আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ফুলবাড়ীর সংগ্রাম সফল হবে রামপালেও’

সোমবার ‘ফুলবাড়ী দিবস’ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, “ফুলবাড়ীর জাতীয় সংগ্রাম সফল হয়েছে। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবনকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র তাও আমরা নস্যাৎ করব। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। ”
ফুলবাড়ী কয়লা খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেকের হয়তো সংশয় আছে যে আমরা কয়লা উত্তোলনের বিরোধী। তাদের বলতে চাই, আমরা বিরোধী নই।

আমরা জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পক্ষে। ”
তার ভাষায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কয়লা উত্তোলন দুভাবে করা যায়- জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে অথবা ক্ষুণ্ন করে।
“উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করলে বিশাল এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এটা আমরা হতে দিতে পারি না। ”
২০০৬ সালের ২৬ অগাস্ট দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল এবং এশিয়া এনার্জিকে প্রত্যাহারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমাবেশে গুলিতে তিনজন নিহত হন, আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।


এরপর ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর, বিরামুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে সরকার দাবি মেনে নিয়ে ‘ফুলবাড়ী চুক্তি’ করতে বাধ্য হয়।
সেই থেকে প্রতি বছর ২৬ অগাস্ট ফুলবাড়ী দিবস পালন করে আসছে আন্দোলনকারীরা।
সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অনুষ্ঠানে জাতীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ম. ইমামুল হক অভিযোগ করেন, বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে সম্পূর্ণ ভারতের স্বার্থে।
“এটি ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রকল্প হলেও ক্ষতি ও বিপর্যয়ের ভাগ শুধু বাংলাদেশের।

কারণ প্রকল্পটি করা হচ্ছে বাংলাদেশ এলাকার সুন্দরবনের পাশে। ”
এতে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের বিপুল সংখ্যক ক্ষতি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুন্দরবন থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য গত বছরের ২৯ জানুয়ারি চুক্তি করে ভারত ও বাংলাদেশ। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও পেয়েছে।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের ওপর এ প্রকল্পের ক্ষতিকর প্রভাবের আশঙ্কায় শুরু থেকেই এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছেন পরিবেশবিদরা।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আকাশ বলেন, রামপাল প্রকল্প বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে। আর জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা সবার জাতীয় কর্তব্য।
রামপালের প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ২৪-২৮ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ সফল করারও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বামমোর্চা, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুলবাড়ী দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।