আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দলবদল যখন লটারি

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম থেকে হঠাৎ করেই রূপসী বাংলা হোটেলের মার্বেল রুমে চলে এল ‘প্লেয়ার বাই চয়েস’। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া লাউঞ্জ এমন বড় আয়োজনের জন্য হয়ে যেত অপরিসর। আলো ঝলমলে পাঁচতারকা হোটেল সে সমস্যা তো দূর করলই, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের খেলোয়াড়-লটারিতেও যোগ করল বাড়তি ঔজ্জ্বল্য। আর এমন একটা অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়া কী করে শুরু হয়! উদ্বোধনী বক্তৃতা দিয়ে সে আনুষ্ঠানিকতা সারতে হাজির ছিলেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
আইপিএল-বিপিএলের সৌজন্যে পরিচিতি পাওয়া খেলোয়াড় নিলামের আমেজ ভালোভাবে মিশে থাকল ভাগ্যের খেলা লটারিতেও।

মঞ্চে ছিলেন লটারির কমিশনার মাহবুবুল আনাম, পাশে সিসিডিএম কর্মকর্তারা। আর সামনে আলাদা টেবিলে প্রিমিয়ার লিগের ১২ ক্লাবের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি। সংবাদমাধ্যমের সামনে শুধু ‘এ+’ শ্রেণীর লটারিই হলো। বাকিটা হলো রুদ্ধদ্বার কক্ষে। তাই বলে মার্বেল রুমের বাইরে ভিড়টা কম বড় ছিল না।

কৌতূহলী চোখ উঁকিঝুঁকি দিয়েছে দরজার ভারী কাচ ভেদ করে। যদিও লটারি নিয়ে সাংবাদিকদের এই কৌতূহল শেষ হতে বেশি সময় লাগেনি।
কৌতূহল ‘এ+’ লটারি নিয়েই বেশি ছিল। সেটা শেষ হওয়ার পর জাতীয় দলের কোন খেলোয়াড়কে কোন ক্লাব নিচ্ছে, তা নিয়েও থাকল আলোচনা। কিন্তু ‘এ’ থেকে ‘ডি’ শ্রেণীর লটারি যতই এগিয়েছে, থেমে গেছে সেটাও।

এই চার শ্রেণীর লটারির ৬-৭ রাউন্ড যাওয়ার পর মার্বেল রুমের বাইরের ভিড় অনেকটাই ফাঁকা। ‘ই’ শ্রেণীর লটারির সময় তো রূপসী বাংলা হোটেল রীতিমতো ভাঙা হাট।
১৮৯ জন ক্রিকেটারের লটারির শেষটা অবশ্য এ রকমই হওয়ার কথা। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাই থাকবেন স্বাভাবিক। তবে ক্লাবগুলোর অঙ্ক ভিন্ন।

সবাই যে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পেছনেই ছুটেছে, তা নয়। ঢাকার ক্রিকেটের অন্যতম বড় ক্লাব আবাহনীতে যেমন জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটার বলতে শাহরিয়ার নাফীস আর নাজিমউদ্দিন। ক্লাব কর্মকর্তা ইসমাইল হায়দার মল্লিক ব্যাখ্যা দিলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন না। আমরা তাই তারুণ্যনির্ভর দল গড়তে চেষ্টা করেছি। ’
বিস্ময়করভাবে ‘এ+’ শ্রেণীতে সবার শেষে দল ঠিক হয়েছে সাকিব আল হাসানের।

মাঝে আবাহনী সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিয়েছে সাকিবকে টানার অধিকার। সবার আগে সুযোগটা পেয়েও সাকিবকে না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের, ‘অবশ্যই সাকিব ভালো খেলোয়াড়। তবে সব ক্লাবেরই তো আলাদা পছন্দ থাকে। আমাদের পছন্দ মুশফিক। গতবার খুব ভালো সার্ভিস দিয়েছে ও।


খেলোয়াড় লটারির পর এখন লিগ শুরুর পালা। কয়েকটা দিন অনুশীলন করা আর বিদেশি খেলোয়াড় আনার সুযোগ দেওয়ার জন্য লিগ আরেক দফা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি আছে ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে। নতুন তারিখ এখনো ঠিক না হলেও সিসিডিএম চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস নতুন করে জানান, ‘৭-৮ তারিখের মধ্যেই লিগ শুরু হয়ে যাবে। ১০ তারিখের পর তো যাবেই না। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।