষ অজ্ঞতার কারণে স্বভাবগত পাপাচারীর চেয়েও বেশী পাপ করে ফেলে। বিবেক মানুষকে সৎপথ প্রদর্শন করে এবং বিনাশ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে। কারো বিবেক পূর্ণ না হওয়া পযর্ন্ত তার ঈমান পূর্ণ হয় না এবং দ্বীন যথার্থ হয় না।

প্রত্যেক জিনিসেরই একটি ভিত্তি থাকে, ঈমানদারের ভিত্তি হলো তার বিবেক। (আল হাদিস) * কোনো বান্দা যদি কখনও কোন গুনাহ্‌ করে ফেলে, তবে সে যেন সাথে সাথে অজু করে দু’রাকাত নফল নামায আদায় করে এবং তওবা করে; এতে হয়ত আল্লাহ পাক তার গুনাহ্‌ মাফ করে দেবেন। -(তিরমিযী) * খবরদার ! কোন পরপুরুষই যেন কোন পরনারীর সহিত একাকী অবস্থান না করে। কারণ, যখনই কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে নির্জনে একত্রিত হয়, তখনই শয়তান হয় তাদের তৃতীয়জন এবং তাদের পিছূ নেয়। (আল হাদিস) * পরিচছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।

(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি তার অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কর্ম করে আল্লাহ তখন তাকে সে সব জ্ঞানও শিখিয়ে দেন যা সে শেখেনি। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি জোহরের ফরজ নামাযের পূর্বে চার রাকাত নামায আদায় করবে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়। -(আবু দাউদ) * যে ব্যক্তি অজু করে এবং উত্তমরূপে অজু করে, তারপর দুনিয়াবী কোন চিন্তা মনে সহান না দিয়ে দুই রাকাত নামায আদায় করে, সে এমন ভাবে পাপমুক্ত হয়ে যায় মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হওয়ার সময় যেমন পবিত্র ছিল। (আল হাদিস) * শেষ জমানায় কিছূ লোক কবুতরের পুচেছর ন্যায় কালো চুলের কলপ ব্যবহার করবে, তারা বেহেশতের গন্ধও পাবে না। (আল হাদিস) * আমার উম্মতের শেষ যুগে এমন একজন খলীফা হবে যে দুহাত ভরে ভরে দান করবে এবং কোন হিসেব করবে না।

-(মুসলিম শরীফ) * একদা এক ব্যক্তি হযরত রাসুলে করীম (দঃ)-এর নিকট কেয়ামত কবে হবে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “যখন আমানত নষ্ট হয়ে যাবে। ’’ লোকটি পুণরায় জিজ্ঞাসা করল, “আমানত কিরূপে নষ্ট হবে ?’’ তিনি বললেন, “অযোগ্য লোকের হাতে শাসন ক্ষমতা ন্যস্ত করা হবে। ’’ -(বোখারী শরীফ) * তুমি যদি এত বেশী পরিমাণে পাপ করে থাক যে তা সতুপীকৃত করা হলে আকাশের সমতুল্য উঁচু হয়ে যাবে, তারপরও অনুতাপ-অনুশোচনার সহিত ‘তওবা’ কর, তোমার তওবা কবুলই হবে, প্রত্যাখ্যাত হবে না। (আল হাদিস) * তোমাদের মধ্যে যাকে পাপের কারণে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তাকে কয়েক হুকবা জাহান্নামে অবস্থানের পূর্বে বের করা হবে না। এক হুকবা আশি বছরের কিছু বেশী এবং এক বছর তোমাদের বর্তমান হিসাব অনুযায়ী ৩৬০ দিনের হবে (আর প্রতিটি দিন হবে এক হাজার বছরের সমান)।

