আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মীয় রাজনীতি বন্দ্বের দাবীর অন্তরালে ............

ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকুন .....

বিধর্মী, ধর্মাদ্রোহী বা নাস্তিকরা যখন রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বলে উতলা হয়ে পড়ে ভাবতে হবে তাদের কুমতলব আছে। ধর্মের ব্যবহার হচ্ছে না অপব্যবহার হচ্ছে, ধর্মে রাজনীতি আছে কি নাই তা কেবল ধর্মবেত্তারাই বলতে পারেন। শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন নামক মুসলিম নামধারী ফেরাউনরা নয়। ৯০ শতাংস মুসলিমের এ দেশে মাওসেতুং, লেনিন, ধর্মনিরপেক্ষবাদের রাজনীতি চলবে কিন্তু ইসলামী রাজনীতি চলবেনা এ যেন নানা বাড়ীর আবদার। আসলে বাআল সরকার চায় এই ইস্যুতে দেশে একটা বিশৃংখল পরিবেশের সৃষ্টি হোক, যেন তালেবান ষ্টাইলের একটা উসিলা পাওয়া যায়, জঙ্গী জঙ্গী বলে একটা ক্র্যাকডাউন চালালো যায়।

কিন্তু বিচক্ষন ইসলামিক নেতৃত্ব বার বার বলছেন "তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেয়া যাবেনা"। ইদানিং অকর্মন্য ডিবি পুলিশও জঙ্গী ধরার যে কৃতিত্ব জাহির করছে তাও এক একটি নাটকিয় এডভেঞ্চার। মনে থাকার কথা বাআল সরকারের বিগত আমলে ইউ এস প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনের সফরের সময় রাস্ট্রের গাঁটের পয়সা খরচ করে প্রচার করা হয়েছিল দেশ জঙ্গীতে তালেবানে ভরে গিয়েছে; উদ্দেশ্য প্রভুরা যদি দয়া করে হাসিনা কে হামিদ কারজাই বানিয়ে রাখেন। এবারও সেটাই হচ্ছে একটু ভিন্ন কায়দায়। খবরে প্রকাশ ইতোমধ্যে ইন্ড়িয়ান গোয়েন্দা সংস্থা এসে গেছে এদেশের জঙ্গী তদন্তে, যেন এদেশের গোয়েন্দারা সব নুপংশক হয়ে গেছে।

বর্তমান বাআল সরকার যে দেশের ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে মসনদে আরোহন করে ক্ষমতার মোহে অন্দ্ব শুকরের মত আচরন করছে, সেই প্রভুর দেশেও রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার রাজনীতি চলে, বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হয় হাজার হাজার নিরাপরাধ সংখ্যালঘু মুসলমান। তবুও সে দেশের আস্তিক নাস্তিক কেউ ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্বের জোরালো দাবি করেনা। কিন্তু বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, এ দেশে রোজা ও পূজা সমান্তরালে পালন করা হয়, বিচ্ছিন্ন যে ২/১ টা ঘটনা ঘটে তার পেছনে কোন ধার্মিক লোক জড়িত ছিল বলে প্রমানিত নয়, বরং এসব প্রগতিশীল রাজনীতির ধ্বজাধারীদের নিছক দখলবাজি/চাঁদাবাজির ফসল। তবে ধর্মীয় রাজনীতি তাদের মাথা ব্যাথার কারন কেন? তাছাড়া চাঁদাবাজি দখলবাজির কারনে হিন্দুরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে পত্রিকায় শিরোনাম হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন, তবে সংখ্যাগুরুরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে শিয়াল দ্ত্তরা সংখ্যাগুরু নির্যাতন বলেনা কেন? বাআল সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশ জুড়ে যে চাঁদাবাজি, দখলদারি, খুন রাহজানি চলছে, তাতে দেশের অনেক স্থানে কিছু সংখ্যালঘুরাও জড়িত আছে, ক্ষমতার পালাবদলে নির্যাতিতরা যদি পূর্বতন অত্যাচারিদের রামধোলাই দেয়, তা সংখ্যালঘু নির্যাতন হবে কেন? তারা তো বাআল সন্ত্রাসী। মূলতঃ যুদ্বাপরাধি বিচার, ধর্মীয়রাজনীতি নিষিদ্ব, ৭২ এর সংবিধান পুনর্বহাল .... সবকিছুর মূল হলো এদেশের ইসলামি জনতাকে নেতৃত্বশূন্য করা, কোনঠাসা করা, তারপর সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, বানিজ্যিক আগ্রাসন চালিয়ে দেশকে একটি আজ্ঞাবহ করদরাজ্যে পরিনত করা, তখন দেশের হাতে একটি লাল সবুজ পতাকা থাকবে স্বাধীন সত্ত্বা থাকবেনা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.