আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরেক কারবালা

ভোরের তারা হয়ে একাকি পথ খুজি
আমি মাঝে মাঝে ভাবি আমাদের সহ্য ক্ষমতা কোন পর্যায়ের? আমরা কিভাবে এত সহনশীল হলাম? আর এতই যদি আমাদের ধৈর্য্য সহ্য তবে দুনিয়াতে এত কেন হানাহানি, মারামারি, এত কেন ব্যক্তিত্বের সংঘাত? জী আমি রাজধানীবাসির পানি নিয়ে বিড়ন্বনার কথা বলছি। বিশেষ করে খিলগাও, মুগদা,সায়েদাবাদ,বাসাবো, গোড়ান, মগবাজার সহ অন্যান্য এলাকায় পানির ভয়াবহ অবস্হা। একেতো পানি পাওয়া যায় না আর যাওবা পাওয়া যায় তা পান করার অনুপযুক্ত। অনেক দিন থেকেই রাজধানীবাসি হলুদ বর্নের তীব্র দূর্ঘন্ধ যুক্ত পানি ব্যবহার করে আসছে। অনেক সময় এই পানি কুচকুচে কালো বর্নও ধারন করে।

দৈনিক ইত্তেফাকের এক প্রতিবেদন থেকে জানলাম অতি দূষিত পানিকে জীবানু মুক্ত করতে যেয়ে বেশী মাত্রায় ক্যামিকেল প্রয়োগ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কি ভেবে দেখেছেন এই অতি দূষিত পানি এবং এই ক্যামিকেল মানব দেহের জন্য কতটা ঝুকিপূর্ণ? উপরের ছবিটা থেকে দেখুন বুড়িগঙ্গার কি পানি আমরা প্রতিদিন পান করছি। বুড়িগঙ্গায় শুধু মনুষ্য বর্জ্যই নয়,এর সাথে প্রতিদিন মিশছে লঞ্চ ইস্টিমারের এবং বিভিন্ন কলকারখানা থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য। জেনে শুনে প্রতিদিন আমরা এই বিষাক্ত পানি পান করছি। সত্যিই আমাদের ধৈর্য্যের তুলনা হয় না।

কয়েক বছর আগে ভেজাল বিরোধী অভিযানের সময় কোন এক পত্রিকায় দেখেছিলাম খোদ সচিবালয়ের ক্যাফেতে মবিল দিয়ে কই মাছ ভাজা হয়। আস্ত মবিল যদি আমরা হজম করে ফেলতে পারি, দূষিত পানিতো কোন ব্যাপারই না!!তবে বিদেশ ফেরত আমার এক বছরের ভাগ্নিরতো মাথার অর্ধেক চুল পড়ে গেল! সরকার কি এই ব্যপারে কোন ভূমিকা রাখতে পারে না। তুলনামূলক কম দূষিত নদনদী যেমন মেঘনা, তুরাগ ইত্যাদি থেকেওতো পানি আনার ব্যবস্হা করা যায়। প্রয়োজনে বিদেশীদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। বিদেশীরা এই ব্যপারে না করবে না, কেননা তারা মানুষের জীবনকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

এর জন্যতো আগে ঢাকার পানির এই দৈন দশা তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। প্রচার চালাতে হবে। সংসদে বসে কে আগে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিল আর কার নাম কোথায় কেমনে পরিবর্তন করা যায় এই সব নিয়ে না ভেবে জনগুরুত্ব পূর্ন এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। একটা বিষয় না বললেই নয়- কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে নতুন করে এই যে নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে এতে জনসাধারনের কি লাভ হচ্ছে সরকার কি তা বলতে পারে? দরিদ্র দেশের সরকারের নাম পরিবর্তন নিয়ে কোটি কোটি টাকার ছিনিমিনি খেলা কি শোভা পায়, যেখানে দেশের মানুষ মঙ্গায় না খেতে পেয়ে মারা যায়। থাক ব্যপারটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে।

নাম পরিবর্তনের এই কোটি টাকা দিয়ে ঢাকাবাসীর পানি সমস্যার কিন্তু একটা সমাধান করা যায়। সরকার কি এই সব ছেলেমানুষি রেখে অসহায় মানুষ গুলোর দিকে একটু তাকাবে?সনাতনি এই সব প্রথা ত্যাগ না করলে আগামী বার আবার নির্বাচিত হওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আর শুধু সরকারের দিকে না তাকিয়ে থেকে নিজেদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্হার সাথে যোগাযোগ করে নিজেদেরকে এই বিপদ থেকে বাচাতে হবে। আর দেরী নয়, প্লীজ শুরু করুন।

আশা করছি শীঘ্রই এই ব্যপারে একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে এবং এই কারবালা থেকে আমাদের মুক্তি ঘটবে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।