আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৈনিক সমকাল এর রিপোর্টে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা



এই তালিকা টা দেখুন । আরও কি নাম যুক্ত হবে ? কেউ জানে না । আমার কাছে খুবই জগাখিচুড়ি মনে হচ্ছে । ................................................................................ 'যুদ্ধাপরাধী'দের ছবিসহ তালিকা যাচ্ছে বিমান ও স্থলবন্দরে তালিকায় সাবেক আ'লীগ নেতা! পিনাকি দাসগুপ্ত ======================================== সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের আরও একটি তালিকা পাওয়া গেছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত এ তালিকায় ৪৬ জনের নাম-ঠিকানা রয়েছে।

তালিকায় সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতার নামও আছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৮ জন। জীবিত ৩৮ জন। এর মধ্যে ১৭ জনেরই অবস্থান রাজধানীতে। এ তালিকার অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ পর্যায়ের নেতা।

রয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার বহিষ্কৃত এক আওয়ামী লীগ নেতা। তালিকাভুক্ত এসব যুদ্ধাপরাধীর ছবি সংগ্রহের কাজ চলছে। দু'এক দিনের মধ্যে ছবিসহ তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে পাঠানো হবে। যাতে তারা দেশ ত্যাগ করতে না পারে। তালিকায় যে ৩৮ জনের নাম : আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন ভুইয়া, কাকচর, থানা নান্দাইল, জেলা ময়মনসিংহ।

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম, গ্রাম বীরগাঁও, থানা নবীনগর, বি-বাড়িয়া। এটিএম আজহারুল ইসলাম, গ্রাম বালুয়াভাটা প্রফেসরপাড়া, থানা বদরগঞ্জ, জেলা রংপুর। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আমির আবদুল কাদের মোল্লা, গ্রাম আমিরাবাগ, কোতোয়ালি ফরিদপুর, বর্তমান ১৪ডি মীরবাগ, নয়াটোলা, মগবাজার, রমনা, ঢাকা-১২১৭। জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, গ্রাম মাহমুদপুর, থানা সাথিয়া, জেলা পাবনা। ১০/এফ/২ মধুবাগ (মীরবাগ) রমনা, ঢাকা।

সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, গ্রাম পশ্চিম খাবাসপুর, মাওলানা আঃ আলী সড়ক, কোতোয়ালি, ফরিদপুর। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, কুমারী মুদিপাড়া, থানা+জেলা শেরপুর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী. গ্রাম গহিরা চৌধুরী বাড়ি, রাউজান, চট্টগ্রাম। জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা এ কে এম ইউসুফ, ২২ দিলখোলা রোড, টুটপাড়া, খুলনা। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, গ্রাম সাঈদখালী, থানা জিয়ানগর, জেলা পিরোজপুর।

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, গ্রাম গহিরা চৌধুরী বাড়ি, থানা রাউজান, জেলা চট্টগ্রাম। জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মোহাম্মদ আবদুস সোবাহান, গ্রাম হাজী মুহসীন, পাথরতলা, থানা+জেলা পাবনা। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলী, গ্রাম চালা, থানা হরিরামপুর, জেলা মানিকগঞ্জ। রফিকুল ইসলাম খান, পিতা মোঃ খোরশেদ আলম, গ্রাম নওকৈর, থানা উল্লাপাড়া, জেলা সিরাজগঞ্জ। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাচ্চু মিয়া), গ্রাম খারদিয়া, থানা সালতা, জেলা ফরিদপুর।

মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, বায়তুল আবেদ টাওয়ার চতুর্থ তলা, পল্টন, ঢাকা। চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান, ভোলা, বর্তমান বাসা ১৬, রোড ৩০, ২য় তলা, গুলশান-১, ঢাকা। ডা. কাজী এমদাদুল হক, বর্তমানে ভাঙ্গা ফরিদপুরে অবস্থানরত। এবিএম খালেক মজুমদার, ছনটেক মসজিদ রোড, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বার (সাবলীচর, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর) বাসা নম্বর-১৩৬, পশ্চিম নাখালপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা।

