আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখুন তো এটা আমার দূভাগ্য নাকি ডিজিটাল পদ্ধতির একটি নমুনা

একজন সাধারণ মানুষ যে সব সময় সাধারনই থাকতে চায়

গত ০৮-০৩-২০১০ইং তারিখে ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উঠাতে গিয়ে দেখি ব্যাংক যে পরিমান টাকা থাকার কথা তার চারের তিন অংশ টাকা উঠাও। ভাবলাম অফিস থেকে হয়ত এ মাসের সেলারী ভুল করে পাঠায়নি। ফোন করে ওদেও পাঠানো সিটে আমার একাউন্ট নাম্বার মিলিয়ে দেখলাম সব ঠিক আছে। ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট উঠিয়ে দেখলাম সেখানে সেলারী ঠিক ঠাক মত যোগ হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে আমার একাউন্ড থেকে দুটো চেকের টাকা ক্রেডিট হয়ে আছে।

ব্যাংকের ম্যানেজার গিয়ে তাদের এন্টির গন্ডগোল হয়েছে বলাতে তিনিও ভালো করে চেক করে দেখে উল্টো আমার উপর ক্ষেপে গেলো। বলল ভাল করে মনে করুন আপনি কাউকে দুটো চেক দিয়েছেন এ মাসে। আমি কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না কাকে চেক দিলাম। অফিসে এসে চেক বই উল্টে পাল্টেও দেখলাম সেখানেও এ মাসে কাউকে চেক দেয়ার কোন লক্ষন খুজে পেলাম না। আবার ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারকে বললাম আমি কাউকে চেক দেয়নি আপনি আবার একটু ভাল করে খোজ করুন।

সে কিছুতেই আমার কথা বিশ্বাস করে না। পরে তার কাছে আবার অনুরোধ করলাম, যে দুটো চেক আমার একাউন্ট থেকে ক্রেডিট হয়েছে সে দুটো একটু দেখাতে। উনি বলল ওগুলোতো গোডাউনে আছে বের করতে দুদিন সময় লাগবে। কি করা করার সে দুদিন সময় কালকে শেষ হয়েছে। এদিকে আমার বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে আরও যারা পাওনাদার এ কদিন কারো না কারো একটা দুটো কথা শুনতে হয়েছে।

অবশেষে চেক দুটোর সমাধান বের হয়েও আমি আরো বিপদে পড়েছি। আমি একটি জিনিস বছর দুয়েক আগে কিস্তিতে কিনেছি। মাসে মাসে ওদের কে চেকে দেওয়া বিরক্তিকর লাগে বলে আমি এক বছরে বারটি ক্রস চেক প্রতি মাসের একটি নিদিষ্ট ডেট দিয়ে ওদের দিয়ে দিই জানুয়ারি মাসে। ওরা মাসে মাসে চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকাটা উঠিয়ে নেয়। এবার না দেখে এই চেক গুলোর মাঝখান থেকে জুন এবং জুলাই ২০১০ এর ডেট দেওয়া দুটি চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে দিয়েছে।

যে ব্যাংকে জমা দিয়েছে সে ব্যাংকও তারিখ লক্ষ না করে এটা ক্রিয়ারিং এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা তাদের হেড অফিসে পাঠিয়েছে। ( বাংলাদেশ ব্যাংক নাকি হেড অফিস কোথায় ক্রিয়ারিং এর জন্য যায় সে বিষয়ে আমার অস্পষ্টতা আছে) হেড অফিস কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকও বিষয়টি লক্ষ না করে চেকটি পাঠিয়ে দিয়েছে যে বাঞ্চে আমার একাউন্ড সেখানে। আমার বাঞ্চও তারিখটি লক্ষ না করে চেকটি ক্রিয়ারেন্স দিয়ে আমার একাউন্ট থেকে থাকা ক্রেডিট করে ফেলেছে। একটা বিষয় একজনের চোখে না পরলেও আরেকজনের চোখে পড়ে এতদিন জানতাম। এখানে সবাই অন্ধ হয়ে দেখুন আমাকে কি পরিমান বিপদে ফেলেছে।

এখন আমার ব্যাংক আমাকে বার বার অনুরোধ করছে চেক দুটোর ডেট এগিয়ে দিতে। কেননা এটা যদি তারা পুনরায় ঠিক ঠাক করতে চায় তাহলে তাদের চাকরি থাকবেন না। ওদিকে যে প্রতিষ্ঠানে আমি চেক দুটো দিয়েছিলাম ওদের কে ফোন দিয়ে জানানোর পর যে এই কাজটি করেছে সেও বার বার আমাকে ফোন করছে বলছে আমি যদি এ বিষয়ে বাড়তি কোন পদক্ষেপ নেই তাহলে তারও চাকরি চলে যাবে এবং পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। এদেও কথা যদি রাখতে যাই তাহলে আমি এ মাসে কোন টাকা পাবোনা। সেক্ষেত্রে আমাকে যে খালি পেটে থাকতে হবে।

এখন আমি কোন দিকে যাই বলুনতো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.