আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদা ছোঁড়ছোঁড়ির নোংরা খেলায় জড়িয়ে পড়েছি: তবে নেমেছি যখন প্রমান তো করতেই হবে।

দ্যা ব্লগার অলসো.....

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ একটু ধৈর্য্য নিয়ে আসতে হবে ভাইডি। যখন পোস্টটা লেখার কথা চিন্তা করলাম, তখন থেকেই খারাপ লাগতে শুরু করলো। আমি ট্র্যাকচূত হয়েছি। কাদা ছোঁড়াছোঁড়িতে জড়িয়ে পড়েছি। তবে সান্তনা এখানেই যে, যাকে নিয়ে এতোকিছু, সে আসলে মূখোশধারি।

তার মুখোশ খোলা জরুরী। এই নিকটাকে নিয়ে হয়তো সবাই মিলে বাড়াবাড়িই করছি। আমারো মনে হচ্ছে বাড়াবাড়িই। কিন্তু নেমে যখন পড়েছি, তখন বিহিত তো করতেই হয়। কারো বিরক্তি উৎপাদন করে থাকলে, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

সেই সাথে সিস্টেম ইন্জিনিয়ার এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তার সহযোগীতার জন্য। অনেক ব্লগার আমার এহেন কার্যকলাপে অসন্তুষ্ঠ। তারা আমাকে নিরপেক্ষ ব্লগার বলে জানতো। কিন্তু এ ঘটনার পর তারা আমাকে লীগার এর ট্যাগিং লাগিয়ে দিয়েছে। এমনকি আমার উদ্যোগটাকে মিশন লীগারস ব্লগার রিটার্নস উপাধিও দিয়ে দিয়েছেন।

পড়ন্তু আমাকে হিটখোর ব্লগার বললতেও ছাড়েন নি। তবে এ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। ব্লগিং এর শুরু আর মাঝামাঝিতে যখন হিট নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি, তখন শেষ(!!) পর্যায়ে এসে হিটের জন্য চিন্তা করবো কোন দুঃখে। এখানে যোগ করি, আমার উদ্যোগে সমর্থন জানিয়ে, তিনি ছড়াও লিখেছিলেন। আমি সেটা আমার শোকেসে রেখেছিলাম।

কিন্তু যখনি শিওর হলাম তিনি ছাগু, সেটা শোকেস থেকে সরিয়ে দিলাম। এ পোস্টটা তাদের জন্য এবং তাদেরও জন্য যারা লালসালুর ছড়ায় বিভ্রান্ত হন, এবং তার স্মোকস্ক্রীনের আড়ালে আসল চেহারাটা দেখতে পান না। লালসালুকে যখন অবজার্ভ করতে শুরু করি, তখনই তার স্বরুপ আমার কাছে ধরা পরে। আপনারও পারবেন, যদি চেষ্টা করেন। তবে আপনাদের জন্য কাজটা আমি সহজ করে দেবো।

এক ব্লগার এর পোস্টে লালসালু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছিলো, আমাকে যারা চিনে,তাদের জিজ্ঞেস করলেই বোঝা যাবে, আমি কি। উইটনেস হিসেবে যাদের নাম সে প্রস্তাব করেছিলো, তারা হলেন- ব্লগার বৃত্তবন্দী, রাতমজুর, শামসীর এবং অন্যরকম। এই পোস্টের ২১ নং মন্তব্যটি দেখুন। গ্রাউন্ড ফ্লোর এর সেই পোস্টে কতোগুলো স্ক্রীনশট আছে, সেগুলোও দেখতে পারেন। ট্রেডমার্ক ছাগু হলদে ডানাকে সাপোর্ট করে দেওয়া কমেন্টাও দেখুন।

গ্রাউন্ড ফ্লোর তুলে ধরেছেন, তার নিজামী প্রীতির ব্যাপারটা। এটাকে লালূ ডিফেন্ড করেছেন, টুপি আর দাড়ির অজুহাতে। এবার বোঝেন, খাস জামাতি চরিত্র দেখা যায় কিনা, যারা ধর্মকে লেবাস বানিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। প্রথম ৩ জনের বক্তব্য ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছি। সিস্টেম ইন্জিনিয়ার এবং আমি দুজনেই বৃত্তবন্দীর বক্তব্য নেয়ার জন্য তার ব্লগে গিয়েছিলাম।