(আল হাদিস) * যে সকল মহিলা কবর জিয়ারত করতে যাবে, বাতি জ্বালাবে বা সেজদা করবে, তাদের উপর রাসুলুল্লাহ (দঃ) অভিসমপাত করেছেন। (আবু দাউদ) * যে ব্যক্তি জুমআর দিনে বা রাত্রিতে সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তাকে তার পড়ার স্থান থেকে পবিত্র মক্কা পযর্ন্ত নুর দান করা হয় এবং ঐ জুমআ থেকে পরের জুমআ পযর্ন্ত দিনগুলো এবং আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ করা হয়। সত্তর হাজার ফেরেশতা পরদিন সকাল পযর্ন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। এছাড়া সে শরীরের যে কোন ব্যথা, ফোঁড়া, বাত ও কুষ্ট রোগ এবং দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকে। (আল হাদিস) * কোন মুসলমান রোগাক্রানত হলে আল্লাহ তা’আলা সংশ্লিষ্ট ফেরেশতাকে নির্দেশ দেন, সুস্থ অবস্থায় সে যেসব সৎকর্ম করত, সেগুলো তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করতে থাকো।

(বোখারী) * তোমাদের দুটি স্বভাবের ব্যাপারে আমি যত ভয় করি আর কোন বিষয়ে এমন ভয় করি না --(১) মনের খায়েস মিটানোর পিছনে ব্যস্ত থাকা, (২) দীর্ঘকাল বাঁচার দুরাশা করা। (আল হাদিস) * (নাপাক শরীরে) অজু ছাড়া ঘুমিয়ে পড়া আমি পছন্দ করি না। কেননা আমার ভয় হয় যদি ঘুমের মধ্যে মৃত্যু এসে যায়, তবে আর তার কাছে জীবরাঈল (আঃ) আসবেন না। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি এমন কোন মালের উপর দাবী উত্থাপন করে যা আসলে তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। তার উচিত জাহান্নামে নিজের ঠিকানা খুঁজে নেওয়া।

(মুসলিম শরীফ) * নামায মোমিনের জন্য মেরাজ স্বরূপ। -(আল হাদীস) * তোমরা জুলুম-অত্যাচার থেকে দূরে থাক, কেননা জুলুম কেয়ামতের দিন অন্ধকারে রূপানতরিত হবে। (তিবরানী) * কসম সেই প্রভূর যার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয় রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশক (মৃগনাভী, কস'রী) থেকেও উত্তম। (আল্লাহ বলেন) রোজাদার তার জৈবিক চাহিদা এবং পানাহার কেবল আমার জন্যই বর্জন করে, কাজেই রোজা আমারই জন্য এবং আমি নিজ হাতে তার পুরস্কার প্রদান করবো। (আল হাদিস) * আমার উম্মতের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে বেহেশতে যাবে।

তাদের অন্যতম গুণ হল, তারা সর্বদা আল্লাহর উপর ভরসা করবে। (বোখারী , মুসলিম) * যে ব্যক্তি (সেজদা থেকে) ইমামের আগে মাথা উত্তোলন করে, সে কি ভয় করে না যে আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মাথায় রূপানতরিত করে দিতে পারেন। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তি হজ্জ (ফরজ হওয়া সত্ত্বেও) পালন না করে মৃত্যু বরণ করে, সে চাই ইহুদী হয়ে মরুক নয়ত খ্রীস্টান হয়ে মরুক। (আল হাদিস) * তোমরা বিবাহ কর কিন্তু তালাক দিও না। কেননা, তালাকের কারণে আল্লাহর আরশ কেঁেপ ওঠে।

(আল হাদিস) * কোন মুসলমানকে যদি কেহ এমন গোনাহর জন্য লজ্জা দেয় যা থেকে সে তওবা করেছে, তবে তাকে সেই গোনাহে লিপ্ত করে ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত করার দ্বায়িত্ব আল্লাহপাক নিজে গ্রহণ করেন। (আল হাদিস) * যদি নাক বোচাঁ কোনো কৃষ্ণাঙ্গ দাসকেও যোগ্যতার কারণে তোমাদের শাসক নিযুক্ত করা হয়, তথাপি তোমরা তার আনুগত্য করবে। (আল হাদিস) * আল্লাহ পাক জান্নাতীদের লক্ষ্য করে বলবেন ঃ- হে জান্নাতীগণ ! তখন তারা জবাব দিবে ঃ হে প্রভু ! আমরা উপস্থিত এবং আপনার আনুগত্যের জন্য প্রস'ত। যাবতীয় কল্যাণ আপনারই হাতে। অতঃপর আল্লাহ বলবেন ঃ তোমরা কি সন্তুষ্ট ? তারা জবাব দিবে ঃ হে আমাদের প্রতিপালক ! এখনও সন্তুষ্ট না হওয়ার কি আছে ? আপনি তো আমাদের এত প্রচুর দিয়েছেন যা আর কোন সৃষ্টি পায়নি।

আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদেরকে সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত দিতেছি। আমি তোমাদেরকে আমার সন্তুষ্টি দিচিছ ; এখন থেকে আর কখনও তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হইব না। (বোখারী , মুসলিম) * যে ব্যক্তি সফরে বের হওয়ার পূর্বে দু’রাকাত নফল নামায পড়ে গৃহে রেখে যায়, তার চাইতে উত্তম পুঁজি দ্বিতীয়টি নেই। -(আল হাদীস) * যতক্ষণ পযর্ন্ত না দশটি আলামত প্রকাশ পাবে ততক্ষণ পযর্ন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না। সেগুলি হলো (১) ধূঁয়া প্রকাশ পাবে যাতে পূর্ব হতে পশ্চিম পযর্ন্ত অন্ধকারে ঢেকে যাবে।

(২) দাজ্জালের আবির্ভাব হবে (৩) দাব্বাতুল আরদ্‌ নামক চতুষপদ প্রাণীর আবির্ভাব হবে - যার হাতে হযরত মুসা (আঃ)-এর লাঠি এবং হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর আংটি থাকবে। তার দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত লম্বা। ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে সে লাঠির দ্বারা আঘাত করে চেহারায় ‘ঈমানদার’ এবং কাফেরদের চেহারায় আংটির মোহর মেরে ‘কাফের’ শব্দটি লিখে দিবে। (৪) সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে (৫) হযরত ঈসা (আঃ) পূণরায় পৃথিবীতে আগমণ করবেন (৬) ইয়াজুজ-মাজুজের দল বের হবে (৭) পৃথিবীর পূর্ব দিকে একটি ভূমিকমপ হবে (৮) পৃথিবীর পশ্চিম দিকে একটি ভূমিকমপ হবে (৯) আরব উপদ্বীপে আরেকটি ভূমিকমপ হবে এবং (১০) প্রচন্ড ঝড় আসবে যা মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। -(মুসলিম শরীফ) * নফল ইবাদতের মধ্যে কোরআন তেলাওয়াত সর্বোত্তম।

-(আল হাদীস) * যারা মানুষের প্রতি অভিসমপাত করে তারা শহীদদের অনতর্ভূক্ত হবে না। (আল হাদিস) * তোমাদের কেউ যখন নামাযে ইমামতি করে, সে যেন কেরাত সংক্ষিপ্ত করে, কেননা জামাতের মধ্যে অসুস্থ , বৃদ্ধ এবং কর্মব্যস্ত লোকগণ থাকে। (আল হাদিস) * (হে আয়শা !) সর্বদা বেহেশতের দরজায় কড়া নাড়তে থাক। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, তা কিভাবে ইয়া রাসুলুল্লাহ ! তিনি বললেন, ক্ষুধার মাধ্যমে। (আল হাদিস) * যে লোক আছরের ফরজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নাত নামায আদায় করবে, তার জন্যে জান্নাতে একটি মহল নির্মিত হয়ে থাকে।

-(আল হাদীস) * নাময ত কেবল নিরাশ্রয়তা, অসহায়তা ও কাকুতি-মিনতি ছাড়া অন্য কিছুই নয়। মানুষ তার নামাযের ঠিক ততটুকুই পাবে, যতটুকু সে বুঝে। (আল হাদিস) * যে ব্যক্তির সর্বশেষ বাক্য “আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই’’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -(আবু দাউদ) * একজন যুবতী মেয়ে রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর দরবারে এসে উপস্থিত হয়ে নালিশ করল যে, আমার পিতা আমাকে জোরপূর্বক এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে যেই ছেলেকে আমি পছন্দ করি না। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ তুমি ইচেছ করলে এই বিয়ে বহাল রাখতে পারো আবার ভেঙ্গেও দিতে পারো।

