আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের সাথে সৌর কার্যক্রমের সম্পর্ক: বিশ্ব জলবায়ু নিয়া একখান ফেদলা পোস্ট!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

অনেকগুলান জার্নাল জমছে, তার মধ্যে এইখান একটু মনে ধরলো। আসলে এইবার ইউরোপ আমেরিকা স হ উত্তর গোলার্ধের কাছাকাছি অনেক দেশেই প্রচন্ড তুষারপাত ঘটেছে যদিও চারিদিকে বৈশ্বিক উষ্ঞতা কথাটা বাজার পাইছে। তবে এই জার্নালের মূল প্রতিপাদ্য হইলো দুর্বল সৌর কার্যক্রম হওয়া সত্বেও ততটা শীত ইউকে তে কেন পড়ে নাই? রিডিং ইউনির প্রফ মাইক রডউডের মতে ইউকে তে এবারের শীতকাল গত ১৬০ বছরের রেকর্ডে ১৪ তম হইছে যদিও বৈশ্বীক তাপমাত্রার গড়পড়তায় এটা ৫ম। এর মূল কারন সূর্য্যের উপস্হিতি অথবা সৌর কার্যক্রম।

সৌর কার্যক্রমের সংজ্ঞাটাকে বলতে বলা যায় আসলে সূর্য্যের ম্যাগনেটিক ফ্লাক্সের সাথে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফ্লাক্সের বাৎসরিক কো-রিলেশন। আরও স হজ ভাবে সূর্য্যের রেডিয়েশন, তার অভ্যন্তরীন সৌর ঝড় ইত্যাদির প্রভাব। একে মাপার জন্য বেশ A এবং K ইনডেক্স আছে। এই জার্নালে তারা মূলত দেখাতে চেয়েছেন সূর্য্যের এই রেডিয়েশন এবং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্সের তারতম্যের কারনে মূলত এসময়টা সৌর কার্মক্রম বেশ অল্প থাকায় মূলত উত্তরের এরকম উষ্ঞতর শীতকালের আবির্ভাব ঘটেছে। যদিও তারা তাদের বিশাল ডাটাবেজ (মনে হয় ১০-১২ বছরের একখান ডাটাবেজ ডেভেলপ করছে) এর উপর আরও স্টেটিসটিক্যাল কাজ করেই এর কারন জানার চেস্টা করতাছে রিসার্চাররা যেটা লক্ষ্য করছে সেইটা হইলো উত্তর গোলার্ধের এই শীতের সাথে 'ব্লকিং' বেশ খানি সম্পর্কযুক্ত।

ব্লকিং হলো একটা জেট স্ট্রিম যেটা পশ্চিম থেকে আটলান্টিকের উপর দিয়ে বাতাস নিয়ে আসে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে ই্উরোপে পৌছোবার পূর্বেই এটা রাস্তা হারিয়ে ফেলে কয়েক সপ্তাহের জন্য কোনো এক এ্যান্টি সাইক্লোনের কারনে। দূর্বল সৌর কার্যক্রমের সাথে এই ঘটনার যোগসূত্র থাকা উচিত যেহেতু তাপমাত্রা সূর্যের আলোর উপস্হিতির উপর নির্ভরশীল তাই বাতাসের প্রবাহের প্যাটার্নেও পরিবর্তন আসে। ফলে অপেক্ষকৃত উষ্ঞ পশ্চিমা বাতাস আসতে ব্যার্থ হয়। ইউকে তে এবার একটু গরম আছিলো মানে একটু কম ঠান্ডা পড়ছিলো।