দেখুন আমার প্রশ্নের জবাবে বৃত্তবন্দী কি বলেছিলো- এরশাদ বাদশা বলেছেন: সিস্টেম ইন্জিনিয়ার এ কৈলো, লালসালু বলে আপনের কাছের লোক। তাই দুইজনে ডিসাইডাইলাম, আপনেরে জিগামু। তেনার কেপিটেস্ট এর ব্যাপারে। আগে ডাউট থাকলেও, ইদানিং তার পারফরমেন্স এ মনে হইতাচে তিনি ছাগু। আপনের কি মত???? বৃত্তবন্দী বলেছেন: লালছাগুর বাসা আমার বাসার কাছে(সেল্লিগা কাছের্লোক কৈতারেন)।

হের্লগে আমার দেখা হৈছে তিন্দিন। একদিন রিনয়ের মা এর জন্য হেল্প পার্পাসে, একদিন ঈদের্দিন রামু আইছিলো হের বাসায়, আমারে ফুন্দিয়া ডাকছিলো। আর হৈতেছে রিনয় যেদিন এক আড্ডায় আইলো সেইদিন। এইবার কেপিটেস্টের ব্যাপারে কৈ। হেয় লোকজনের নজরে আইছে রিনয়ের মা এর জন্য সাহায্য তোলার ব্যাপারে খাটাখাটনি কৈরা।

বাট এর আগে তার কমেন্টের ওরিয়েন্টেশন আমরা কয়েকজন মিলে ট্র্যাক করছিলাম তাতে তারে ছাগু বান্ধব বৈলাই মনে হৈতো। রিনয়ের টাইমে তারে বেনিফিট অফ ডাউট দিসিলাম। বাট এখন তারে আমি কড়া ছাগু-বান্ধব হিসেবেই দেখি। কড়া এই সেন্সে যে তার ছাগু হৈয়া যাওনের প্রাববিলিটি প্রচুর। বৃত্তবন্দীর জবানবন্দি রাতমজুর ইদানিং ব্লগে সময় দ্যান না।

তবু সিস্টেম এর অনুরোধে আমার পোস্টে এসে তার ব্ক্তব্য দিয়ে গেলেন। দেখুন তার বক্তব্য------ রাতমজুর বলেছেন: রিনয়ের ঘটনাটার সময়ই পরিচয় এবং ঈদে লালসালুর বাসায় যাওয়া ও বৃত্তবন্দীকে ডাকা, কারন তার বাসা পাশে। সাধারনত: নতুন ব্লগারদের বাস্তব জীবনে আমি সবসময়ই স্বাগতম জানিয়ে থাকি, যোগাযোগ রাখি। কিছুদিন আগে জানা'দির মায়ের জন্যেও যে হারে দৌড়চ্ছিলো ছেলেটা, তাতে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় এটা ছুপা। আগে কিছু খিয়াল করি নাই, কারন ব্লগে ইরেগুলার আমি, তবে পরিচয়ের পর ট্র্যাক করছি বেশ, সন্দেহ নাই কেপি পজিটিভ।

গত ১৪ মার্চ রাতে পাতা ফাঁদে (ব্লগারদের মধ্যে কথা লাগিয়ে বেড়ানো কিছু ছুপা ছাগু ধরার ফাঁদ) একমাত্র ধরা খাওয়া মানুষটাও লালসালু। যাইহোক, তাকে প্রথমে জানতাম কড়া বিএনপি এবং এ্যান্টি আওয়ামীলীগ, তবে আসল ওরিয়েন্টেশন ধরতে বেশি দেরি হয়নি, তাই এরকম ধরা খাওয়া ব্লগারের সাথে যা করি তাই চলছে, নো কনট্যাক্ট - টাইম নাই। আমি নিজে কোন দল সাপোর্ট করি না, কারনটা নৈতিক - এখনকার রাজনীতিতে জনমানুষের জন্যে কেউ নেই, সব শালা বেঈমান আছে গরীবের রক্ত শুষতে। তবে জামাত-শিবিরের ব্যাপারে আমি চরমপন্থী - জামাতের এদেশের মাটিতে শ্বাস নেবার অধিকার নেই, আর জেনে শুনেও যুদ্ধাপরাধীদের নেতৃত্ব মেনে নেবার কারনে শিবিরেরও নেই এ দেশে শ্বাস নেবার অধিকার। মত প্রকাশের আর মানবিক অধিকার পাবার যোগ্য কেবল মানুষই - ৭১ এর হায়েনা অথবা ওদের চ্যালা চামুন্ডারা নয়।

৮৭ নং মন্তব্য দেখুন। সিস্টেম আর আমি এবার ধর্না দিলাম শামসীর ভাইয়ের ব্লগে। উনার স্টেটম্যান্ট পড়ার আগে ব্লগাররা একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন। রাতমজুর আর বৃত্তবন্দীর নেগেটিভ কমেন্ট এর পর লালসালু উইটনেস মানলো শামসীর এবং অন্যরকমকে। বললো- তারা নাকি লালুকে ক্লাস থ্রি থেকে চেনে।

