আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ মাঠে নামছে আজ

আগে অংশগ্রহণ করলেও এবারে এশিয়া কাপ হকিতে মাঠে নামাটা বাংলাদেশের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা বলা যায়। গতকাল মালয়েশিয়াতে আসরের পর্দা উঠেছে। দুই ফেভারিট দল ভারত ও পাকিস্তান সহজ জয়ে শুভ সূচনা করেছে। আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ইপোতে তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে লড়বে দক্ষিণ কোরিয়া।

এক সময়ে দুই দলের শক্তির পার্থক্য প্রায় সমান হলেও এখন দক্ষিণ কোরিয়া ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। বাংলাদেশতো দূরের কথা এক সময়ে হকির পরাশক্তি বলে খ্যাত ভারত ও পাকিস্তান এখন তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। সে কারণে উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ কুলিয়ে উঠতে পারবে না। বলা যায় দক্ষিণ কোরিয়ার যে শক্তি তাতে চয়ন ও জিমিরা বড় ব্যবধানে হারলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ যদি জিতে বা ড্র করে তাহলে হকির জন্য হবে বিশাল প্রাপ্তি।

একই গ্রুপে ভারতও রয়েছে, তাই এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল খেলাটা বাংলাদেশের কাছে স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে কি, ভারত যে এবার ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে তার বড় প্রমাণ গতকাল পাওয়া গেছে ওমানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে।

ভারত সহজ জয়ে শুভ সূচনা করেছে। তাই একই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াও বিশাল ব্যবধানে জিততে চাইবে। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের নিশ্চয় লক্ষ্য থাকবে যত কম ব্যবধানে হারা যায়।

যাক হারজিত যাই হোক না কেন বাংলাদেশ যে এশিয়া কাপ খেলছে এটাই অনেকের কাছে অবাক লাগতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে কেন, কারণ এবার দলবদল ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এশিয়া কাপে খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথম অবস্থায় দলবদল শুরু করার দাবিতে খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দেননি। শুধু তাই নয় বেশ ক'জন খেলোয়াড় হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ফেডারেশনে রহমত উল্লাহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় তারা হকির কোনো কর্মসূচিতেই অংশ নেবেন না। এমন আপত্তিকর প্রতিক্রিয়ায় ক্রীড়াঙ্গন হতবাক হয়ে যায়।

জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলনে যোগ না দেওয়াতে কেউ কেউ ধারণা করেছিলেন বিকল্প হিসেবে ফেডারেশন বিকেএসপি ও সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়দের ক্যাম্প ডেকে এশিয়া কাপে নিয়ে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি, ফেডারেশন সভাপতি এয়ার মার্শাল ইনামুল বারীর অনুরোধে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দেন। প্রথম অবস্থায় মাহবুব হারুন প্রশিক্ষণ করালেও পরে পাকিস্তানের কোচ নাভিদ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রস্তুতি যখন শেষ মুহূর্তে তখন আবার নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়। খেলোয়াড়রা ঠিক থাকলেও জিমিকে মোবাইলে হুমকির ইস্যু নিয়ে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির দুই নেতা বাপ্পি ও প্রিন্স অনুশীলনে বাধা দেন।

এই অবস্থায় পাকিস্তানের কোচ আপত্তি জানালে তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা চালানো হয়। এই অবস্থায় পরিবেশ এতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠে যে কোচ নাভিদ থাকবেন কিনা তাতে সংশয় দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত ফেডারশন দোষীদের বড় ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করলে উত্তাপ নিরুত্তাপে পরিণত হয়। কোচ যদি চলে যেতেন তাহলে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন তখন ফেডারেশনকে শোকজ দিয়ে শাস্তিও দিতে পারত। এই শাস্তিতে বাংলাদেশের এশিয়া কাপে খেলাটা বন্ধও হয়ে যেতে পারত।

এমন প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ এবার এশিয়া কাপ খেলছে। ওয়ার্ল্ড হকি লিগে ভালো করাতে অনেকেই আশা করেছিলেন এশিয়া কাপে অতীতের যে কোনো সময় চেয়ে বাংলাদেশ ভালো করবে। কিন্তু প্রতিকূল অবস্থা দেখে সে আশা টুর্নামেন্টের আগেই নিরাশয় পরিণত হয়েছে। তবে কোচ ঢাকা ছাড়ার আগে ভালো খেলার আশ্বাস দিয়ে গেছেন। টার্গেট হিসেবে তিনি পাঁচে থাকার কথা বলেছেন।

যে অভিজ্ঞতা নিয়ে জিমিরা খেলতে গেছেন পাঁচে যদি থাকতে পারে তাও খারাপ নয়। দেখা যাক শুরুটা শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে কেমন করে বাংলাদেশ।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.