আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈশ্বরের হাইকোর্ট

writerrazu.com

সুমন হাক ছাড়ে, ঐ খালি, পলাশী। রিক্সাওয়ালা বলে, যাব ১০ টাকা ভাড়া। সুমন জানে এখন থেকে পলাশীর ভাড়া ৫টাকার বেশী হয় না। তবু সে লাফ দিয়ে রিক্সায় ওঠে। পলাশী নেমে সুমন রিক্সাওয়ালকে ৫ টাকার একটি নোট বের করে দেয়।

রিক্সাওয়ালা খেকিয়ে ওঠে; আরও ৫টাকা । সুমন: এখানে ৫ টাকার বেশী হয়না। রিক্সাওয়ালা ঃ আমি কইয়াই লইলাম তো! সুমন ঃ তুই কইলেই হবে নাকি। বেশী কথা কইলে থাপ্পর দেব। যা ভাগ।

রিক্সাওয়ালা আবার ও চেতে ওঠে, “আল্লার কাছে দাবি থাকল। হাশরের ময়দানে বিচার হবে”। সুমন রাস্তা পার হতে হতে বলে: হ হাশরের ময়দানে দিমু, তুই আসিছ। এর পরের দিন: সৃুমন শাহবাগ বাস কাউন্টারে। বনানী যাবে।

বাস ভাড়া ৮টাকা। কাউন্টার ম্যান জানাল বনানীর টিকেট শেষ, উত্তরার টিকিট আছে ১৬ টাকা ভাড়া। সুমন ক্ষেপে গিয়ে বলে, এত তাড়াতাড়ি টিকেট শেস হয় কেমনে? ফাইজলামি পাইছ? কাউন্টার ম্যান ঃ ভাই ঝামেলা কইরেন না তো! নিলে ন্যান নাইলে যান------- সুমন বাধ্য হয়ে ১৬ টাকা দিয়ে টিকেট কেনে। বাসে বসে মনে মনে বলে “হে ঈশ্বর তুমি এই জুলুমের বিচার কইরো”। বাংলামটর পার হওয়ার পর ট্রাফিক সার্জেন্টের নির্দেশ বাস রাস্তার পাশে দাড়ায়।

হেলপার কাগজ পত্র নিয়ে নিচে নামে। কাগজ পত্রের সাথে ১০০ টাকার নোট দেয়। সার্জেন্ট কেস লেখার হুমকি দিয়ে সে আরও একটি নোট দেয়। সার্জেন্ট এবার কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয়। বাসে ফিরে এসে হেলপার গজগজ করে বলে, শালা ২০০ টাকা খাইয়া দিল, আল্লা এর বিচার করব।

পুনশ্চঃ এভাবে দুর্বলরা চিরকালই ঈশ্বরের কাছে বিচার দেয়। আর সেই বিচারের রায় জানতে হলে একটু চোখকান খোলা রাখলেই হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।