কিন্তু মজার ব্যাপার, তাদের মধ্যে শামসীর ভাই বলেই দিলেন, লালুর রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল নন। অথচ লালু নিশ্চিত ছিলো, শামসীর এবং অন্যরকম ঠিকই তার পক্ষে বলবেন। যাইহোক, দেখুন শামসীর ভাইয়ের বক্তব্য- লেখক বলেছেন: এরশাদ বাদশার পোস্টটি আমি দেখেছি, কিন্তু ইচ্ছা করে আমি কিছু বলি নাই । কারন এই সামুতেই আমি চিনি এমন অনেকেই আছেন যারা একাধিক নিক থেকে পোস্ট করেন & তাদের একটা নিক হচ্ছে চরম আওয়ামীলীগার আবার অন্যটা চরম ছাগু .................একটা পর্যায়ে গিয়ে তাই এই ব্যাপরগুলো আমার কাছে মনে হইছে বিনোদন ছাড়া আর কিছু না । ।

ক্যাচাল লাগাইয়া অনেকে মজা পায় , এখানে মানে ব্লগেও তাই করে মজা নেয়ার চেস্টা করছে- এই যা। তারপর থেকে আমার উপলোব্ধী হচ্ছে ব্লগ আর ব্যক্তি মানুষ দুজনই এক না কখনো বিশেষ করে যারা মাল্টি নিক ইউজার। আমি সবাইকে এই কাতারে ফেলছিনা-তবে অনেকেই ব্লগটাকে স্রেফ মজা & ক্যাচালের জায়গা হিসাবে দেখে তাদের কথা বলছি। ব্যাপারটাই বেশ মজা পাচ্ছি আমি। লালসালু ২-০ ভোটে পিছিয়ে আছে।

আমার আর অন্যরকম এর ভোট বাকি। আমাদের ভোট যদি লালুর পক্ষে যায় তো যারা তাকে ছাগু ভাবে তাদের ডিসিশানে কি কোন চেন্জ আসবে ??? আমি মনে করি আসবেনা। ব্লগে আমরা সবাই নিজের ধ্যান ধারনার পূজারী, অন্যেরটা মেনে নিতে এখানে কেউ আসেনা । আজকেও কয়েকজন ব্লগার সহ আড্ডা দিচ্ছিলাম, সে আলোচনায় ও উঠে আসল এই কথাটাই, যে দিন শেষে আমরা নিজের ধ্যান ধারনাকে আরও পাকাপোক্ত করার দিকেই ফিরে যায় অন্যেরটার নিকুচি করে। লালুকে আমি ছোট বেলা থেকেই চিনি, একই স্কুলে একই কলেজে পড়েছি , বাট তার রাজনৈতিক কোন আলোচনা কখনো আমার সাথে হয় নাই, তাকে কখনো রাজনৈতিক কোন ব্যানারে দেখেছি বলেও মনে পড়েনা ।

ব্যক্তি লালুর মাথায় কি আছে সেটা কখনো জানতে চাইনি কারন সে আমার জুনিয়র আর কোন রাজনৈতিক আলোচনাও সে আমার সাথে করেনি । ছাগুদের পক্ষ নিয়ে সে আমার সাথে কখনো কোন কথা বলেনি বা কোথাও (বাস্তব জগতে) বলেছে কিনা আমার জানা নেই । ইমন আপুর সাথে তার ক্যাচাল ও দেখছি। হিট পাগল হয়ে সে সেটা করেছে বলে আমার ধারনা । ঐ পোস্টে একটার পর একটা লাক্স কন্যাদের ছবি দিয়ে সবাই যখন তাকে মাথায় তুলে নাচছিল তখন জ্ঞান হারানোয় তার সে কান্ড , যাক বোধ ফিরে এসেছিল পরে এই জা।