-(আবু দাউদ শরীফ) * অনেক রোজাদার আছে এমন রোজার দ্বারা যাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট ছাড়া আর কোন লাভ হয় না। (আল হাদিস) * জামাতে নামায পড়া একাকী নামাযের তুলনায় সাতাইশ গুণ বেশী সওয়াবের। -(আল হাদিস) * যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর আয়াতুল করসী পাঠ করবে, তার এবং জান্নাতের মধ্যে একমাত্র পর্দা হলো মৃত্যু। -(আল হাদীস) * যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্জ করল, হজ্জ পালনকালীন সময়ে কামাচার ও পাপাচার থেকে বিরত থাকল, সে নবজাত শিশুর ন্যায় নিষপাপ হয়ে ফিরবে। -(আল হাদীস) * হে মুসলমানগণ ! জুমু’আর দিনকে আল্লাহ্‌ পাক তোমাদের জন্য ঈদের দিন ধার্য করেছেন।

অতএব এদিন তোমরা গোশল করবে, অবশ্যই মেসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। -(আল হাদিস) * অহঙ্কারী, স্বৈরাচারীদের কেয়ামতের দিন ক্ষুদ্র পিপঁড়ার আকৃতিতে উঠানো হবে এবং লোকেরা তাদেরকে পায়ের তলায় পিষ্ট করবে। চারিদিক থেকে তাদের ওপর কেবল অপমান আর লাঞ্ছনাই আসতে থাকবে। -তিরমিজী * হে ওমর ! তোমার তখনকার অবস্থা সম্পর্কে তুমি কি মনে কর, যখন তুমি মৃত্যুবরণ করবে এবং তোমার আত্মীয়-স্বজন তোমার জন্য চার হাত লম্বা ও আড়াই হাত প্রস' কবর খনন করে তোমাকে গোসল করিয়ে কাফন পরিয়ে সেই কবরের মধ্যে রেখে তোমার উপর মাটিচাপা দিয়ে প্রত্যেকে যার যার বাড়ি ফিরে আসবে এবং তৎক্ষণাৎ তোমার কবরে মুনকার-নকীর নামক ভয়ঙ্কর চেহারার দুই ফেরেশতা এসে হাজির হবে। তাদের আওয়াজ হবে সহস্র বজ্রসম ভয়ঙ্কর, চক্ষুদ্বয় বিজলীর ন্যায় ভয়ানক উজ্জ্বল।

তাদের ঘনকৃষ্ণ ও রুক্ষ কেশরাশি হবে মৃত্তিকা পযর্ন্ত বিক্ষিপ্ত, লম্বা লম্বা সুতীক্ষ্ম দনতপাটির দ্বারা কবরের মাটি লন্ডভন্ড করতে করতে এসে তোমাকে হাতের ওপর নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকবে। হযরত ওমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) ! আমার বুদ্ধিশুদ্ধি কি তখন ঠিক থাকবে ? তিনি বললেন ঃ হ্যাঁ, তোমার বুদ্ধি ঠিক থাকবে। হযরত ওমর (রাঃ) বললেন ঃ তাহলে আমার ভয়ের কিছূ নাই। আমি তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দিব। (আল হাদিস) * তোমাদের কারও পক্ষেই আল্লাহর সম্পর্কে সুধারণা পোষণ ব্যতিত মৃত্যুবরণ করা উচিত নয়।

(আল্লাহ বলেন) আমি আমার বান্দার সাথে তেমন ব্যবহার করি আমার সম্পর্কে সে যেমন ধারণা রাখে। (আল হাদিস) * ঈমানদার ব্যক্তির মৃত্যুর পর জমীন চল্লিশ দিন পযর্ন্ত ক্রন্দন করে থাকে। -(আল হাদীস) * তোমাদের মধ্যে কেউ হজ্জ করতে বাধাগ্রস' হলে সে কাবা শরীফের তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া সাঈ করবে। অতঃপর সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে পরের বছর হজ্জ করবে। সে কোরবানী করবে কিংবা কোরবানীর পশু না পেলে রোজা রাখবে।

-(আল হাদীস) * জুমু’আর নামাযের জন্য পায়ে হেটে গেলে প্রতি পদক্ষেপে এক বছর নফল রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। -(তিরমিযী শরীফ) * যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকে, সে তার ধর্মকে রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়, পরিণামে সে হারাম কাজে জড়িয়ে পড়ে। (আল হাদিস) * কোন ব্যক্তি কেবলমাত্র তার পূণ্যের জোরে বেহেশতে যেতে পারবে না যদি না আল্লাহর অনুগ্রহ হয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.