এই গবেষনাটা রিডিং ইউনির মেটেওরোলজি ডিপার্টম্যান্ট আর জার্মানীর ম্যাক্স প্লান্ক ইনস্টিউটে চালানো হচ্ছে। জার্মানীর ক্যাটেনবার্গ-লিন্ডো (উচ্চারন ঠিক নাই মনে হয় আমার) নামক জায়গায় অবস্হিত। নেট ঘাটলেই পাওন যাইবো জায়গাটা। মাইক রডউডের মতে আসলে ভবিষ্যতে শীতলতম শীতকাল তেমন একটা দেখা যাবে না। ১৬৮৪ সালের শীতকালে সবচেয়ে বেশী শীত পড়ছিলো যদি দুর্বল সৌর কার্যক্রমের রেকর্ড ঘাটা যায়।

যদিও গতবছর উষ্ঞতম শীতকাল পাওয়া গেছে দুর্বল সৌর কার্যক্রম থাকা সত্বেও! যাই হোউক, ঘটনা আসলে অন্যজায়গায়। এই জার্নালের লিংকটা দেবার উদ্দেশ্য হলো শুধু কার্ন ডাই অক্সাইডকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানোটা একটা ভূল ব্যাপার। এই ব্যাপারটা মাথায় আসে যখন এই জার্নালটা হাতে পাই যদিও জার্নালটা ফ্রি না। খটকা টা এখানেই যে তিন মিলিয়ন বছর আগে গ্রিনল্যান্ডে গাছপালা ঘেরা ভরপুর পরিবেশ ছিলো। তাইলে এই বরফ হুট কইরা জমলো কেমনে?তখন কেডায় অতো বড় বড় মিল কারখানা বানাইছিলো।

ধইরা নিলাম তখন কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান খুব বেশি ছিলো বইলা ঐখানে গাছ পালা ঘেরা বন আছিলো (একখান ইনফো দেই যে পরিবেশে কার্বন ডাই আক্সাইডের পরিমান বেশি সেইখানে বন জঙ্গলের গাছপালা মরনের চাইতে দ্রূত বাড়ে। মানে হইলো গাছপালা মারা যাইবো যত দ্রূত তার চেয়ে দ্রূত এইটা পরিবর্ধন হইবো। ) ব্রিস্টল ইউনির ডক্টর ড্যান লুন্টের মতে, গ্রীনল্যান্ডের আশেপাশের সাগরে পাথর আর ভাঙ্গাচূড়া জিনিসের পরিমান বাইড়া তলায় জমা হইছিলো ৩ মিলিয়ন বছর আগে (এভিডেন্স মতে)। এই পাথর গুলান ঐখানে কোনোমতেই জমবার পারতো না যদিনা বরফের চাই জমা শুরু না করে আর সেগুলার বহন কইরা আনে। কিন্তু ঘটনা হইলো তখন বাতাসে কার্ব ডাই অক্সাইডের পরিমান বেশি ছিলো আর গ্রিনহাউসে গাছ আর ঘাসপাতায় ভরা আছিলো।

তাইলে কুশ্চেন হইলো বরফ জমলো কেমনে? ১৬ই জুন ২০০৫ এ সায়েন্স এক্সপ্রেসে একখান আর্টিক্যাল আছিলো মার্ক পাগানির উনি মনে হয় ইয়েল ইউনির ছিলো তখন। সেইখানে পড়ছিলাম ৪৫-৩৪ মিলিয়ন বছর আগে বাতাসে এখনকার চাইতে ৫ গুন বেশী কার্বন ডাই অক্সাইড ছিলো। এই কার্বন ডাইক অক্সাইড পরে খুব দ্রূত কমে স্ট্যাবিলিটিতে যায় এবং ৩৪ থিকা ২৫ মিলিয়ন বছরের মধ্যে এখনকার মতো পরিবেশ ধারন করে। এইটা অবশ্য পুরা দুনিয়ার ব্যাপারেই বাতচিত। ৬৫ থিকা ৩৪ মিলিয়ন বছর আগে পালিওজেন পিরিয়ডে দুই মেরুতে খুব অল্প বরফ ছিলো এখনকার চেয়ে তখনকার তাপমাত্রা অনেক বেশী ছিলো অবশ্য।