আর সে পুচকে ........ যে আজকের লালু এইটা সে না বললে হয়ত আমি বুঝতাম ইনা। যায় হউক আমিও মনে হয় বেশী কথা বলে ফেলছি হয়ত এক কথায় হ্যাঁ না বলতে পারলে সবার সুবিধা হত, কিন্তু ওর সাথে আমার যে ইন্টার এ্যাকশান তাতে কোন ডিসিশান দেয়ার অবস্হায় আমি নাই। কারন গত ১০ বছরে তার সাথে আমার ১০ বারও দেখা হয় নাই & কোন ছাগু বিষয়ক আলোচনাত নয়ই , আর শিবিরকেত কলেজ লাইফ থেকে আমি ভাল করেই চিনি সো ঐ সাহস ও পরিচিত কেউ করবে বলে মনে হয়না !!!! এরশাদ বাদশার প্রতি বলব ব্লগ ছেড়ে দেয়া ঠিক কোন বিষয়টার সমাধান দিবে বলবেন। ছাগুদের সাথে থাকবেননা এই কারনে !!! বাংলাদেশেত এখনও প্রচুর ছাগু রয়েছে, তাই বলে কি আমরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাব ?? বরং তাই করা উচিত নিজের জায়গা থেকে, যাতে তাদের স্বরূপ উম্মোচন হয় সেটা যেখানেই হউক । এখানে যান, সিস্টেম ইন্জিনিয়ার এর ৪৯ নং কমেন্টটাও দেখুন।

অন্যরকম এর ব্লগে গিয়ে তাকে পাওয়া গেলোনা। যদি ধরে নিই তিনি লালু তার দৃষ্টিতে নির্দোষ(স্রেফ ধরে নেওয়া) তাহলেও ২-১ এ সে হেরে যাচ্ছে এতো গেলো স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য। এবার দেখুন লালু সাবের নিজের জবানবন্দি। লোমান ভাইয়ের পোস্টে তার মন্তব্য। ৪১ নং মন্তব্য দেখুন।

এ মন্তব্যটি ভালো করে খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, লালসালু আসলে কতো বড়ো ছাগু। শিবিরের কাজের পদ্ধতি নিয়েও তার জানাশোনা আছে। সিস্টেম ইন্জিনিয়ার এ টপিকে আমার চে বেশি খাটাখাটনি করছেন। তার একটি পোস্টে লালসালুর ল্যান্জা কি করে বের হয়ে গেলো, তা দেখে আসুন কষ্ট করে। ওখানে কমেন্টের স্ক্রীনশটও নেয়া আছে।

১০২ নং কমেন্টে সিস্টেম সবগুলা মন্তব্যকে সামোরাইজ করেছে। ব্লগারগনের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে ওই ১০২ নং মন্তব্যটা ভালো করে পড়ুন। সিস্টেম এর পোস্টে লালুর পোস্টমর্টেম। সম্প্রতি রাজীব খান০০৭ শিবিরকে বাঁশ দিয়ে একটি পোস্ট দ্যান। জনাব লালছাগু ব্যাপক মনোকষ্ট পাইয়া এই কমেন্ট করেন।

রাজীব খানের পোস্ট। লালসালুর চরিত্রে ব্যাপকভাবে মওদুদ আহমেদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। যখন তার শিবির প্রীতি ধরা পড়ে গেলো, তখন ডিগবাজি খেয়ে নিজেকে বিম্পি বলে চালাতে লাগলো। ট্রয়লার্স অফ দ্যা সীর এই পোস্টে তার কমেন্ট দেখুন। এখানে বিম্পিকে শ্যাডো বানিয়ে নিজের শিবির পেয়ার লুকানোর কিরকম হাস্যকর প্রচেষ্টা চালিয়েছে সে, দেখুন।

ক্লিক দিজ লিংক। এই পোস্ট যারা পড়েবেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, কষ্ট করে লিংকগুলোতে যাবেন। নাহলে শুধু স্ক্রীনশট দেখেই বোঝা যাবেনা আসল ঘটনা। গ্রাউন্ড ফ্লোরের পুস্টে তার আসল চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। গ্রাউন্ট ফ্লোরের সেই পোস্টে তার আসল চেহারা বেরিয়ে পড়েছে।

শিবির সিনড্রোম বিষয়ক কবিতাও ব্লগে পোস্ট করেছে সে। দেখুন- আশরাফ মাহমুদের কবিতা। ভাববেন না লালসালু আমাকে ব্লক করেছিলো বলে আমি তার পিছনে লেগেছি। এই পোস্ট পড়ে যদি একজনও তাকে চিনে নিতে পারেন, তাহলেই কষ্ট স্বার্থক। ব্লক করা নিয়েও ওর ভন্ডামীর প্রমান আছে আমার কাছে।

লোমান ভাই আমার পোস্টে এসে বললেন, শুধু ব্লক করেছে বলে আমার পোস্ট দেয়াটা নাকি ঠিক হয়নি। সেই লোমান ভাইয়েরই পোস্টে লালছাগু কি বলেছে দেখুন। - লোমান ভাইয়ের পোস্ট সামুতে নিজের ব্লগ হিট করাবার জন্য সে তার পুস্ট গুলোর লিংক দিয়ে বেড়াতো। তারপর রাগইমনের সাথে তার ক্যচালের কথা তো সবার জানা। ওই ক্যচালটা যে আসলে নিজেকে পরিচিত করানোর জন্যই, সেটার প্রমান হচ্ছে পরে রাগ ইমনের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

