আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাঠে নামছে চার দলীয় জোট আমলের সহিংসতা তদন্ত কমিশন



মাঠে নামছে অষ্টম জাতীয় সংসদ (২০০১) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা তদন্ত কমিশন। চার দলীয় (বিএনপি-জামায়াত) জোট আমলের সহিংসতার তদন্ত করা হবে। ্ আগামী ১০ এপ্রিল বরিশাল থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কার্যক্রম শুরু করবেন কমিশন কর্মকর্তারা। এরপর পর্যায়ক্রমে আট দিনে ঝালকাঠি, পটুয়াখালি, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জের নির্বাচনী সহিংসতার স্থল পরিদর্শন করবেন তারা। করবেন স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময়।

নেবেন নির্যাতিতদের সাক্ষ্য। এরপর সরকারের কাছে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে কমিশন। কমিশন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ খবর জানা গেছে। আর বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. মশিউর রহমান কমিশনের মাঠে নামার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কমিশনের মাঠ পরিদর্শন নির্বিঘ্নে করতে স্থানীয় প্রশাসনকে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

তাদের চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে নৌ ও সড়ক পথের যান। বরিশালের জেলা ও পুলিশ প্রশাসন জানায়, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নির্যাতিতদের নাম চেয়ে বরিশাল-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুছ, বরিশাল-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের এমপি পারভীন তালুকদার এবং স্থানীয় জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের চিঠি দেয়া হচ্ছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন স্থান থেকে ইতিমধ্যে তাদের কাছে সহস্রাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সরাসরি লিখিত ও ডাকযোগে প্রাপ্ত এসব অভিযোগে হত্যা, ধর্ষণ, জায়গা দখল, ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ, চাঁদাবাজি, এলাকা ছেড়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে থাকার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। বেশির ভাগই এসেছে বাগেরহাট, ভোলা, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি থেকে।

এ ইস্যুতে বিভিন্ন মানবাধিকার, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন কমিশনকে ননা তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কমিশনের প্রধানের সাথে সাক্ষাত করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তথ্য-উপাত্ত জমা দিয়েছেন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৬ মে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তদন্ত কমিশন গঠনের পক্ষে রায় দেন। একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মনোয়ার হোসের আকন্দ।

সিআইডির এসপি মীর শহিদুল ইসলাম এ কমিশনের সদস্য। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে কমিশন। তখন তদন্ত কমিটি প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.