সৈয়দ মোঃ কায়ছার, ১১৭, ব্যাংকার্স রোড, নাখালপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা। জামায়াতের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আনছার আলী, বাসা ফকিরাপুল। ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল বাছেদ, বর্তমানে রামপুরা টিভি ভবনের উল্টোদিকে ১৪তলা ভবনের মালিক। মোঃ রিয়াসাত আলী বিশ্বাস, গ্রাম কুড়ি কাবু বুনিয়া, থানা আশাশুনি, জেলা সাতক্ষীরা। গাজী নজরুল ইসলাম, গ্রাম চকবাড়া, থানা শ্যামনগর, জেলা সাতক্ষীরা।

বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবদুল আলীম, সদর রোড, শান্তিনগর, জয়পুরহাট। মাওলানা হাবিবুর রহমান, লোকনাথপুর, থানা দামুড়হুদা, জেলা চুয়াডাঙ্গা। শাহ মোঃ রুহুল কুদ্দুস, গ্রাম জায়গির মহল, জেলা পাইকগাছা, খুলনা। আবু সালেহ মোঃ আজিজ মিয়া, গ্রাম সাথিয়া মীরগঞ্জ, থানা সুন্দরগঞ্জ, জেলা গাইবান্ধা। মাওলানা আবদুল হাকিম, গ্রাম দিয়াবাড়ী, থানা বালিয়াডাঙ্গা, জেলা ঠাকুরগাঁও।

অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, গ্রাম তালবাড়ী, থানা কানাইঘাট, সিলেট। মাওলানা হাবিবুর রহমান, গ্রাম সুবিদ বাজার, কোতোয়ালি, সিলেট। মাওলানা সামছুল ইসলাম, বারদোলা, সাতকানিয়া, জেলা চট্টগ্রাম। অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, গ্রাম শিরোমনি, থানা খানজাহান আলী রোড, খুলনা। আফতাব উদ্দিন মোল্লা, উপজেলা চেয়ারম্যান চিবিরবন্দর, দিনাজপুর।

ফজলুর রহমান সুলতান, গ্রাম সালতিয়া, থানা গফরগাঁও, জেলা ময়মনসিংহ। আমির আলী, গ্রাম ফকিরাপুর, থানা সুধারাম, জেলা নোয়াখালী। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক আমির গোলাম সরোয়ার, নোয়াখালী। যারা মারা গেছে, ৮ জন : তারা হলো আবুল কাশেম, গ্রাম ও থানা উলিপুর, জেলা কুড়িগ্রাম। আবদুল মজিদ তালুকদার, সান্তাহার, বগুড়া।

এএনএন ইউসুফ, পিতা আবদুল গণি, গ্রাম দাদপাড়া, থানা কুলাউড়া, জেলা মৌলভীবাজার। একেএম শফিকুল ইসলাম, পিতা মৃত আবদুস সোবহান, গ্রাম বীরগাঁও, থানা নবীনগর, জেলা বি-বাড়িয়া। আবদুল মতিন, পিতা হেলাল উদ্দিন, গ্রাম সোহাগপুর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ। আক্তার উদ্দিন, ঠিকানা পাওয়া যায়নি। একেএম মোশারফ হোসেন, পিতা মৃত ইমাম হোসেন, গ্রাম পাঁচরখি, থানা নান্দাইল, জেলা টাঙ্গাইল।

মাওলানা নুরুজ্জামান, পিতা ইমাম উদ্দিন। ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, নান্দাইল উপজেলার আবদুল মতিন ভূঁইয়া একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, বাড়ি-ঘরে অগি্নসংযোগসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। সে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ঘোষিত তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী। একাত্তরে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হওয়া সত্ত্বেও সে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়ে। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নান্দাইল থানায় ৩টি মামলা রয়েছে।

আবদুল মতিন ভূঁইয়া এরশাদের শাসনামলে আওয়ামী লীগের সমর্থনে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছিল। পরে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.