ওলিওগোসিন আর ইকোইন যুগের সীমায় হঠাৎ কইরা চারিদিকে ঠান্ডা হওয়া শুরু করলো আর বরফ জমা শুরু করলো মানে একখান আইস এজ। প্রফেসর প্যাগানী এইখানেই টাস্কি খাইয়া যায় কার্বন ডাই অক্সাইডের সাথে এই বরফের কি সম্পর্ক? এই নিয়া মেলা থিওরী আছে তবে কোনোটাই মনঃপুতো না। এই বরফের কনসেন্ট্রেশন বা ঘনত্ব তখন থিকা বাড়ছে আর মানবজাতির প্রিইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগের কিছু সময় আগে কমা শুরু করছে। যদিও এখন এখানে আগের চেয়ে অনেক কম গ্লেসিয়ার তাইলে ঘটনাটা কি? এই ঘটনাটা কি এবং আর কে যে আসল আসামী সেটা নিয়া গবেষনা করছে অনেক কোর লেভেলে তবে উত্তর এখনো তারা পায় নাই। অবশ্য অনেকগুলান কারন যেগুলান নিয়া থিওরী তৈয়ার হইছে তার মধ্যে সাগরের স্রোত, টেকটোনিক প্লেটের লম্ভঝম্ফ অথবা নড়াচড়া, দুনিয়ার ঘুরনে কিছু মাইক্রোলেভেলের ফ্লাকচুয়েশন অথবা সৌর কার্যক্রম ....কিন্তু কোনোটাই মনঃপুত না।

নেচার ম্যাগাজিনে ১১ই জুন ২০০৯ সালে একখান আর্টিক্যাল ছিলো যেইটা মূলত কার্বন ডাই অক্সাইডের সাথে এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর সরাসরি সম্পর্ক নিয়া। ঐখানে লেখছিলো এক টন কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে ছাড়লে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ে 0.00000000000১৫ ডিগ্রি। তারমানে আজকা থিকা ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা না বাড়তে দিলে কার্বনডাই অক্সাইড কমাইতে হইবো কয়েক ট্রিলিয়ন টন....মাগো...। এতো তো মনে হয় রেনেসার যুগ হইতেও ছাড়া হয় নাই! একটা গন্ডগোল তো আছেই। তবে একটা আশংকা ভুল বইলা ধইরা নেয়া যায় সেইটা হইলো মাটির ভিতর সকল ব্লাক কার্বন যদি উপরে উইঠা যায় তাইলে খুব খারাপ অবস্হা হবে।

এই আশাংকা এই জন্য ভুল যে ব্লাক কার্বন মূলত অরগানিক সব ম্যাটেরিয়ালেরই বেসিক মৌল। এটা যখন বাতাসে আসে তখন এটার নিজে নিজে কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিনত হইতে ১০০০ থেকে ২০০০ বছর সময় নেয়। আইজকা এটুকুই, তবে এত সকল রিসার্চ এলিমেন্টস পইড়া মনে হইতেছে কেন জানি শুধু কার্বন ডাই অক্সাইডই এই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না। এইখানে আরও অনেক ব্যাপার আছে যেইটা এই পরিবর্তনে স হায়তা করতাছে। আরও ডিটেলস লিখতে মন চাইছিলো কিন্তু অনেক পড়ালেখা আর বেশ কিছউ জটিল রিসার্চ যেগুলান মূলত পুরা হয় নাই তাই সেগুলার উপর বেজ কইরা লেখাটা আমার কাছে নিরাপদ মনে হইলো না।

তবে একটা ইনফো শেয়ার করতে চাই যে নেক্সট আইস এজ শুরু হইবো আরও ৪০-৫০ হাজার বছর পর। প্রকৃতির নিজস্ব একটা নিয়মই আছে কিভাবে সে পরিবর্তিত হবে হয়তো এটারেই বলে খাপ খাইয়ে নেয়া অথবা অটোমেটিক মেকানিজমে নিজেরে ঠিক রাখা!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।