আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসুন্ধরা আবাসন মেলায় একটি সন্ধ্যা

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

পত্রিকায় বসুন্ধরা আবাসিক মেলার বিজ্ঞাপন দেখে খুব আগ্রহী হয়েছিলাম, কয়েকদিন যাব যাব করেও যাওয়া হয়নি। অবশেষে একদিন সময় করে অফিস শেষ করে রওনা হলাম বসুন্ধরা সিটির দিকে। বিশাল যানজট পেরিয়ে একসময় পৌছেও গেলাম। পত্রিকায় বসুন্ধরার বিভিন্ন আবাসিক প্রজেক্টের মধ্যে মানিকগন্জের প্রজেক্টটির উপর আমার একটু বেশী আগ্রহ ছিল। মেলায় যেয়ে দেখি যে অল্প কিছু জায়গা নিয়ে কয়েকটি মাত্র স্টল।

সবটুকু খুজেও মানিকগন্জ প্রজেক্ট নিয়ে কোন স্টল দেখলাম না। অতপর একটি স্টলে জিজ্ঞেস করতে রিভারভিউ প্রজেক্টের স্টলটি দেখিয়ে বলল ওখানে কথা বলতে। ওখানে কথা বলে যা জানলাম সেটি নিচে দিলাম আমিঃ আপনাদের মানিকগন্জ প্রজেক্টের কোন ব্রোসিউর পাওয়া যাবে? স্টলের কর্মকর্তাঃ আসলে আমাদের মানিকগন্জ প্রজেক্টের কোন ব্রসিউর এখনো তৈরী করা হয়নি তবে একটি প্রাইজ লিস্ট আছে, আপনি এটি দেখতে পারেন। আমিঃ প্রোজেক্ট টি আসলে কোথায় হচ্ছে, কবে নাগাদ শেষ হবে কোন ধারনা দিতে পারেন? স্টলের কর্মকর্তাঃ আসলে এ সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না আমাদের কাছে শুধু মাত্র প্রাইজ লিস্ট টা আছে, আপনি চাইলে বুকিং দিতে পারেন। আমিঃ (এ পর্যায়ে আমি একটু আশ্চর্য হলাম, একবার ভাবলাম আমার সাথে ফান করছে নাকি? বললাম) সরি, আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, আপনি বলছেন যে, জায়গাটি কোথায় আমি জানতে পারব না, করে হস্তান্তর হবে জানতে পারব না, ঢাকা থেকে কত দুরে জানতে পারব না, শুধু মাত্র বুকিং দিতে বা কিনতে পারব।

আমাকে শুধুমাত্র প্রাইজলিস্ট দেখে প্লট কিনতে হবে? স্টলের কর্মকর্তাঃ (যদিও আমি হাসিমুখেই বলেছি তারপরও সে একটু থতমত খেয়ে গেল, বলল) আমি যতটুকু জানি ঢাকা থেকে আরিচা যাবে পথে তাল্লু (বা তল্লা) ব্রীজ আছে, সেই ব্রীজ থেকে ৩ কিলোমিটার যাবার পর আমাদের প্রজেক্ট। আমিঃ ব্রিজ থেকে ৩ কিলোমিটার যাবার পর হাইওয়ের বামা নাকি ডান দিকে? স্টলের কর্মকর্তাঃ সেটি ঠিক জানি না। আমিঃ সেখান থেকে ঢাকার দুরত্ব কত কিলোমিটার? স্টলের কর্মকর্তাঃ সরি, ঠিক বলতে পারছি না। আমিঃ সেখান থেকে আরিচা বা মানিকগন্জ শহরের দুরত্ব কত জানেন। স্টলের কর্মকর্তাঃ সরি, আসলে এ সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না।

বুঝুন অবস্থা, তাহলে কি করতে এরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে মেলার আয়োজন করেছে? আর কেনই বা আমরা (বোধাই পাবলিক) লাইন দিয়ে সেখানে যাচ্ছি? (মনে মনে এসব ভাবতে লাগলাম) অতঃপর ভাবলাম এসেই যখন পরেছি তাদের গাজীপুর মৌচাক প্রজেক্টের খবরটিও একটু নিয়ে যাই। এবার আর আগের মত হতাশ হতে হলো না, কারন মৌচাক প্রজেক্টের একটি স্টল আছে। সোজা সেখানে চলে গেলাম। তাদের ব্রোসিউরও আছে, একটি হাতে নিয়ে স্টলের কর্মকর্তাকে এ সম্পর্ক প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন যে মৌচাক প্রজেক্টে সব প্নট বিক্রি হয়ে গেছে। আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম আমিঃ এর মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে আপনাদের মৌচাক প্রজেক্ট-এ কোন প্লট নেই, সব বিক্রি হয়ে গেছে।

স্টলের কর্মকর্তাঃ (হাসিমুখে) জী স্যার। বুঝলাম এটি ওদের একটি মার্কেটিং পলিসি, কারন মৌচাক প্রজেক্ট টি শুরুই হয়েছে প্রায় ৩ মাস আগে। এর মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আমি কনফার্ম যে ওরা আরও ২ বছর মৌচাক প্রজেক্টের বিজ্ঞাপন দিবে ও সেখানে প্লট বেচবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।