আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীলংকায় নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হল

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।

শ্রীলংকায় নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হল। আজ ২২ এপ্রিল ২০১০ সকালে শুরু হয় উদ্বোধনী অধিবেশন। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউপিএফএ) বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে।

গতকালই বনমন্ত্রী ডিএম জয়া রত্নেকে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের খুবই ঘনিষ্ঠজন। গতকালই তিনি শপথ নেন। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে গতকাল বুধবার দেখা গেছে, রাজাপক্ষের ইউপিএফএ ২২৫ আসনের মধ্যে ১৪৪টিতে জয়ী হয়েছে। কিন্তু দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৫০টি আসন।

প্রধান বিরোধী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ৬০টি আসন। তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে ১৪টি আসন। সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল শরথ ফনসেকার ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে সাতটি আসন। প্রায় ৩০ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসানের পর ৮ই এপ্রিল দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত এদিকে সংবিধান সংশোধনের জন্য সরকারের দরকার ছিল দুই-তৃতীয়াংশ আসন। বর্তমান সংবিধানে একজন ব্যক্তি দ্বিতীয় মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।

আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাজাপাকসের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে ২০১৬ সালে। তিনি আরো এক মেয়াদ নির্বাচিত হতে চান। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, সংবিধান পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় সমর্থন আদায়ে রাজাপক্ষে অন্য দলের সদস্যদের জোটে নিয়ে আসবেন। এদিকে আজ ২২ এপ্রিল সকালে নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্টের বড় ভাই চামাল রাজাপাকসা।

এখানকার নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো নয়। কোন হৈ চৈ নেই। টাকাপয়সার ছড়াছড়ি নেই। নেই কোন মিছিল। ছোট ছোট সমাবেশ হয়।

তাতে গান বাজনার ব্যবস্থা থাকে । সবাাি যার যার মতো ভোট দেয়। কোন হাঙ্কি-পাঙ্কি নেই। ২৬ জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল শরথ ফনসেকা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার জন্য এটা দরকার ছিল।

কারণ সরকার তাকে বন্দী করে ক্যামেরা ট্রায়াল করছে। ধারণা করা হচ্ছে তার ৫ বছর মেয়াদে জেল হতে পারে। শ্রীলংকায় আসার পর তিনটি নির্বাচন দেখলাম। এই বছর পরপর দু'টি (দু'টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর ১টি পার্লামেন্ট নির্বাচন) নির্বাচন দেখলাম। তাতে আমার মনে হল, জনগণ শিক্ষিত না হলে আসলে গণতন্ত্র হয় না।

কবে যে বাংলাদেশের জনগণ শিক্ষিত হবে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।