তখন ঘোষনা দিয়ে ব্লগ ছেড়ে চলে গিয়ে পরদিনেই আবার ফেরত আসে সে। রাগইমনের কাছে ক্ষমা চায়। ক্ষমা চাওয়া মহত্বের লক্ষন, তবে তার ক্ষমা চাওয়াটা ছিলো শুধুমাত্র আইওয়াশ। আজ দেখলাম জনৈক ব্লগারের পোস্টের সূত্র ধরে একটি পোস্ট দিয়েছে সে। সেখানে তার বিকৃত রুচির উদাহরন দেখুন।

এখানে কি নারীদের ভোগপন্য বানানোর বিরোধিতা করা হয়েছে নাকি বিজ্ঞাপনটা থেকে শুধুমাত্র মজা লূটার চেষ্টা করা হয়েছে? সবশেষ একটা স্ক্রীনশটে দেখুন সে কি বলেছে- ঘোড়েল বা ছুপা যাই বলিনা কেন, লালু তাই। হুটহাট বলে ফেলা তার স্বভাবও। ভন্ডামীও প্রচুর পরিমানে বিদ্যমান। ব্লগ থেকে ঘোষনা দিয়ে চলে যাওয়ার একদিন পর আবার ফেরত আসলো। রাগ ইমনের সাথে খোঁচাখুঁচি করে নিজেকে ব্লগে পরিচিত করিয়ে আবার পরে তার কাছে ক্ষমা চাইলো।

এ সবই একজন আদর্শ ভন্ডের লক্ষন। ওর ভন্ডামীর আরো একটা দিক খুঁজে পেলাম। সে মুখে যা বলে অন্তরে তা লালন করেনা মোটেও। প্লাস মাইনাস নিয়েই তার স্ববিরোধী কথাবার্তা দেখুন। লালুর জবাব দেখেছেন? এবার এটা দেখুন- এটাও দেখুন কি মনে হলো? চিন্তা করে দেখুন কিরকম হিপোক্রেসী!!!!! ব্যাপার না।

ও ব্লগ ছেড়ে চলে যাক, আমি সেটা চাইনা। কিন্তু ভন্ডামী পরিহার করুক, সেটাই চাই। তার সাথে ঝামেলায় জড়ানোর পর সে আমার বিরুদ্ধে স্পেসিফিক কোনো কিছু দাঁড় করাতে না পেরে অহেতুক বেইজলেস কতোগুলো পোস্ট দিচ্ছে। এবং সেখানে অনেক নিউট্রাল ব্লগারকে দেখলাম তাল মেলাচ্ছেন। যুদ্ধ হলে লজিক্যাল ওয়েতে হোক।

আমি গালিবাজি করিনি, কিংবা বেইজলেস কোনোকিছুকে সমর্থনও করিনি। ইনফ্যাক্ট এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি মোটেও ভালো লাগছেনা। এতোকিছুর পরও যারা পোস্টটা তাদের জন্য কোনো কাজে আসবেনা, যারা শিবির এর প্রতি অনুরক্ত তাদের জন্য। তাদের জন্য তো রেটিং এর ব্যবস্থা আছেই। কিন্তু যারা কোনো দল করেন না, সব দলকেই গদাম দেন এবং ব্লগে যুদ্ধপরাধীদের বিরোধিতা করেন, তাদের জন্য হয়তো কাজে আসবে।

ঘাপটি মেরে থাকা ছাগু সনাক্ত করুন। পড়ুন, নিজেই সিদ্ধান্ত নিন। তারপর এই টপিকটি চিরদিনের মতো বর্জন করুন। জানি, তার অন্ধ অনুসারীদের রোষানলে পড়ে মাইনাস খেতে হবে আমাকে। তার নিজের এক দেড় ডজন থেকে যেগুলো আসবে, সেগুলো আগাম গোনায় আছে।

তবে ব্যাপার না। এমনিতেই সামুতে পোস্ট দেইনা। আর সম্ভবত এটাই আমার শেষ পোস্ট। যদি মন চায় তাহলে হয়তো চলে যাওয়াদের নিয়ে আর একটি পোস্ট দিতে পারি, যেটা আমার ড্রাফটে আছে। তবে এটাই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ভালো থাকবেন সবাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।