ক্ষমতার দ্বন্ধ , ছাত্রত্ব এবং আমাদের সমাজব্যবস্থা
ফকির ইলিয়াস
=============================
ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করা ভালো। কিন্তু কীভাবে? টানা হ্যাচড়া করে ?
চুলোচুলি করে ? নেতা-নেত্রীদের মন যুগিয়ে ?
হাঁ, তেমনটিই হচ্ছে বাংলাদেশে।
ইডেন কলেজে যা ঘটে গেল, তা কিসের আলামত ? সিনিয়র নেতাদের মনোরন্জনের দায়িত্ব কি নিয়েছে কিছু ছাত্রীরা ?
না হলে তারা সাধারণ ছাত্রীদেরকে নেতার বাসায় পাঠাবার চেষ্টা
করবে কেন ?
হচ্ছে টা কী ? এসব চুলোচুলি ছাত্রদলের নেত্রী ( ? ) রা ও করেছে।
এখন আওয়ামী লীগ মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের নেত্রীরাও করছে ?
এর কারণ কী ? জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি নির্জন এলাকায়। এই বিদ্যানিকেতনটিতে না না অপকর্মের ঘটনা আমরা
মিডিয়ায় অনেক দেখেছি।
শিক্ষক ধর্ষক ! ছাত্রনেতারা ধর্ষক !
এখন ছাত্রীনেত্রী রা ও নাকি যোগানদাতা !!!
কী ভয়াবহ অবস্থা !
দুই
দলবাজীর সীমা লংঘিত হচ্ছে বাংলাদেশে। এটা মেনে নেয়া যায় না। কোনো সমাজই মানতে পারে না। কেন মানবে ? কোনো অপ
শক্তিই সমাজের প্রতিভূ হতে পারে না।
বাংলাদেশে অনেক অপসংস্কৃতিই বাড়ছে সাপের ফণার মতো।
আজই টিভিতে দেখলাম , রেব এর মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ
খন্দকার বলেছেন দেশে সাইবার ক্রাইম বেড়েছে। তাই তা রোধে
আইন দরকার।
খুবই ভালো কথা। সাইবার ক্রাইম করে অনেক মানুষের চরিত্রহনন,
গোপনীয় ইনফরমেশন চুরির সম্ভাবনা প্রকট হারে দেখা দিচ্ছে।
অনেকেই এতে জড়িয়ে পড়ছে।
এদের রোধে আইন দরকার।
কিন্তু যারা সমাজকে নর্দমায় ঠেলে দিতে রাজনৈতিক ফ্রাংকেনষ্টাইন
পোষছে , এদের কী হবে ? কে রুখবে, কারা রুখবে এদেকে ?
তিন
আমাদের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোতে কিছু কিছু নাট্যদৃশ্য
দেখলে ভীত হতে হয় চরমভাবে। কিছু কিছু নাটকে তথাকথিত
স্বাধীনতার নামে ছেলে-মেয়েদের আচরণ , কথাবার্তা শুনলে ঘৃণায়
গা, রি রি করে উঠে।
অনেক নাট্যকার , পরিচালক ছুটছেন টাকার পেছনে। তাদের টাকা চাই।
সংস্কৃতি -সভ্যতা গোল্লায় যাক।
তারা বলেন নতুন কিছু করছেন। এইসব নতুনের উদাহরণ কী ?
আমরা মাস্তান দেখেছি। এখন মাস্তান-নী , দেখছি।
ইডেনে বা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্টানে যা ঘটছে , তা সেইসব সভ্যতা(!!!) র স্বরূপ !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।