আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ১০ ক্যাটাগরির

আমি ১নং ফকীর / প্লাস ভীক্ষা দেনগ মাই

কিছু রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিসহ বিভিন্ন পেশার সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেশত্যাগে বাধা দিতে নতুন করে তালিকা তৈরি করেছে সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন তাদের ওপরও গোয়েন্দা নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বিদেশ যেতে বিমান ও স্থলবন্দরে গেলেই তাদের সেখান থেকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পলাতক বিডিআর সদস্যদের নামের তালিকাও বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে দেয়া আছে। তালিকাভুক্তদের ওপর বিদেশে যাওয়ার বিষয় ছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়েছে।

তাদের বাসা-বাড়ি ও অফিসে গতিবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে। তারা কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, কোথায় কখন যাচ্ছেন তাও মনিটর করা হচ্ছে। ওইসব ব্যক্তির মোবাইল ফোন ও টেলিফোনও ট্র্যাকিং করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র। বিদেশ যেতে বাধা দিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির তালিকা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, বিদেশ যেতে পারবেন না এমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের নতুন তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা বিমান ও স্থলবন্দরে দেয়া হয়েছে।

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ওইসব তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে বিদেশে যেতে বাধা দেবে। তবে কাউকে হয়রানি করার জন্য এ তালিকা করা হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে কেবল তাদেরই তালিকা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যাদের ওই তালিকায় রাখা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। তালিকায় এমন ব্যক্তিও আছেন, যাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আদালতে যেতে হতে পারে।

দেশের বাইরে গেলে যাদের কর্মকাণ্ডে দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সার্বিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাব পড়তে পারে তাদেরও বিদেশ যেতে বাধা দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নষ্ট করতে যারা ষড়যন্ত্র করতে পারেন বলে আশংকা রয়েছে, তাদের নামও রয়েছে তালিকায়। এ ছাড়াও দেশের সার্বিক স্বার্থে ইমিগ্রেশনের কাছে আরও কিছু তালিকা আছে । সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশত্যাগ করতে পারবেন না এমন ১০ ক্যাটাগরির ব্যক্তির তালিকা দেশের সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এ সংক্রান্ত যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল সম্প্রতি তা হালনাগাদ করা হয়েছে।

তালিকায় যোগ হয়েছে বেশকিছু নতুন নাম। ওই তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের কেউ বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিমানবন্দর কিংবা স্থলবন্দর থেকে তাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন বিদেশে যেতে পারবেন না তাও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ রয়েছে, ওইসব অভিযোগেরও বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দেয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে সে সম্পর্কে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিমানবন্দরের দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যরাও নজরদারি করছেন। তালিকায় নাম থাকা বিশেষ কোন ব্যক্তি বিদেশ যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা দেবেন ওই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে তাদের। ইমিগ্রেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছে। সূত্র জানায়, এমন তালিকা নতুন কিছু নয়।

সব সরকারের আমলেই তালিকা করে বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষগুলোকে দেয়া হয়ে থাকে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।